সোমবার, ৪ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

কেমিক্যাল স্থাপনা অপসারণ

সময়ক্ষেপণ আর যেন না হয়

পুরান ঢাকার আবাসিক এলাকা থেকে কেমিক্যাল কারখানা ও গোডাউন অপসারণে পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হয়নি এ অভিযোগ তুলে বাধা সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছে ব্যবসায়ীরা। বকশীবাজারে তাদের বিক্ষোভের মুখে কারখানা ও গোডাউন-সংশ্লিষ্ট ভবনগুলোর পানি, গ্যাস, বিদ্যুৎসহ ইউটিলিটি সার্ভিস বিচ্ছিন্ন করার অভিযান শনিবার দুই ঘণ্টা বন্ধ রাখা হয়। পরবর্তীতে মেয়র সাঈদ খোকনের হস্তক্ষেপে আবারও শুরু হয় অভিযান। শনিবার অন্তত ১৩টি ভবনের ইউটিলিটি সার্ভিস বিচ্ছিন্ন করে সরকার গঠিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নেতৃত্বাধীন টাস্ক ফোর্স। ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরিফ আহমেদের নেতৃত্বে বকশীবাজারে অভিযান চালিয়ে সেখানকার জয়চন্দ্র নাগ রোডের চারটি বাড়ির গ্যাস ও বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। একই সড়কের অন্য একটি বাড়িতে কেমিক্যাল গোডাউনের সন্ধান পাওয়া গেলে সেখানকার বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার সময় তাদের বাধা দেন ব্যবসায়ীরা। তারা নানা ধরনের স্লোগান প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ব্যবসায়ীদের তোপের মুখে একপর্যায়ে অভিযান স্থগিত করতে বাধ্য হয় টাস্কফোর্স। পরে বেলা আড়াইটার দিকে মেয়র সাঈদ খোকনের নেতৃত্বে বকশীবাজারের জয়চন্দ্র নাগ রোডে কেমিক্যাল গোডাউন অপসারণে পুনরায় অভিযান শুরু হয়। এ সময় তালিকা ধরে সেখানে থাকা কেমিক্যাল গোডাউনের বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এরপর বিকাল ৩টার দিকে প্লাস্টিক ও কেমিক্যাল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে বসে মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, কোনো গোডাউনের মালামাল জব্দ করা বা কাউকে সাজা দেওয়া নয়, হাজার হাজার মানুষের জীবন রক্ষা ও ঝুঁকি এড়ানোর জন্যই গোডাউনের বিদ্যুৎ, গ্যাসের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে। তিনি এ ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা চান। পুরান ঢাকার কেমিক্যাল কারখানা ও গোডাউনের কারণেই গত এক দশকে দুটি অগ্নিকাণ্ডে দুই শতাধিক মানুষের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। কারখানা ও গোডাউন স্থানান্তরে সরকারের পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়ার বিষয়টি গুরুত্বের দাবিদার। নিমতলী ও চুড়িহাট্টা ট্র্যাজেডির পুনরাবৃত্তি রোধে পুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যাল কারখানা ও গোডাউন অপসারণে সময়ক্ষেপণের পথ বেছে নেওয়া হবে না এমনটিই প্রত্যাশিত।

সর্বশেষ খবর