শিরোনাম
বুধবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা

চীনের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করবে

বাংলাদেশ-চীন বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও জোরদার হওয়ার সুবর্ণ সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তি চীনে শূন্য শুল্কে পণ্য রপ্তানির সুযোগ পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বেইজিংয়ের প্রস্তাবিত ‘জিরো ট্যারিফ স্কিম’ সুবিধা নেওয়ার আগ্রহ দেখিয়ে সম্মতিপত্র পাঠানোর প্রায় নয় মাস পর চীন চিঠি দিয়ে জানিয়েছে বাংলাদেশকে শূন্য শুল্কে পণ্য রপ্তানির সুবিধা দেওয়া হবে। এ বিষয়ে চুক্তির দিনক্ষণ চূড়ান্ত করতে চীনের পক্ষ থেকে তাগিদ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ শূন্য শুল্ক সুবিধা নেওয়ার বিষয়ে সম্মতি জানালেও একাদশ সংসদ নির্বাচনের পরপর এ ব্যাপারে চীনের পক্ষ থেকে চুক্তির তাগিদ দেওয়া হলো।

গত ৩১ জানুয়ারি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠির সঙ্গে কোন কোন পণ্যে শুল্ক সুবিধা পাওয়া যাবে তার তালিকা ও রুলস অব অরিজিনের শর্তও সংযুক্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চিঠি ও শর্ত পর্যালোচনা করে চুক্তির দিনক্ষণ জানানো হবে। স্মর্তব্য, চীনের বাজারে জিরো ট্যারিফ স্কিমের আওতায় বাণিজ্য সুবিধা নেওয়ার বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়ে গত বছরের এপ্রিলে চিঠি পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ। চিঠি পাঠানোর আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে ট্যারিফ কমিশন ও ব্যবসায়ীদের মতামত নেয়। বাংলাদেশ এ মুহূর্তে এশিয়া প্যাসিফিক ট্রেড এগ্রিমেন্টের আওতায় চীনের কাছ থেকে পাঁচ হাজার ৭৪টি রপ্তানি পণ্যের ওপর শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা পাচ্ছে। শূন্য শুল্কের আওতায় বাংলাদেশ চীনে বাণিজ্য সুবিধা গ্রহণ করলে বর্তমান বাণিজ্য সুবিধা পাওয়া যাবে না।

যে কারণে সরকার সব দিক বিবেচনা করেই চীনের সঙ্গে নতুন চুক্তিতে আবদ্ধ হবে এমনটিই প্রত্যাশিত। নতুন চুক্তি চীনে বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাকের বাজার সৃষ্টিতে কতটা অবদান রাখবে সে বিষয়টি সব দিক থেকে পর্যালোচনা করা হবেÑআমরা এমনটিই দেখতে চাই। দুই দেশের বাণিজ্যে এ মুহূর্তে বিরাজ করছে বিশাল বৈষম্য। বাংলাদেশ চীন থেকে যে পরিমাণ পণ্য আমদানি করে তার বিপরীতে রপ্তানি যৎ-সামান্য। এ ক্ষেত্রে যাতে ভারসাম্য সৃষ্টি হয় সেটি নিশ্চিত করাও জরুরি। ভূরাজনৈতিক অবস্থানগত কারণে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক সময়ের দাবি। তবে যে কোনো চুক্তির ক্ষেত্রে দেশের স্বার্থ অগ্রাধিকার পাবেÑআমরা এমনটিই দেখতে চাই।

সর্বশেষ খবর