শিরোনাম
সোমবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

কর্ণফুলী সুরক্ষার উদ্যোগ

নদী দখলের অপকর্মের ইতি ঘটুক

বন্দরনগরী চট্টগ্রামের ঐতিহ্যের অনুষঙ্গ কর্ণফুলী নদীর পাড় থেকে সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে উদ্ধারকৃত এলাকায় ওয়াকওয়ে, বৃক্ষরোপণ ও বিনোদন কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। চট্টগ্রাম মহানগরী তথা বন্দরের প্রাণখ্যাত কর্ণফুলী নদী পাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে প্রথম পাঁচ দিনের অভিযানে ইতিমধ্যে উচ্ছেদ করা হয়েছে ২৩০টি স্থাপনা। উদ্ধার হয়েছে বেদখলে থাকা প্রায় ১০ একর ভূমি। আলোর মুখ দেখেছে পাঁচটি খাল। উচ্ছেদকৃত এ ভূমিকে নয়নাভিরাম-দৃষ্টিনন্দন রূপ দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। গত সোমবার শুরু হয় কর্ণফুলী নদীর উত্তর পাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম। বন্দর এলাকা থেকে শুরু করে মোহরা পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলেমিটার নদীর তীরকে তিন ভাগে ভাগ করে অভিযান শুরু হয়। প্রথম ধাপে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয় নগরের সদরঘাট থেকে বারিক বিল্ডিং মোড় পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার অংশে। শুক্রবার প্রথম ধাপের অভিযান শেষ হয়েছে। খুব শিগগিরই দ্বিতীয় পর্যায়ের অভিযান শুরু হবে। সরকার ও জেলা প্রশাসনের দায়িত্বশীলরা বলছেন, কর্ণফুলী পাড়ে অবৈধ কোনো স্থাপনা রাখা হবে না। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, উচ্ছেদকৃত এলাকা পরিষ্কারের কাজ শেষ হওয়ার পর অচিরেই দ্বিতীয় ধাপের অভিযান শুরু হবে। উচ্ছেদকৃত ভূমি যাতে আর কেউ দখল করতে না পারে, তার জন্য মার্কিং ও লাল রঙের নিষেধাজ্ঞা সাইনবোর্ড দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া উদ্ধারকৃত জমিতে বৃক্ষরোপণ, ওয়াকওয়ে, বিনোদন কেন্দ্র নির্মাণসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের নির্দেশনায় চলছে কর্ণফুলীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কাজ। উচ্ছেদের পরপরই নদীর পাড়জুড়ে ওয়াকওয়ে, বৃক্ষরোপণ ও বিনোদনের জন্য বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় আশা করা হচ্ছে কর্ণফুলী এবার দখলদারিত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি পাবে।  বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা, বালুসহ দেশের অন্য সব নদ-নদীর পাড় থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদেও একই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া  হবে আমরা এমনটিই দেখতে চাই।

সর্বশেষ খবর