রবিবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

সম্ভাবনার নাম সেভেন সিস্টার্স

পণ্য রপ্তানির সুযোগ কাজে লাগাতে হবে

সেভেন সিস্টার্স নামে পরিচিত সীমান্তবর্তী সাত ভারতীয় রাজ্যে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির অমিত সম্ভাবনা রয়েছে। এ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারলে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় যেমন বাড়বে তেমন ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনতেও অবদান রাখবে। সেভেন সিস্টার্সের অধিবাসীরাও সাশ্রয়ী দামে পণ্য কিনে লাভবান হবে। ভারতের সঙ্গে সেভেন সিস্টার্স বলে পরিচিত রাজ্যগুলোর সড়কপথে যোগাযোগ ব্যয়বহুল। ভারতের অন্যান্য রাজ্য থেকে পণ্য আনতে যে খরচ পড়ে বাংলাদেশ থেকে পণ্য কিনলে পরিবহন খরচ অনেক কমে যায়। একইভাবে সেভেন সিস্টার্স বলে পরিচিত রাজ্যগুলো থেকে বাংলাদেশে

কৃষিজাত ও খনিজ পণ্য রপ্তানি বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। সেভেন সিস্টার্স রাজ্যগুলোয় বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানি হয় সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে। বর্তমানে বছরে এই রাজ্যগুলোয় শত কোটি টাকার বেশি পণ্য রপ্তানি করেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে পোশাক, টিস্যু পেপার, প্ল­াস্টিক পণ্য, মেলামাইন ও সিরামিক সামগ্রী, মাছ, ওষুধ সামগ্রী, মিনারেল ওয়াটার, ইট, রড, সিমেন্ট, পাথর, পিভিসি পাইপ, টয়লেট ফিটিংস, ব্যাটারি, বাইসাইকেল, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য, প্যাকেটজাত ফলের রস প্রভৃতি। ভারতের এ সাতটি রাজ্যের জনসংখ্যা প্রায় ৪ কোটি। রাজ্যগুলোয় ২০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের বাজার রয়েছে। এসব রাজ্যে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির অমিত সম্ভাবনাকে আরও এগিয়ে নিতে হলে সিলেটে পণ্য উৎপাদনে স্পেশাল জোন প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া দরকার। সেভেন সিস্টার্স রাজ্যগুলোয় বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে যেসব পণ্য রপ্তানি হচ্ছে, সেগুলো মূলত ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন শিল্পকারখানায় উৎপাদিত। দূরবর্তী এলাকা থেকে পণ্য সিলেটের স্থলবন্দরে নিতে দীর্ঘ সময় ব্যয় হয়। পণ্য রপ্তানিতে অনেক সময়ই গুণগতমান রক্ষা করা সম্ভব হয় না। তামাবিল শুল্ক স্টেশনের কাছাকাছি কোথাও একটি স্পেশাল ইকোনমিক জোন প্রতিষ্ঠা করা হলে সেখান থেকে পণ্য রপ্তানিতে যেমন কম খরচ পড়বে, তেমন গুণমানও রক্ষিত হবে। সিলেটে স্পেশাল ইকোনমিক জোন প্রতিষ্ঠা করা হলে ব্রিটেনসহ ইউরোপপ্রবাসী সিলেট এলাকার ব্যবসায়ীরা সেখানে শিল্প স্থাপনে উৎসাহী হবেন।

সর্বশেষ খবর