শিরোনাম
শুক্রবার, ৮ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

আন্তর্জাতিক নারী দিবস

সমান অধিকার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিন

আন্তর্জাতিক নারী দিবস আজ। ১৯১০ সালে ডেনমার্কে অনুষ্ঠিত নারীদের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এ দিনটি আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তার পর থেকে দিনটি ঘটা করে পালন করা হতো সমাজতন্ত্রী শিবিরে। রাশিয়ায় বলশেভিক বিপ্লবের পর নারী দিবস সমাজতান্ত্রিক শিবিরে নারীমুক্তি আন্দোলনের অনুপ্রেরণাদায়ক দিন হয়ে দাঁড়ায়। ১৯৮৪ সালে জাতিসংঘ ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। তার পর থেকে প্রায় সব দেশেই দিনটি বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে পালন করা হয়। নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় মানবসমাজ কতটা এগোলো সেই বিশ্লেষণও করা হয় এই দিনে। বাংলাদেশে নারী উন্নয়নকে টেকসই উন্নয়নের পথ হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক নারীর উন্নয়ন ছাড়া যে জাতীয় উন্নয়ন সম্ভব নয় তা অনুধাবন করে প্রতিটি সরকার এ ক্ষেত্রে ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করেছে। এর ফলে দেশের রাজনীতিতে নারীরা দ্রুত স্থান করে নিতে সক্ষম হচ্ছে। ১৯৯১ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ২৮ বছরে সংসদের সরকার ও বিরোধী দল নারী নেতাদের দ্বারা পরিচালিত হয়েছে। জাতীয় অর্থনীতিতে ক্রমান্বয়ে বাড়ছে নারীর ভূমিকা। এ মুহূর্তে দেশের প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার ও সংসদে উপনেতা পদে যারা আছেন তারা নারী। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তিন মেয়াদে স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র, কৃষির মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় এ দেশের নারীরা পরিচালনার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। দেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাকশিল্পে যে ৪০ লাখ শ্রমিক কর্মরত তার সিংহভাগই নারী। অর্থনীতি ও রাজনীতিতে নারীর ভূমিকা অগ্রসর দেশগুলোর তুলনায় খুব বেশি পিছিয়ে না থাকলেও এখনো এ দেশের নারীরা ধর্মীয় গোঁড়ামি ও সামাজিক অনাচারের কারণে ভুগছে। দেশের ৮০ ভাগ নারীই কোনো না কোনোভাবে সহিংসতার শিকার। এ সহিংসতা দেশজ উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব রাখছে। পুরুষতান্ত্রিক মনোভাব নারীর ক্ষমতায়নে অন্তরায় হয়ে বিরাজ করছে।  নারীর প্রতি সহিংসতার ক্ষেত্রে তাদের কারও কারও আচরণ আইয়ামে জাহেলিয়াকেই যেন মনে করিয়ে দেয়। নিজেদের সভ্যসমাজের অংশ হিসেবে চাইলে নারীর অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় যতœবান হতে হবে। সহিংসতার ঘৃণ্য অভ্যাস থেকে সরে আসতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর