সোমবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

সন্ত্রাসবাদ সূচক

চার ধাপ অগ্রগতি ইতিবাচক ঘটনা

সন্ত্রাসবাদ সূচকে বাংলাদেশ ১০-এর মধ্যে ৫ দশমিক ৬৯৭ পয়েন্ট পেয়ে ১৬৭টি দেশের মধ্যে ২৫তম অবস্থানে রয়েছে। এক বছরেই দেশ এক্ষেত্রে ৪ ধাপ এগিয়ে যাওয়ার যে সামর্থ্য দেখিয়েছে তা প্রশংসার দাবিদার। এক বছর আগে সন্ত্রাসবাদ সূচকে বাংলাদেশের পয়েন্ট ছিল ৬ দশমিক ১৮১ এবং অবস্থান ছিল ২১তম। অস্ট্রেলিয়ার সিডনিভিত্তিক বৈশ্বিক নীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড পিস (আইইপি) গত শুক্রবার ২০১৮ সালের যে বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তাতে বাংলাদেশকে সন্ত্রাসী হামলার প্রভাবের ক্ষেত্রে ‘মাঝারি’ দেশ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। চলতি বছরের সূচকে যুক্তরাষ্ট্র ১২ ধাপ, যুক্তরাজ্য সাত ধাপ, ভারত এক ধাপ ও মিয়ানমার ১৩ ধাপ পেছালেও বাংলাদেশ এ নোংরা দৈত্যকে সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে কৃতিত্বই দেখিয়েছে। সূচকে ভারত সপ্তম স্থানে ও যুক্তরাষ্ট্র ২০তম স্থানে আছে। এ দুটি দেশে সন্ত্রাসের প্রভাব ‘উচ্চমাত্রার’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে আইইপির প্রতিবেদনে। সন্ত্রাসের অত্যন্ত উচ্চমাত্রার প্রভাব আছে-এমন ছয়টি দেশের অবস্থান সূচকের শীর্ষ ছয়ে। দেশগুলো হচ্ছে- ইরাক, আফগানিস্তান, নাইজেরিয়া, সিরিয়া, পাকিস্তান ও সোমালিয়া। প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ, ভুটান, নেপাল ও শ্রীলঙ্কায় সন্ত্রাসী হামলা কমেছে এবং নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। অন্যদিকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ফিলিপাইন ও মিয়ানমারে ২০০২ সালের পর ২০১৭ সালে সন্ত্রাসে বেশি মৃত্যু হয়েছে। এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সবচেয়ে প্রাণঘাতী তিনটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা), নিউ পিপলস আর্মি ও আবু সায়াফ গ্রুপের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সন্ত্রাসবাদ সূচকে বাংলাদেশের চার ধাপ অগ্রগতি নিঃসন্দেহে একটি সুখবর। তবে এতে আত্মপ্রসাদ লাভের অবকাশ নেই। কারণ যেসব দেশ সন্ত্রাসবাদের মাঝারি মানের ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ তার মধ্যে একটি। বিশ্বের শতাধিক দেশের অবস্থা এ দিক থেকে বাংলাদেশের চেয়ে ভালো। ফলে প্রতিদিনই নিজেদের অবস্থার উন্নয়নে বাংলাদেশকে কঠিন লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। যে কোনো মূল্য জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত রাখতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর