বৃহস্পতিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ

হতাশায় ভুগছে পাকিস্তানিরা

বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়া এখন সারা বিশ্বের বিস্ময়। এদেশের প্রতি যারা বৈরী মনোভাব পোষণ করে সেই পাকিস্তানও উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে অনুকরণীয় বলে অভিহিত করছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীসহ বিশিষ্টজনরাও সুযোগ পেলেই বলছেন বাংলাদেশের উন্নয়নের কথা। পাকিস্তানের খ্যাতনামা পদার্থবিদ পারভেজ হুদভয় রাজনীতি ও সামরিক নীতি থেকে স্বাস্থ্য খাত- সব ক্ষেত্রে বাংলাদেশের দৃষ্টিকাড়া অগ্রগতির প্রশংসা করেছেন। বলেছেন, বাংলাদেশের সাফল্যের অন্যতম কারণ হলো, দেশটি নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও উন্নয়ন থেকে দৃষ্টি সরায়নি। অন্যদিকে পাকিস্তান উন্নয়নের চেয়ে ভারতকে টেক্কা দিতে গিয়েই নিজেকে নিঃশেষ করে ফেলছে। ৯ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের ডন পত্রিকায় ‘কেন পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে’ শিরোনামের এক নিবন্ধে তিনি লিখেছেন, ১৯৭১ সালে ‘শূন্য’ থেকে ২০১৮ সালে এসে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে সাড়ে তিন হাজার কোটি ডলারে। অন্যদিকে একই বছর পাকিস্তানের রপ্তানি আয় ছিল আড়াই হাজার কোটি ডলারেরও কম। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের উদ্ধৃতি দিয়ে পাকিস্তানি ওই খ্যাতনামা পদার্থবিদ বলেছেন, বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রা রিজার্ভের পরিমাণ পাকিস্তানের চেয়ে চার গুণ বেশি। বাংলাদেশের মাথাপিছু ঋণের পরিমাণও পাকিস্তানের অর্ধেকের চেয়ে কম। দুই দেশের এসব পার্থক্যের কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, জনগণের উন্নয়ন পাকিস্তান সরকারের কাছে কখনো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেনি। নীতিনির্ধারকরা সামরিক দিক থেকে ভারতকে টেক্কা দেওয়াই সবচেয়ে বড় দায়িত্ব মনে করেছেন। সংস্কৃতির ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ পাকিস্তানের চেয়ে অনেক বেশি উদার। পারভেজের মতে, পাকিস্তানের জন্য যা শিক্ষণীয় তা হলো, ট্যাংক বা ক্ষেপণাস্ত্রের দিক থেকে ভারতের সঙ্গে পাল্লা দেওয়া অসম্ভব। ছাদের ওপর থেকে ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান দিয়ে তলে তলে যুক্তরাষ্ট্র, চীন কিংবা সৌদির নির্দেশনা মেনে চলে পাকিস্তান কিছুই করতে পারেনি। পাকিস্তানকে অবশ্যই ‘যুদ্ধের অর্থনীতি’ বর্জন করে ‘শান্তির অর্থনীতির’ পথে হাঁটতে হবে। পাকিস্তানি পদার্থবিদদের মূল্যায়ন পাকিস্তানি শাসকদের শুভবুদ্ধির বিকাশে ভূমিকা রাখলে তাতে সে  দেশের মানুষ যেমন উপকৃত হবে, তেমন দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও সহাবস্থানের  ইতিবাচক পরিবেশ গড়ে উঠবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর