শিরোনাম
সোমবার, ১১ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

ডাকসু নির্বাচন

অচলায়তন ভাঙার দিন আজ

দীর্ঘ ২৮ বছরের অচলায়তন ভেঙে আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নয় দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে চলছে অপেক্ষার পালা। দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে দেশের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র সংসদ নির্বাচন হচ্ছে না। অঘোষিত নিষেধাজ্ঞার খড়গে বন্ধ থাকা ছাত্র সংসদ নির্বাচনের অচলায়তন ভাঙছে দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে। তবে নির্বাচনে পর্যাপ্ত সংখ্যক বুথ না থাকাসহ নানা অভিযোগ দানা বেঁধে উঠেছে নির্বাচন প্রার্থী এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে। ডাকসু নির্বাচনে নিবন্ধিত ভোটার সংখ্যা ৪৩ হাজার। হল ভেদে একজন ভোটারকে সর্বোচ্চ ৩৮টি ভোট দিতে হবে। ফলে প্রতি ১০০ ভোটারের জন্য একটি বুথ রাখার দাবি উঠেছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে পর্যাপ্ত সংখ্যক বুথ রাখা হবে ভোটারদের জন্য। হলগুলোর শিক্ষার্থী অনুপাতে ১৫ থেকে ৫০টি বুথ স্থাপন করা হবে। ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিñিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট এবং অনুমোদিত ব্যক্তি ছাড়া কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। গণতন্ত্রের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে সুষ্ঠুভাবে ডাকসু ও হল সংসদের নির্বাচন সম্পন্ন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ডাকসু নির্বাচনে আজ ২৫টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২২৯ জন প্রার্থী। এর মধ্যে সহসভাপতি পদে ২১, সাধারণ সম্পাদক পদে ১৪ ও সহসাধারণ সম্পাদক পদে ১৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, কোটা সংস্কার  আন্দোলন এবং বাম জোট কোমর বেঁধে নেমেছে। ডাকসুকে এক সময় বলা হতো মিনি পার্লামেন্ট। দেশের ইতিহাসের অনুষঙ্গ হিসেবে ভূমিকা পালন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ। আজকের নির্বাচনে ডাকসুর মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় শিক্ষার্থীরা সঠিক নেতৃত্ব নির্বাচিত করবে আমরা এমনটিই দেখতে চাই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর