রবিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

গণতন্ত্র ও সুশাসন

রাষ্ট্রের তিন স্তম্ভের সুসম্পর্কও প্রত্যাশিত

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন গণতন্ত্র ও সুশাসনের বিকাশে নির্বাহী, আইন ও বিচার বিভাগের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। বলেছেন, দেশের উন্নয়নের সামগ্রিক ধারাকে ত্বরান্বিত করতে এ তিনটি অঙ্গের গুরুত্ব অপরিসীম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন সমিতির বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধান বিচারপতির উপরোক্ত বক্তব্য গণতন্ত্র ও সুশাসনের বিকাশে খুবই প্রাসঙ্গিক। যেসব দেশ গণতন্ত্রচর্চা ও সুশাসনের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে, তাদের এ অর্জন সম্ভব হয়েছে রাষ্ট্রের তিন গুরুত্বপূর্ণ অংশের এক সুরে এক লয়ে কাজ করার কারণে। গণতন্ত্রচর্চা ও সুশাসন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বিচারক এবং আইনজীবীদের বিশিষ্ট ভূমিকাই সংশিষ্ট দেশগুলোয় গণতন্ত্রের জয় যেমন নিশ্চিত করেছে তেমন সুশাসনকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে অবদান রেখেছে। প্রধান বিচারপতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন সমিতির বার্ষিক সম্মেলনে সঙ্গত কারণেই উল্লেখ করেছেন বিচারক ও আইনজীবীরা হলেন সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ার। আইনের সেবা করে তারা দেশের সার্বিক অগ্রগতিতে অবদান রাখেন। দেশে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষায় তাদের অনন্য ভূমিকা পালন করতে হয়। যে কারণে আইন পেশা আন্তর্জাতিকভাবে সম্মানিত পেশা হিসেবে বিবেচিত। যে কোনো দেশের সরকারের কৃতিত্ব পরিমাপ করার সর্বোচ্চ মাপকাঠি হচ্ছে তার বিচার বিভাগের দক্ষতা ও যোগ্যতা। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রামে আইনজীবীদের ভূমিকা প্রাতঃস্মরণীয়। একসময় সিনিয়র রাজনীতিক ও সংসদবেত্তাদের সিংহভাগই ছিলেন আইনজীবী। মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবেও তাদের ভূমিকা অবিস্মরণীয়। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জোর কদমে এগিয়ে যাচ্ছে। এই এগিয়ে যাওয়া অব্যাহত রাখার পাশাপাশি গণতন্ত্রচর্চা ও সুশাসনের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়া সময়ের চ্যালেঞ্জ। পাকিস্তান আমলে গণতন্ত্র ও সুশাসনের ব্যত্যয় হয়েছিল বলেই বাঙালিরা রুখে দাঁড়িয়েছিল। স্বাধীন বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও সুশাসনের ধারা জোরদার করতে রাষ্ট্রের তিন স্তম্ভকে একযোগে কাজ করতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর