শনিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

শাহজালালের থার্ড টার্মিনাল

সময়ের চাহিদা পূরণে সহায়ক হবে

যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের ক্রমবর্ধমান চাপ ঠেকাতে রাজধানীর হযরত শাহজালার (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থার্ড টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, চলতি বছরই এটি নির্মাণের কার্যাদেশ দেওয়া সম্ভব হবে এবং সবকিছু ঠিক থাকলে কার্যাদেশ দেওয়ার চার বছরের মধ্যে সম্পন্ন হবে নির্মাণকাজ। গত এক দশকে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য কয়েক গুণ বেড়েছে। এ বিমানবন্দর দিয়ে যাত্রী ও পণ্য যাওয়া-আসাও বেড়েছে পাল্লা দিয়ে। সময়ের চাহিদা মেটাতে শাহজালালে থার্ড টার্মিনাল নির্মাণ অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। ভবিষ্যতের চাহিদার কথা মনে রেখে আরও বৃহৎ পরিসরের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তৈরির বিষয়টিও মাথায় রাখা হচ্ছে। শাহজালালের থার্ড টার্মিনাল নির্মাণে ব্যয় হবে ১৩ হাজার ৬১০ কোটি ৪৬ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। এ প্রকল্পে অর্থায়ন করছে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা)। মোট টাকার মধ্যে সরকারের নিজস্ব অর্থায়ন হবে ২ হাজার ৩৯৫ কোটি ৬৮ লাখ ৫৯ হাজার, বাকি অর্থের পুরোটাই দেবে জাইকা। থার্ড টার্মিনাল প্রকল্পে থাকবে আধুনিক ভিআইপি ভবন, ট্যাক্সিওয়ে, নিকুঞ্জের লা মেরিডিয়ান হোটেলের সামনের রাস্তা থেকে টার্মিনাল পর্যন্ত ফুটওভার ব্রিজ। থাকবে মেট্রোরেল। যাত্রী ও দর্শনার্থীদের আসা-যাওয়ার পৃথক ব্যবস্থাও থাকবে। এতে আরও থাকবে ২৪টি বোর্ডিং ব্রিজ, বোর্ডিং ব্রিজের সঙ্গে ১৫টি আগমনী বেল্ট। পর্যাপ্তসংখ্যক এসকেলেটর, সাবস্টেশন ও লিফট, রাডার, কন্ট্রোল টাওয়ার, অপারেশন ভবনসহ বহুতল গাড়ি পার্কিং থাকবে। তিন তলা টার্মিনাল ভবনটির স্থাপত্যে রাখা হবে নান্দনিকতার ছোঁয়া। থার্ড টার্মিনাল ভবনের আয়তন হবে ২ লাখ ২৬ হাজার বর্গমিটার। শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল নির্মাণ হলে যাত্রী ও মালামাল পরিবহনের সক্ষমতা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে। সর্বাধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকায় পাল্টে যাবে দেশের প্রধান বিমানবন্দরের চালচিত্র। প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সবাই যতœবান হবেনÑ এমনটিও প্রত্যাশিত।

সর্বশেষ খবর