বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

ডাকসু নির্বাচন

ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত হোক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ ডাকসু নির্বাচনের দিকেই এখন দেশের সব সচেতন মানুষের দৃষ্টি। এক সময় জাতীয় নির্বাচনের পর ডাকসু নির্বাচনকে সবচেয়ে গুরুত্ব দেওয়া হতো। ডাকসুকে অভিহিত করা হতো মিনি পার্লামেন্ট হিসেবে। দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে ডাকসু নির্বাচন অবাঞ্ছিতভাবে ফ্রিজে আটকে থাকা সত্ত্বেও তা যে এখনো প্রাসঙ্গিক এ নির্বাচন সম্পর্কে দেশের শিক্ষিতজনদের আগ্রহ তারই প্রমাণ। একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর এখন দেশজুড়ে উপজেলা নির্বাচনের ঢেউ বইলেও তা পাশ কাটিয়ে সব মহলের দৃষ্টি নিবিষ্ট রয়েছে ডাকসু নির্বাচনের দিকে। নির্বাচনে ভোটের পরিবেশ কতটা থাকবে, শিক্ষার্থীরা অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট দিতে পারবে কিনা এমন প্রশ্নও উচ্চারিত হচ্ছে সব মহলে। শিক্ষাঙ্গনে তথা দেশে গণতন্ত্র চর্চার পরিবেশ জিইয়ে রাখার স্বার্থে ডাকসু ও হল নির্বাচনের ফলাফলে শিক্ষার্থীদের মতামত যাতে প্রতিফলিত হয় এমনটিই দেখতে চায় দেশের মানুষ। শিক্ষার্থীরা চান ডাকসু নির্বাচনে তারা যেন তাদের ভোট দিতে পারেন। নির্বাচনে কোন ছাত্র সংগঠন জিতবে তারচেয়েও ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার বিষয়টি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। স্বভাবতই নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটাধিকার নির্বিঘœ করাকেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে শিক্ষার্থীদের প্রধান দাবি হয়ে উঠেছে। ভোটের দিন কোনো পক্ষ বা শক্তি যেন নির্বাচন প্রভাবিত করতে না পারে এমন দাবি সাধারণ শিক্ষার্থী ও ভোটারদের। শিক্ষার্থীদের মতে, ডাকসুর সহসভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ নির্বাচিত নেতারা শুধু বিশ্ববিদ্যালয় নিয়েই কাজ করবেন না, তারা দেশের ক্রান্তিকালেও সারা দেশের শিক্ষার্থীদের দিকনির্দেশনা দেবেন। তাই তাদের হতে হবে সর্বজনীন। নিজেদের স্বার্থকে অন্যের জন্য বিলিয়ে দেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে নির্বাচিত নেতাদের মাঝে। ডাকসু নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশে সম্পন্ন না হলে সে নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের যোগ্যতা এবং নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে। গণতন্ত্র চর্চার বদলে স্বেচ্ছাচারিতার মানসিকতা বিস্তৃত হলে তা জাতির জন্য দেখা যাবে অশনি সংকেত হিসেবে। আমাদের বিশ্বাস বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিজেদের মর্যাদার স্বার্থেই সুষ্ঠু ডাকসু নির্বাচনকে তাদের কর্তব্য হিসেবে বেছে নেবেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর