শুক্রবার, ১১ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

ঋণ খেলাপের অপসংস্কৃতি

ওদের বিরুদ্ধে কঠোর হোন

খেলাপি ঋণ বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রধান সমস্যা। জাতীয় সমৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির পথেও বিসংবাদ সৃষ্টি করছে ঋণ খেলাপের অপসংস্কৃতি। আমরা বার বার এ কলামে জাতিকে এই অপসংস্কৃতি থেকে রেহাই দেওয়ার তাগিদ দিয়েছি। বলেছি ঋণ খেলাপের অবসানে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। ঋণদান প্রক্রিয়ায় যারা জড়িত তাদের স্বচ্ছতাও নিশ্চিত করা দরকার। ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ করাকে যারা অভ্যাসে পরিণত করেছেন তাদের সামাল দিতে কঠোর আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলেছি আমরা। আশার কথা, নতুন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ ব্যাপারে শুরুতেই শক্ত হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সোজাসাপ্টাভাবে বলেছেন, আইনি দুর্বলতার কারণেই খেলাপি ঋণ কমানো যাচ্ছে না, এজন্য আইনে সংশোধনী আনা হবে। ঋণের বিষয়টি দেখার জন্য একটি শক্তিশালী কমিটি করে দেওয়া হবে। যে ঋণ ব্যাংকে ফিরে আসছে না সেগুলো ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে। কী কারণে, কার কারণে ঋণ দেওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনা যাচ্ছে না তা খতিয়ে দেখা হবে। ঋণখেলাপি হওয়ার পর  খেলাপিরা হাই কোর্টে চলে যান। পাবলিক-প্রাইভেট যে ব্যাংকের টাকাই হোক, মূলত তা জনগণেরই টাকা। খেলাপি ঋণের সঙ্গে সরকারি কোনো কর্মকর্তার যোগসাজশ আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হবে। জনগণের অর্থ বেহাত হয়ে যাক কিংবা ব্যাংকে ফিরে আসবে না এটি কাম্য হতে পারে না। ঋণ খেলাপ বন্ধে অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। এ ব্যাপারে ঋণদানের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের সঠিক ভূমিকা পালনের বিষয়টি যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমন আইনগত বিধানও প্রয়োজন। যাতে ঋণখেলাপিদের সহজে ধরা যায় এবং তাদের কাছ থেকে অর্থ আদায় সহজতর হয়। আইনের যেসব ফাঁক-ফোকরে ঋণখেলাপিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে তা বন্ধে অচিরেই ব্যবস্থা নিতে হবে। ঋণ খেলাপের সঙ্গে কোনোভাবেই প্রকৃত ব্যবসায়ীরা জড়িত নন। কিছু অসৎ লোকের জন্য ব্যবসায়ীদের সুনাম নষ্ট হবে তা প্রত্যাশিত নয়। ঋণ খেলাপ বন্ধ হলে সৎ উদ্যোক্তারা সহজেই ঋণ পাবেন। এর ফলে দেশে কর্মসংস্থান বাড়বে। উন্নয়নের সুফল পাবে সাধারণ মানুষ। নতুন সরকার এ লক্ষ্য সামনে রেখে কাজ করবে- আমরা এমনটিই আশা করতে চাই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর