বুধবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

প্রধানমন্ত্রীর আমিরাত সফর

দুই দেশের বন্ধুত্ব নতুন উচ্চতায়

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করেছে। সফরকালে আমিরাত নেতাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের ফলশ্রুতিতে সে দেশে জনশক্তি রপ্তানি বৃদ্ধির পাশাপাশি বাংলাদেশে ধনাঢ্য আরব দেশটির বিপুল বিনিয়োগও আশা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী সোমবার আমিরাতের প্রধানমন্ত্রী ও আবুধাবির ক্রাউন প্রিন্স শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ানের সঙ্গে বৈঠককালে বাংলাদেশে আমিরাতের শাসক ও বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের আহ্বান জানান। তার প্রস্তাবকে সাগ্রহে সমর্থন জানান আমিরাত নেতৃবৃন্দ। এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী এবং দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মাদ বিন রশিদ আল মাকতুমের সঙ্গে বৈঠক করেন। সংবাদ সংস্থার খবরে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে বিনিয়োগের নতুন গন্তব্য হিসেবে চিহ্নিত করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। পাশাপাশি শ্রমবাজার নিয়ে বাংলাদেশের আগ্রহকেও তারা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে। ক্রাউন প্রিন্স বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বাস দিয়েছেন, শ্রমবাজার এবং বিনিয়োগের বিষয়টি তিনি নিজে দেখবেন। বাংলাদেশ সফরে আসার আগ্রহও দেখিয়েছেন ক্রাউন প্রিন্স। আবুধাবির বাহার প্যালেসে আমিরাতের প্রতিষ্ঠাতা আবুধাবির প্রয়াত শাসক শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের স্ত্রী শেখ ফাতিমা বিনতে মুবারক আল কেতবির সঙ্গে দেখা করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। রয়্যাল প্যালেসে ক্রাউন প্রিন্স নাহিয়ানের সঙ্গে বৈঠকের সময় তাকে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর আবুধাবি সফরের সময় সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিষ্ঠাতা শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর একটি ছবি উপহার দেন। সংযুক্ত আরব আমিরাত বাংলাদেশের অন্যতম শ্রমবাজার। দুই দেশের বন্ধুত্বের সূচনা বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে। বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও আমিরাতের প্রতিষ্ঠাতা শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের মধ্যে ব্যক্তিগত বন্ধুত্বও গড়ে উঠেছিল।  দুই দেশের সম্পর্ক গভীর হলে বিশেষত বাংলাদেশে আমিরাতের বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেলে তাতে ভ্রাতৃপ্রতিম দুই জাতিই উপকৃত  হবে বলে আশা করা যায়।

সর্বশেষ খবর