সোমবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

একাদশ সংসদ নির্বাচন

মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে হোক তরুণদের রায়

একাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী দুই পক্ষ আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট তাদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে। ৩০০ আসনেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। বিনাযুদ্ধে নাহি দিব সূচাগ্র মোদিনী এই পণে কোমর বেঁধেছে দুই পক্ষই। বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন জোট দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা জমে ওঠেনি। সাংবিধানিক বৈধতা থাকলেও নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের মধ্যে যে উৎসবী পরিবেশ গড়ে ওঠে তার ছিটেফোঁটাও অনুভূত হয়নি। সব দলের অংশগ্রহণে একাদশ সংসদ নির্বাচন এমন এক সময় অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন দেশ দারিদ্র্যতার অভিশাপকে বিদায় করে মধ্য আয়ের দেশের কাতারে নিজেদের যুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে ২ কোটি ৪০ লাখ ভোটার প্রথমবারের মতো ভোট দেবেন। মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নসাধ সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশের পথে দেশ এগুবে কিনা তা নির্ধারণে তরুণ ভোটারদের মতামত সিদ্ধান্ত সূচক বলে বিবেচিত হবে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তরুণরাই অস্ত্র হাতে লড়েছে। বাংলাদেশ বিনির্মাণে তরুণদের অবদানই অগ্রগণ্য। স্বভাবতই, তরুণরা মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নসাধ পূরণে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে এমনটিই প্রত্যাশিত। নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ না দেখলেও একাত্তরে যে তরুণ প্রজন্ম দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছে আজকের তরুণরা তাদেরই উত্তরাধিকার। তারা মুক্তিযুদ্ধ না দেখলেও দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বুকে ধারণ করেন। তাদের কারণেই স্বাধীনতার সাড়ে চার দশক পর হলেও একাত্তরে যুদ্ধাপরাধে জড়িত শীর্ষ ঘাতক দালালদের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে।  এখনো যাদের বিচার সম্পন্ন হয়নি তাদের সাজা নিশ্চিত হবে কিনা তা আগামী নির্বাচনের রায়ের ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। আমরা আশা করব, কোনো দল বা জোটবিশেষ নয়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করেন এমন প্রার্থীদেরই একবিংশ শতাব্দীর তরুণরা বেছে নেবেন। বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে, মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন বাস্তবায়নে ভোটযুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির জয়ের বিকল্প নেই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর