শিরোনাম
সোমবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

মশার উৎপাত কমছে না

ডোবানালা পরিষ্কারের উদ্যোগ নিন

মশার উৎপাত থেকে কিছুতেই রক্ষা পাচ্ছে না রাজধানীর পৌনে দুই কোটি মানুষ। সন্দেহ নেই মশা শত বছর ধরেই রাজধানীবাসীর জন্য এক সাক্ষাৎ যন্ত্রণার নাম। মশার উৎপাত বন্ধে সাম্প্রতিককালে দুই সিটি করপোরেশনের তৎপরতা বাড়লেও সাফল্য সে অর্থে কম। বিশেষত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে এ ক্ষুদ্র কীটের আগ্রাসন তুলনামূলকভাবে বেশি। চলতি বছর মশা নিধনে উত্তর ঢাকার বাজেট বরাদ্দ ২১ কোটি টাকা, দক্ষিণের ২৩ কোটি। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে মশার ওষুধ ছিটানোর মেশিন ৯৪০টি। এর মধ্যে আছে হস্তচালিত ¯েপ্রয়ার, ফগার ও হুইল ব্যারো মেশিন। তবে তাদের অর্ধেক মেশিনই প্রায় অচল। অন্যদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে মশা নিধনের মেশিন আছে ৬৫৩টি। সেখানেও নষ্ট প্রায় অর্ধেক। নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রতিদিন মশার ওষুধ ছিটানোর জন্য পাঁচ-ছয়জন করে কর্মী নিযুক্ত আছে। তাদের দিনে দুবার ওষুধ ছিটানোর কথা থাকলেও নগরবাসী মশা নিধন কর্মীদের দেখতে পায় কালেভদ্রে। সিটি করপোরেশন কর্মকর্তাদের দাবি, বাসাবাড়ির আঙিনা, ফুলের টব, ছাদের বাগান, ভবনের চৌবাচ্চা, এসি-ফ্রিজ থেকে জমা পানিতে মশার বংশবিস্তার ঘটছে বেশি। ওইসব স্থানে মশককর্মীরা যেতে পারে না। কর্মীরা সঠিকভাবে মশক নিয়ন্ত্রণের কাজ করলেও নাগরিক সচেতনতার অভাবে প্রত্যাশিত ফল পাওয়া যাচ্ছে না। নগরবাসী সচেতন হলে মশা নিধনে আরও বেশি সাফল্য অর্জিত হবে। দায় এড়ানোর ছলাকলার পাশাপাশি মশা নিধনের ওষুধের মান নিয়েও প্রশ্ন দীর্ঘদিনের। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে মানহীন ওষুধ সরবরাহের অভিযোগে একটি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। মশা নিধনে সবচেয়ে আগে দরকার মশা উৎপাদনকারী ডোবা ও নালাগুলোকে নিয়ন্ত্রণে আনা। এ ক্ষেত্রে ব্যর্থতা থাকায় প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা ব্যয়ের পরও সুফল নিশ্চিত হচ্ছে না। নাগরিক সচেতনতার বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ।  বিশেষ করে রাজধানী ও আশপাশের ব্যক্তি মালিকানাধীন ডোবানালাগুলোর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত হলে মশার প্রজনন প্রক্রিয়ায় আঘাত হানা সম্ভব হবে। মশার উৎপাত থেকে রক্ষা  পেতে হলে এ বিষয়টি নিশ্চিত করা দরকার।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর