মঙ্গলবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

দুধও বিপজ্জনক

কোনো খাদ্যে আস্থা রাখার উপায় নেই

কোনো খাদ্যই স্বস্তি নিয়ে খাবার উপায় নেই। কোনো কিছুতেই আস্থা রাখার উপায় নেই। নিরাপদ খাদ্য খাওয়ার আশা যেন ক্রমেই দুরাশায় পরিণত হচ্ছে। বাজার ও গৃহস্থ পর্যায়ে সংগ্রহ করা তরল দুধ ও প্যাকেটজাত গুঁড়া দুধ পরীক্ষা করে সরকারি প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ফুড সেইফটি ল্যাবরেটরি তাতে সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি কীটনাশক, সিসা এবং নানা ধরনের অ্যান্টিবায়োটিকের উপাদান পেয়েছে। সরকারি সংস্থাটি জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার আর্থিক সহায়তায় গাভীর খাবার, দুধ, দই ও প্যাকেটজাত দুধ নিয়ে জরিপের সময় ল্যাবরেটরির পরীক্ষায় নানা বিচ্যুতি ধরা পড়ে। গোখাদ্যের ৩০টি নমুনা গবেষণা শেষে দেখা গেছে, এর মধ্যে কীটনাশক ২টি নমুনায়, ক্রোমিয়াম ১৬টি নমুনায়, টেট্রাসাইক্লিন ২২টি নমুনায়, এনরোফ্লোক্সাসিন ২৬টি নমুনায়, সিপ্রোসিন ৩০টি নমুনায় ও আফলাটক্সিন ৪টি নমুনায় গ্রহণযোগ্য মাত্রার চেয়ে বেশি রয়েছে। গাভীর দুধের ৯৬টি নমুনার মধ্যে ৯ শতাংশ দুধে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি কীটনাশক, ১৩ শতাংশে টেট্রাসাইক্লিন, ১৫ শতাংশে সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি মাত্রায় সিসা পাওয়া যায়। ৯৬ শতাংশ দুধে মিলেছে বিভিন্ন অণুজীব। প্যাকেটজাত দুধের ৩১টি নমুনায় ৩০ শতাংশে সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি হারে আছে টেট্রাসাইক্লিন। একটি নমুনায় সিসা মিলেছে। একই সঙ্গে ৬৬ থেকে ৮০ শতাংশ দুধের নমুনায় বিভিন্ন অণুজীব পাওয়া গেছে। দইয়ের ৩৩টি নমুনা পরীক্ষা করে ১টিতে সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি সিসা পাওয়া গেছে। আর ৫১ শতাংশ নমুনায় মিলেছে বিভিন্ন অণুজীব। গোখাদ্যে সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি অ্যান্টিবায়োটিকের এবং কোনো কোনো খাবারের কীটনাশকের উপস্থিতি অশনিসংকেতের নামান্তর। সিসা ও ক্রোমিয়ামের উপস্থিতিও জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি বলে বিবেচিত। মানুষ পুষ্টির জন্য দুধ পান করে। বিভিন্ন খাবারে দুধের মিশ্রণ থাকে। সেই দুধ যদি স্বাস্থ্যহানি বিশেষত ক্যান্সারসহ বিপজ্জনক রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায় তাতে উদ্বিগ্ন না হয়ে পারা যায় না। জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেতন হতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর