বৃহস্পতিবার, ১০ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা

ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে অবদান রাখুক

রাজধানীর শেরেবাংলা নগর প্রাঙ্গণে গতকাল থেকে শুরু হয়েছে ২৪তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো যৌথভাবে এ বাণিজ্য মেলার আয়োজন করেছে। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ গতকাল বাণিজ্য মেলা উদ্বোধন করার পর হাজার হাজার ক্রেতা-দর্শনার্থীর ভিড়ে মেলা প্রাঙ্গণ প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। প্রতি বছর ১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় বাণিজ্য মেলা। এ বছর সংসদ নির্বাচনের কারণে ১ জানুয়ারির পরিবর্তে গতকাল বিকাল ৩টায় শুরু হয়েছে এবং এ মেলা চলবে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা সব ক্রেতা-দর্শনার্থীর জন্য উন্মুক্ত থাকবে। বাণিজ্য মেলা দেশি-বিদেশি পণ্য সম্পর্কে ক্রেতা বা ভোক্তাদের জানার সুযোগ করে দেয়। এ বছর বাণিজ্য মেলায় ৫৫০টি স্টল খোলা হয়েছে। রয়েছে বেশ কিছু বিদেশি স্টল। যেখান থেকে ক্রেতা ভোক্তারা তাদের পছন্দের পণ্য কিনতে পারবেন। মেলায় বিভিন্ন অব্যবস্থাপনা রোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও ভোক্তা অধিদফতরের সার্বক্ষণিক নজরদারি থাকবে। নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণে থাকবে পর্যাপ্ত সিসিটিভি ক্যামেরা। বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন দেশের মধ্যে রয়েছে- ভারত, পাকিস্তান, চীন, ব্রিটেন, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, ইরান, থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, ভুটান, নেপাল, মরিশাস, ভিয়েতনাম, মালদ্বীপ, রাশিয়া, আমেরিকা, জার্মানি, সোয়াজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও হংকং। বাংলাদেশের রপ্তানি আয় প্রতি বছর সম্প্রসারিত হচ্ছে। প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকতে হলে বিশেষ কোনো পণ্যের ওপর নির্ভরশীল না থেকে বাজারে বেশি বেশি পণ্যের সমাবেশ ঘটাতে হবে। বিদেশে বাংলাদেশি পণ্যের বাজার ধরে রাখতে নজর দিতে হবে পণ্যের মানোন্নয়নে। ক্রেতাদের চাহিদার কথা মনে রেখে পণ্য উৎপাদনে ব্রতী হতে হবে। নতুন বাজার খোঁজার মাধ্যমে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ ঘটাতে হবে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার আয়োজন এ ক্ষেত্রে খুবই প্রাসঙ্গিক। আমরা আশা করব, বাণিজ্য মেলার মাধ্যমে দর্শকরা যেমন দেশি-বিদেশি পণ্য সম্পর্কে অবহিত হতে পারবেন, তেমন দেশের পণ্য বিদেশে রপ্তানির ক্ষেত্রেও এ মেলা অবদান রাখবে।

সর্বশেষ খবর