শুক্রবার, ১ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

জঙ্গি ও মাদকবিরোধী লড়াই

জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদক ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে তার সরকারের দৃঢ়প্রত্যয়ী মনোভাবের কথা আবারও পুনর্ব্যক্ত করেছেন। জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে দুই সংসদ সদস্যের উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও মাদক নিয়ন্ত্রণে আপসহীন মনোভাবের কথা তুলে ধরেন। মাদক নিয়ন্ত্রণে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাদক আগ্রাসন থেকে যুবসমাজকে মুক্ত রাখার জন্য সরকার বদ্ধপরিকর। সমাজকে মাদকমুক্ত করার জন্য বাস্তবমুখী পরিকল্পনার আওতায় নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এ উদ্দেশ্যে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ প্রণয়ন করা হয়েছে; যেখানে মাদকের পরিমাণভেদে সাজার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। জঙ্গিবাদ নির্মূলে জিরো টলারেন্স নীতির আলোকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কার্যক্রম পরিচালনা করছে। জঙ্গিবাদ দমনে পুলিশের অপারেশনাল ও লজিস্টিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে, স্পেশালাইজড নতুন ইউনিট কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ও অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট গঠন, বাহিনীর সদস্যদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ এবং আধুনিক তথ্য ও প্রযুক্তির ব্যবহার বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশ পুলিশ এযাবৎ বেশকিছু বড় ধরনের সফল অভিযান পরিচালনা করে জঙ্গি তৎপরতা প্রতিরোধ করেছে। জঙ্গিবাদ ও মাদক দুনিয়াজুড়ে মানবজাতির জন্য বিপদ হয়ে বিরাজ করছে। বাংলাদেশও এ বিপদ থেকে মুক্ত নয়। এ বিপদ থেকে জাতিকে রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী যে অঙ্গীকারবদ্ধ ভূমিকা পালনের কথা বলেছেন তা শুধু প্রাসঙ্গিক নয়, তাৎপর্যেরও দাবিদার। জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশ ইতিমধ্যে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে। সে পথ ধরেই চলছে দেশকে মাদকমুক্তির চেষ্টা। এ ক্ষেত্রেও সরকার সফল হবে- এমনটিই আশা করছে দেশবাসী। তবে শুধু সরকারি প্রচেষ্টায় জঙ্গিবাদ ও মাদকের মতো বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব নয়। এ ব্যাপারে জনসচেতনতাও সর্বোচ্চ মাত্রায় নিতে হবে। দেশের উন্নয়ন এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সুষ্ঠু বিকাশের স্বার্থে পুরো জাতিকে জঙ্গিবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে জয়ী হতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর