বুধবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

প্রতিবন্ধীদের প্রতি দায়

সরকারকে আরও উদ্যোগ নিতে হবে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোটা পদ্ধতি বাতিল হলেও প্রতিবন্ধী, সংখ্যালঘু নৃ-গোষ্ঠীসহ অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর অধিকার নিশ্চিত করতে তার সরকার বদ্ধপরিকর। এ উদ্দেশ্যে সরকার নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। প্রতিবন্ধী, সংখ্যালঘু নৃ-গোষ্ঠী বা অনগ্রসর জাতি তারা যেন যথাযথভাবে চাকরি পায় এবং চাকরিতে তাদের অধিকার নিশ্চিত হয়, নীতিমালায় সে ব্যবস্থা অবশ্যই করা হবে। তিনি উল্লেখ করেন, প্রতিবন্ধীদের জন্য কল্যাণ ফাউন্ডেশন তৈরি এবং যারা খেলাধুলায় সম্পৃক্ত তাদের বিশেষ অলিম্পিকে সম্পৃক্ত করাসহ আরও নানা ধরনের সুযোগ আওয়ামী লীগ সরকারই করে দিয়েছিল। তারা বিদেশ থেকে আমাদের জন্য স্বর্ণ জয় করে আনছে। এর মাধ্যমেই বোঝা যায় তাদের মধ্যে সুপ্ত প্রতিভা রয়েছে তা দেশের কাজেও তারা লাগতে পারে। সরকার প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩ এবং নিউরো ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট আইন, ২০১৩ নামে দুটি আইন পাস করেছে। ইতিমধ্যে এর বিধিমালাও প্রণয়ন করা হয়েছে। সরকারের নির্দেশনা হলো, যত স্থাপনা হবে, প্রতিটি জায়গায় প্রতিবন্ধীদের যাতায়াতের এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা থাকতে হবে। বিশেষ টয়লেটের ব্যবস্থাসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অন্যসব স্থানে তাদের জন্য যেন সুযোগ-সুবিধা থাকে সেই নির্দেশনাও দেওয়া আছে। প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন দুই ঈদ, বাংলা ও ইংরেজি নববর্ষ এবং বড়দিন উপলক্ষে তিনি যে শুভেচ্ছা কার্ড পাঠান তা এই প্রতিবন্ধীদের আঁকা ছবি দিয়েই করা হয়। ১৬ লাখের বেশি প্রতিবন্ধীকে সরকারের পক্ষ থেকে ভাতা দেওয়া হচ্ছে, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্যও বিশেষ ভাতার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রাথমিক স্তরে ৭০০ টাকা করে, মাধ্যমিক স্তরে ৭৫০, উচ্চমাধ্যমিক স্তরে ৮৫০ ও উচ্চ স্তরে যারা পড়াশোনা করছেন তারা ১ হাজার ২০০ টাকা করে ভাতা পাচ্ছেন। প্রতিবন্ধীরা আমাদের কারোর সন্তান কারোর ভাই-বোন, কারোর স্বজন। তাদের প্রতি জাতির বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে। এ ব্যাপারে যে সরকার সচেতন তা স্পষ্ট হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে। আমরা আশা করব, প্রতিবন্ধী ও দেশের পিছিয়ে পড়া অংশকে এগিয়ে নিতে সরকার আরও পদক্ষেপ নেবে। বিশেষ করে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের স্বজনদের প্রতি সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা অব্যাহত থাকবে এমনটিও প্রত্যাশিত।

সর্বশেষ খবর