শনিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

পশ্চাৎপদ অঞ্চলের উন্নয়নে শেখ হাসিনা

সোহেল রানা

পথ বেঁধে দিয়েছেন তিনি। যে পথে আসবে বাংলাদেশের মানুষের মুক্তি। অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় দেশ যাবে ক্রমে এগিয়ে, উন্নতির রথ বেয়ে। পশ্চাৎপদ, হতদরিদ্র, হতশ্রী দেশের পুরো চিত্র দিয়েছেন তিনি আমূল পাল্টিয়ে। এগিয়ে যাওয়ার সব আয়োজন ধরেছেন তুলে এই বাংলার মানুষের অন্তরে। বাঙালির জীবনধারায় এনে দিয়েছেন স্বচ্ছন্দ, সচ্ছলতা ও গতিবেগ। যে গতিতে অগ্রগতি আসে, প্রগতির পথ হয় কণ্টকমুক্ত, মসৃণ। তাই অবলীলায় বাঙালি গেয়ে ওঠে আজ ‘এ পথ শুধু এগিয়ে চলার, নয়কো থামার’। না, একালের বাঙালি থামতে জানে না আর। থামবেই বা কেন? চলাই এখন তার ধর্ম। তাই তাকে পাড়ি দিতে হয় যোজন যোজন পথ। চড়াই-উতরাই, প্রতিবন্ধকতা ডিঙিয়ে এগিয়ে যাওয়ার মনোরথে গন্তব্যে যেতে হয়। এই বাংলাকে তিনি বিশ্বমানের হিসেবে উন্নীত করার মহান স্বপ্ন বাস্তবায়নে দিবানিশি নিরলস শ্রমে নিয়োজিত থেকে অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছেন। তাই হতশ্রী দারিদ্র্যপীড়িত মানুষের জীবনে এনে দিচ্ছেন দুই বেলা দুই মুঠো খাদ্য যেমন তেমনি বেঁচে থাকার আনন্দসুখ। তিনি তো চান পিতার মতোই বাঙালির জীবন যেন হয় সমৃদ্ধময়। সম্পদশালী। সেই ব্রতে নিরবচ্ছিন্ন কাজ করে যান তিনি। তাই তো ৫৪ হাজার বর্গমাইলের প্রতি ইঞ্চি ভূমিকে কার্যকরের জন্য কাজ করছেন শেখ হাসিনা। পতিত মানবজীবনকে মানব জীবনে উত্তরণ ঘটাতে তিনি গ্রহণ করেছেন বিশাল পরিকল্পনা। তারই প্রাথমিক রূপ দেখা যায় দেশের সর্বত্র। দেশের যে অঞ্চলগুলো সুবিধাবঞ্চিত, পশ্চাৎপদ, শিক্ষা-দীক্ষাহীন গত ১০ বছরের উন্নয়নের ছোঁয়ায় সেসব আজ উন্নত, প্রাগ্রসর, সমৃদ্ধ ও আলোকময়। সচ্ছলতার আবরণে আনন্দ আর মঙ্গলের মাইলফলকে পরিণত হয়েছে দেশের মানুষ। শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ হাতের স্পর্শে সব যেন আজ হয়ে উঠেছে স্বর্ণালোকিত। আঁধার কেটে গিয়ে আলোর রোশনাই ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। অবহেলিত কৃষি খাতের এমনই উন্নয়ন হয়েছে যে, কারও ঘরে আজ চাল বাড়বাড়ন্ত নয়। দুই বেলা দুই মুঠো খেয়ে-দেয়ে শান্তির নীড়ে অবগাহন করছে একদা এ অঞ্চলের দরিদ্র মানুষ। গত ১০ বছরে হয়েছে এই অভূতপূর্ণ পরিবর্তন। এটা তো জোরালোভাবেই বলা যায়, গত ১০ বছরে বাংলাদেশকে শেখ হাসিনা যেখানে নিয়ে এসেছেন; প্রতিটি গ্রাম, ইউনিয়ন, উপজেলা তার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র একটি খণ্ডচিত্র; যা জোড়াতালি দিলে পূর্ণ চিত্র হয়ে ওঠে আলোকোজ্জ্বল। এ এক অভাবনীয়, অকল্পনীয় দৃশ্যপট। আমূল বদলে গেছে ফসলি মাঠ, ধু-ধু প্রান্তর, গ্রামগঞ্জ, বন্দর। গ্রামগুলোয় শহুরে আবহ তথা আধুনিক জীবনপদ্ধতি বিস্তৃত হচ্ছে ক্রমে। কুপিবাতির আলো কিংবা খোলা মাঠে মলমূত্র ত্যাগ, পুকুরের দূষিত পানি পান, হাত না ধুয়ে খাদ্য গ্রহণ, খালি গায়ের শিশু-কিশোরদের স্কুলে না গিয়ে খেতে-খামারে কাজ করা সেসব দৃশ্য আর দেখা যায় না। যেমন ঝাড়ফুঁক, কবিরাজি চিকিৎসা কিংবা গর্ভবতী নারীকে কাতরাতে দেখা বা মৃত শিশু জন্ম দেওয়ার ঘটনাগুলো কবেই হয়ে গেছে বিলীন। গ্রাম, ইউনিয়ন ও উপজেলায় শহুরে জীবনের গতি এসেছে। বিদ্যুতের আলোয় বদলে গেছে জীবনযাপন পদ্ধতি। আধুনিকতা আর উন্নয়নের ছোঁয়া সর্বত্র। খানাখন্দে ভরা নেই সড়ক। কাঁচা সড়কও তেমন দেখা যায় না। চিকিৎসা কেন্দ্র হাতের নাগালেই।  ইন্টারনেট সুবিধা গ্রামীণ জীবনে অন্যরকম চাঞ্চল্য এনে দিয়েছে। মানুষের হাতে হাতে ফোন। আর তাতেই মেলে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা আর শিক্ষা উপবৃত্তি। মানুষের মধ্যে শিক্ষার হার যেমন বেড়েছে তেমনি জীবনধারার মানও বেড়েছে। শেখ হাসিনার বদৌলতে সবকিছু আমূল বদলে গিয়ে এক নতুন জীবন যেন পেয়েছে সবাই। এমনই অঞ্চল কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর ও নিকলী। হতদরিদ্র অঞ্চল হিসেবে যার অবস্থান ছিল এক যুগ আগেও। সেই দুটি উপজেলা আজ পরিণত হয়েছে উন্নত জনপদে। আলাদিনের জাদুর চেরাগের স্পর্শে নয়, শেখ হাসিনার স্বপ্ন পূরণের বাস্তবতায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের একান্ত প্রচেষ্টা ও নিরলস পরিশ্রমে তা আজ আঞ্চলিক উন্নয়নের ‘রোল মডেল’ হিসেবে পরিগণিত। সারা বিশ্ব আজ উন্নয়নশীল দেশের তকমা পরিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশকে। সে দেশেরই প্রত্যন্ত অঞ্চল বাজিতপুর-নিকলী। দুটি উপজেলা মিলে জাতীয় সংসদের ১৬৬ তথা কিশোরগঞ্জ-৫ আসন। স্বাধীনতার পর ৪৭ বছরের উন্নয়নের ইতিহাসে এ দুটি জনপদ আজ জাতির জন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছে। উন্নয়নের আরেক নাম শেখ হাসিনা মনোনীত বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী হিসেবে যার নাম বিধৃত, তিনি মোহাম্মদ আফজাল হোসেন। নবম ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন এলাকাবাসীর। সংসদে এলাকার সমস্যা তুলে ধরে তার সমাধান দাবি করেছেন। সততা ও স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করে তিনি আজ সর্বজননন্দিত নেতা। মানুষের ভালোবাসায় এ জনপদের মাটি আর মানুষের নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন। জননেত্রীর মতোই তার বিশ্বাস ‘রাজনীতি করতে হলে জনগণের পাশে থাকতে হবে, জনগণের মৌলিক অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। তাদের ন্যায্যতা যেন হরণ না হয় তা নিশ্চিতে পদক্ষেপ নিতে হবে।’ এ বিশ্বাস ধারণ করেই তিনি জনগণের সুখ-দুঃখের সাথী। জনপ্রতিনিধি হিসেবে গত ১০ বছরে নিজের স্বীয় অবস্থান তৈরি করেছেন। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য হয়ে উঠেছেন অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।

রাজনীতির বাইরেও তিনি দেশবরেণ্য একজন ব্যবসায়ী। ১০ বছর ধরে তিনি বাজিতপুর উপজেলার একটি পৌরসভা, ১১টি ইউনিয়ন ও নিকলী উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের বিপুলসংখ্যক জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করছেন। এসব এলাকার বেশির ভাগ মানুষই ছিল সুবিধাবঞ্চিত। কিন্তু বিগত ১০ বছরে বদলে গেছে সবই। শুধু সরকারি অনুদানই নয়, কোনো কোনো ক্ষেত্রে তার ব্যক্তিগত অনুদানও যুক্ত হয়েছে এই পরিবর্তনে। শেখ হাসিনার কল্যাণে আফজাল হোসেনের হাত ধরে বদলে গেছে জনপদ দুটি। বাজিতপুর-নিকলীতে গত ১০ বছরে মোট উন্নয়ন হয়েছে ২ হাজার ২৭১ কোটি ১০ লাখ ৪১ হাজার টাকার। জানা গেছে, আরও ১ হাজার কোটি টাকার কাজ চলমান। খাতওয়ারি চিত্রটি এভাবে তুলে ধরা যায় শিক্ষাবান্ধব সরকারের যোগ্য প্রতিনিধি আফজাল হোসেন। ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এই অঞ্চলের শিক্ষার বাতিঘর বাজিতপুর। উপজেলার এই শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। তার একান্ত আগ্রহে বর্তমানে কলেজটিতে কয়েকটি বিষয়ে অনার্সসহ মাস্টার্স কোর্স চালুর বিষয় প্রক্রিয়াধীন। এ অঞ্চলে উচ্চশিক্ষার প্রসারে এটি একটি অনন্য দৃষ্টান্ত। বর্তমান সরকারের আমলে বাজিতপুর সরকারি কলেজের একাডেমিক ভবন নির্মাণসহ ১০ কোটি ৫৬ লাখ ৬৭ হাজার টাকার উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। উন্নয়ন হয়েছে নিকলী মুক্তিযোদ্ধা আদর্শ সরকারি কলেজের উন্নয়নমূলক কাজেরও। এ কলেজের একাডেমিক ভবন, বর্ধিত শ্রেণিকক্ষ উন্নয়নসহ ৪ কোটি ৩১ লাখ ১৫ হাজার টাকার উন্নয়নকাজ বাস্তবায়িত হয়েছে। উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষার উন্নয়নে দুই উপজেলায় কাজ হয়েছে ৬৫ কোটি ৬২ লাখ ৫০ হাজার টাকার। এর মধ্যে বাজিতপুরে ৩৭ কোটি ৮৬ লাখ ও নিকলীতে ২৭ কোটি ৭৬ লাখ ৫০ হাজার টাকার কাজ হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে নিকলীর ৬১টি স্কুলে ১১ কোটি ৬৮ লাখ ১৭ হাজার ও বাজিতপুরে ১০১টি স্কুলে ৩২ কোটি ১১ লাখ ৮৬ কোটি টাকার কাজ হয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল কার্যালয়ের আওতায় কাঁচা-পাকা সড়ক ও বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়নে নিকলী উপজেলায় ৩৮৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকার উন্নয়ন হয়েছে। বাজিতপুর উপজেলায় একই আওতায় ১৫৬ কোটি ৬৪ লাখ ৫৯ হাজার টাকার সমধারার কাজ হয়েছে। কিশোরগঞ্জের এই নির্বাচনী এলাকায় বিদ্যুতের অভাবনীয় সাফল্য এসেছে।

বিএনপি-জামায়াত সরকারের সময় বিদ্যুৎ কখন আসবে তার অপেক্ষার প্রহর ছিল নিরন্তর। আর এখন বিদ্যুৎ পর্যাপ্ত। নিকলী উপজেলায় শতভাগ মানুষ এখন বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে। বাজিতপুরে শতভাগ সুবিধা পূর্ণ হওয়ার পথে। দুই উপজেলায় ৩ হাজার ৯০০ ট্রান্সফরমারের আওতায় গ্রাহকসংখ্যা এখন ৫৬ হাজার। এজন্য দুই উপজেলায় দুটি সাবস্টেশন রয়েছে। এ খাতে ইতিমধ্যে ৫০০ কোটি টাকার কাজ হয়েছে, আরও ১৫০ কোটি টাকার কাজ চলমান। নাগরিকদের সবচেয়ে জনগুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে স্বাস্থ্য খাত। স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে নিকলী ও বাজিতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স দুটিকে ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। এ ছাড়া বাজিতপুরে চারটি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র, ২৬টি কমিউনিটি ক্লিনিক ও নিকলীতে ১৬টি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করা হয়েছে। এ খাতে দুই উপজেলায় ২২ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। নদীমাতৃক এই নির্বাচনী আসনটিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড উপজেলার শ্রেষ্ঠ প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান। এর আওতায় হাওরের বন্যা ব্যবস্থাপনা, বেড়িবাঁধ নির্মাণ, খাল খনন, সুইস গেট নির্মাণ, ডুবন্ত বেড়িবাঁধ নির্মাণ, নদীভাঙন রোধ, ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণ ও জীবনমান উন্নয়নে নিকলী উপজেলায় ৯৮ কোটি টাকা এবং বাজিতপুর উপজেলায় ১০৯ (দুই উপজেলায় ২০৭) কোটি টাকার কাজ হয়েছে। হাওর উপজেলা বাজিতপুর-নিকলী মূলত কৃষিপ্রধান এলাকা। এখানকার অর্থনীতির চালিকাশক্তি কৃষি। দুই উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের আওতায় বিনামূল্যে কৃষি উপকরণ বিতরণসহ নানা উন্নয়নমূলক কর্মকা-ে ৮৯ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। দুই উপজেলায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের আওতায় খাদ্যশস্য, কালভার্ট নির্মাণ, নগদ বিতরণসহ ৫০ কোটি টাকার উন্নয়নকাজ হয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অধীন মসজিদভিত্তিক শিক্ষাসহ দুই উপজেলায় ২৮ কোটি ৫৭ লাখ ১৬ হাজার টাকা ব্যয়ে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। পল্লীর সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার সারা দেশে বেশকিছু উন্নয়নমূলক প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এর আওতায় বাজিতপুর ও নিকলী উপজেলায় ১৯ কোটি ৫০ লাখ টাকার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাজিতপুর উপজেলায় চারটি ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণে ৩ কোটি ৬৮ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে। গ্রামীণ জনপদের স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন ও পানীয় জলের সরবরাহ নিশ্চিত করতে দুই উপজেলায় ১৫ কোটি টাকা উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ চত্বর, কমিউনিটি সেন্টার, স্মৃতিসৌধসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণে ৩১ কোটি ৮১ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। উপজেলা সমাজসেবা উন্নয়নের আওতায় দুই উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষার্থী, বিধবা, প্রতিবন্ধী ভাতাসহ বিভিন্ন খাতে ৫৮ কোটি ২০ লাখ টাকার উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। যুব উন্নয়ন অধিদফতরের আওতায় যুবসমাজকে কর্মমুখী করতে দুই উপজেলায় ৫ কোটি ৪ লাখ টাকার কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। একটি বাড়ি একটি খামারের আওতায় দুই উপজেলায় ২১ কোটি ৮ লাখ টাকার উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়িত হয়েছে। বাজিতপুর পৌরসভার উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১১ কোটি ৬৯ লাখ ১৪ হাজার ৯৮৯ টাকা ব্যয় হয়েছে। এ ছাড়া মৎস্যসম্পদ অধিদফতরের আওতায় ১২ হাজার ৫৯৬ জন মৎস্যজীবীকে আইডি কার্ড দেওয়া হয়েছে, সমবায় উন্নয়নে বাজিতপুরে ১৮০ ও নিকলীতে ১৬৩টি সমবায় সমিতি গঠন করা হয়েছে, উপজেলা মহিলাবিষয়ক উন্নয়নে, ধর্মভিত্তিক সামাজিক অবকাঠামো উন্নয়নে এবং সামাজিক সব উন্নয়ন সূচকে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এ উন্নয়ন চিত্র কেবল একটি সংসদীয় এলাকারই নয়, এটি শেখ হাসিনার মানবিক বাংলাদেশের চিত্র। শেখ হাসিনা মানবিক বাংলাদেশ গড়ার রূপকার, সমৃদ্ধির বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা তার অঙ্গীকার। তিনি দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে তুলে এনেছেন। শেখ হাসিনার এ প্রচেষ্টার যোগ্য সৈনিক আফজাল হোসেন। এক কথায় মানবিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় শেখ হাসিনার পাশে তিনি। সারা দেশে শেখ হাসিনার উন্নয়নের খন্ডাংশ এ দুটি জনপদ আরও এগিয়ে যাবে।

লেখক : গবেষক

[email protected]

সর্বশেষ খবর