শুক্রবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

ক্যাম্পাসে সহাবস্থান

এ সুস্থধারা অব্যাহত রাখতে হবে

ডাকসু নির্বাচন সামনে রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবাহী মধুর ক্যান্টিন সব দল ও মতের ছাত্র সংগঠনের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছিল গত বুধবার। দীর্ঘ নয় বছর পর এদিন দেশের অন্যতম বৃহত্তম ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা ক্যান্টিনে আসেন। তাদের সেখানে স্বাগত জানান ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। বুধবার ছাত্র ইউনিয়নসহ অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীর সরব উপস্থিতিও ছিল মধুর ক্যান্টিনে। ১১ মার্চ অনুষ্ঠেয় ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংগঠনগুলোর সহাবস্থানকে ইতিবাচক ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে। ডাকসু নির্বাচনের ওপর দুই যুগের বেশি সময় ধরে অলিখিত নিষেধাজ্ঞা থাকার পর আগামী মাসের প্রথমার্ধেই হতে যাচ্ছে একসময়ের মিনি পার্লামেন্ট হিসেবে পরিচিত ডাকসু নির্বাচন। এ নির্বাচনে সব ছাত্র সংগঠনের অংশগ্রহণ এবং নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টির স্বার্থে ক্যাম্পাসে সহাবস্থান নিশ্চিত করার দাবি ওঠে। গত দুই যুগের বেশি সময় ধরে যখন যে দল সরকারে থেকেছে সে দলের ছাত্র সংগঠনের দখলে থেকেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। অন্যদের সঙ্গে দৃশ্যত নিষিদ্ধ সংগঠনের আচরণ করা হয়েছে। বুধবার মধুর ক্যান্টিনে দুই প্রধান ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের সহাবস্থান সে অকাম্য অবস্থার ইতি ঘটিয়েছে। ছাত্রলীগ ও ছাত্রদল নেতারা একে অন্যের সঙ্গে কুশলবিনিময় করেছেন; যা ছিল গত এক দশকে অকল্পনীয় বিষয়। পাশাপাশি টেবিলে বসে আড্ডা দেওয়া শুধু নয়, ছাত্রদলের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনও করা হয়েছে। ক্যাম্পাসে ইতিবাচক রাজনীতির সূচনার জন্য তারা সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। আশা করেছেন এ ধারা অব্যাহত থাকবে। দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংগঠনগুলোর সহাবস্থানকে আমরা স্বাগত জানাই। আমরা আশা করব, এ সহাবস্থান কোনো সাময়িক বা লোক দেখানো ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হবে না। সুস্থধারার রাজনীতির বিকাশে ছাত্র সংগঠনগুলো শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের সক্ষমতা দেখাবেÑ এমনটিই প্রত্যাশিত। আমাদের বিশ্বাস, সব পক্ষের অংশগ্রহণে সুষ্ঠুভাবে ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানে যা যা করা দরকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তা নিশ্চিত করবে। এটি তাদের কর্তব্য বলে বিবেচিত হওয়া উচিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর