বুধবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

বিদাত সম্পর্কে মোমিনদের সতর্ক থাকতে হবে

মাওলানা মুহম্মাদ সাহেব আলী

বিদাত একটি আরবি শব্দ যার আভিধানিক অর্থ নতুন কোনো বিষয় সৃষ্টি বা উদ্ভাবন করা। ইসলামী শরিয়তের পরিভাষায় দীনদারি কিংবা আমল ও ইবাদতের নামে নতুন উদ্ভাবিত এমনসব কাজ, যা রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোনো সময় করেননি এবং যার কোনো নমুনা সাহাবি কিংবা তাবেইনদের যুগেও পাওয়া যায়নি। সুতরাং যে দীনদারি কিংবা ইবাদতের নমুনা আল্লাহর রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বা সাহাবায়ে কিরাম অথবা তাবেইনদের কাছ থেকেও পাওয়া যায় না, তা কোনো দীনদারি নয় এবং কোনো ইবাদতও নয়।

বিদাতের কয়েকটি সহজ পরিচয় হলো বিদাত সুন্নাতের চেয়ে অতিরিক্ত, সুন্নতের এক রূপ বিদাতের বহুরূপ, সুন্নত আল্লাহর রসুল থেকে অনুসৃত আর বিদাত ব্যক্তিবিশেষ কর্তৃক উদ্ভাবিত, তাই বিদাতের ব্যাপারে রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কঠোর সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন। তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি এমন কোনো কাজ করল, যা করা সম্পর্কে আমাদের কোনো হুকুম বা নির্দেশনা নেই তা অগ্রাহ্য। যে ব্যক্তি আমাদের দীনি কাজের ওপর অন্য কোনো কাজ আবিষ্কার করল তা হবে অগ্রাহ্য।’ আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ।

‘সাবধান! তোমরা দীনে নতুন কোনো (ইবাদত) কিছু করা থেকে বিরত থাকবে। কেননা, এতে প্রত্যেক নতুন কিছু করার নামই বিদাত। আর প্রত্যেক বিদাতই গোমরাহি আর প্রত্যেক গোমরাহি হবে জাহান্নামি।’ আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ।

বিদাতিরা ইহকাল-পরকাল দুই জগতেই লাঞ্ছিত হবে। তাদের জন্য অপেক্ষা করবে খারাপ পরিণাম।

১. যারা বিদাত করে তারা হাশরের ময়দানে হাউসে কাওসারের পানি পান করতে পারবে না। ২. দুনিয়ায় তাদের দোয়া কবুল করা হবে না। ৩. বিদাতিরা চরমভাবে লাঞ্ছিত। ৪. বিদাতিদের চূড়ান্ত পরিণাম জাহান্নাম। আল্লাহ আমাদের সবাইকে কোরআন -হাদিসের আলোকে ইবাদত ও জীবন -যাপনের তাওফিক দান করুন।  সব ধরনের বিদাত থেকে দূরে থাকার এবং নিজেকে নিরাপদ রাখার তাওফিক দান করুন।

            লেখক : ইসলামবিষয়ক গবেষক

সর্বশেষ খবর