শিরোনাম
শুক্রবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

চকবাজারের অগ্নিকাণ্ড

এ ট্র্যাজেডির পুনরাবৃত্তি যেন না হয়

রাজধানীর পুরান ঢাকার চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বিপুল প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সকাল পর্যন্ত ৭০টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার রাত সাড়ে ১০টায় চকবাজারের চুড়িহাট্টা মসজিদের কাছে হাজী ওয়াহেদ মিয়ার বাড়িতে আগুনের সূত্রপাত। দ্রুত আগুন ধারে-কাছের আরও চারটি বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। তবে পানি সংকটে আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের হিমশিম খেতে হয়। অগ্নিকাণ্ডের পর ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি বিপুলসংখ্যক স্বেচ্ছাসেবী আশপাশের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেন। অগ্নিকাণ্ডে যে পাঁচটি বাড়ি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এর প্রতিটির নিচতলায় পারফিউমারি ও প্লাস্টিক সামগ্রীর দোকান ও গুদাম ছিল। অগ্নিকাণ্ডের পর স্বভাবতই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের হিমশিম খেতে হয়। বিপুলসংখ্যক প্রাণহানির পাশাপাশি অগ্নিদগ্ধ হয়ে এবং ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে বিপুলসংখ্যক লোক আহত হয়েছেন। তাদের কারও কারও অবস্থা আশঙ্কাজনক। স্মর্তব্য, প্রায় নয় বছর আগে ২০১০ সালের ৩ জুন পুরান ঢাকার নিমতলীতে কেমিক্যালের গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১২৪ জনের মৃত্যু হয়। তার পর থেকে পুরান ঢাকার ঘিঞ্জি এলাকা থেকে কেমিক্যাল দ্রব্যের দোকান, গোডাউন ও বিপজ্জনক বিভিন্ন ধরনের কারখানা সরিয়ে নেওয়ার দাবি ওঠে। সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকেও এ ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। তবে তা বাস্তবায়নের অভাবে আবারও ট্র্যাজেডির সম্মুখীন হতে হলো। চকবাজারের অগ্নিকাণ্ড প্রমাণ করেছে জননিরাপত্তার ক্ষেত্রে আমরা কতটা উদাসীন! চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিপুলসংখ্যক মানুষের প্রাণহানিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। আমরা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্ত এবং হতাহতদের যথাযথ ক্ষতিপূরণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই। এ ধরনের আর কোনো ট্র্যাজেডির পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে তা নিশ্চিত করতে পুরান ঢাকার জনবসতি এলাকা থেকে বিস্ফোরক দ্রব্যের দোকান ও গুদাম দ্রুত সরিয়ে নেওয়া হবে- এমনটিও কাম্য।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর