শনিবার, ৫ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

তিনি ছিলেন সততার প্রতিকৃতি

সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে শ্রদ্ধা

সবার প্রিয় সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম আর নেই। মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলামের জ্যেষ্ঠপুত্র সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম গত বৃহস্পতিবার ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ফুসফুসের ক্যান্সারে ভুগছিলেন এই যশস্বী রাজনীতিবিদ। ব্যক্তি ও রাজনৈতিক জীবনে সততা ও আদর্শবাদিতার প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন সৈয়দ আশরাফ। দেশের রাজনীতিতে তিনি ছিলেন সত্যিকার অর্থেই একজন ব্যতিক্রমধর্মী মানুষ, যিনি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের কাছেও সমীহ পেতেন তার সততা, নিষ্ঠা ও আদর্শবাদিতার জন্য। দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদেও দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন। অসুস্থতার কারণে তিনি গত বছর ১৮ সেপ্টেম্বর সংসদ থেকে ছুটি নেন। দেশে না থেকেও সৈয়দ আশরাফ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-১ আসনে জয়ী হন। বৃহস্পতিবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নির্বাচিত এমপিদের শপথ অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন সৈয়দ আশরাফ। ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা জারির পর শেখ হাসিনা কারাবন্দী হলে আওয়ামী লীগের যে কজন নেতা দলের হাল ধরেছিলেন, তাদের অন্যতম ছিলেন সৈয়দ আশরাফ। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি মুক্তিবাহিনীর সদস্য হিসেবে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। ’৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অন্য তিন জাতীয় নেতার সঙ্গে সৈয়দ আশরাফের বাবা সৈয়দ নজরুল ইসলামকে হত্যা করা হয়। বাবার মৃত্যুর পর সৈয়দ আশরাফ যুক্তরাজ্যে চলে যান এবং লন্ডনের হ্যামলেট টাওয়ারে বসবাস শুরু করেন। ’৯৬ সালে সৈয়দ আশরাফ দেশে ফিরে আসেন এবং জুন, ’৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যুতে রাজনৈতিক অঙ্গনে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা বহুদিন ধরে অনুভূত হবে। একজন সৎ রাজনীতিক এবং ভালো মানুষ হিসেবে তিনি আগামী দিনগুলোতেও আলোচিত হবেন। সৎ রাজনীতির প্রতিকৃতি এই রাজনীতিকের মৃত্যুতে জাতি গভীরভাবে শোকাহত। আল্লাহ তাকে জান্নাতের সুশীতল ছায়ায় ঠাঁই দিন।

সর্বশেষ খবর