বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

ওবায়দুল কাদেরের হার্ট অ্যাটাক ও আমাদের কিছু কথা

মোহন রায়হান

ওবায়দুল কাদেরের হার্ট অ্যাটাক ও আমাদের কিছু কথা

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে এখন সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে সিসিইউতে ভর্তি আছেন। এটা ছিল সিভিয়ার হার্ট অ্যাটাক। সাধারণত এরকম আ্যটাকে মানুষের বাঁচা কঠিন হয়। মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ অনুগ্রহে তিনি বেঁচে আছেন। দেশবাসী তাঁর দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া করছেন। শুরুতে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। বলা হয় তাঁকে দেশেই চিকিৎসা করা সম্ভব হবে। তবে বিশেষ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মতামতের জন্য ডেকে আনা হয় সিঙ্গাপুরের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং উপমহাদেশের কিংবদন্তি হার্ট সার্জন ডা. দেবী শেঠীকে। শেঠীর পরামর্শে কাল বিলম্ব না করে তাঁকে দ্রুত সিঙ্গাপুর পাঠানো হয়। তবে বাংলাদেশের ডাক্তাররা ওবায়দুল কাদেরকে সঠিক চিকিৎসা দিয়েছেন বলে দেবী শেঠীর বরাত দিয়ে গণমাধ্যম জানায়। যদি সত্যি সত্যি বাংলাদেশে সফল চিকিৎসার মাধ্যমে তাঁকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব হতো তাহলে একটি উদাহরণ তৈরি হতো। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মাদও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকেও সিঙ্গাপুর যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল কিন্তু মাহাথির যাননি। তিনি বলেছিলেন, ‘কোনো দেশের রাষ্ট্রপ্রধান যদি অন্যদেশে চিকিৎসা নিতে চায়, এর অর্থই হলো তার নিজ দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা একদমই ভালো নয়। এটা তার ব্যর্থতা। আমি নিজে বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা করাতে পারলেও আমার জনগণের তো সেই সামর্থ্য নেই।’ নিজ দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নত করে তিনি দেশেই চিকিৎসা করিয়েছিলেন এবং এখনো বেঁচে আছেন, সুস্থ আছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাকেও দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নত করে দেশেই চিকিৎসা নেওয়ার কথা বলতে শুনেছি। সে জন্য আপনি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব মেমোরিয়াল হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেছেন। আমাদের আশা একদিন দেশের প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, এমপি, ধনাঢ্য ব্যক্তিসহ সবাই নিজের দেশেই চিকিৎসা করাতে পারবেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে হবে না।

আশির দশকে ১৪টি ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে ‘ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ’ গঠন করে ওবায়দুল কাদেরসহ আমরা একসঙ্গে সামরিক স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন করেছি। লড়াই, সংগ্রামের ভালো-মন্দ, সুখ-দুঃখ, অশ্রু-বেদনার অনেক কথাই মনে পড়ে! এরশাদবিরোধী আন্দোলনের বিভিন্ন দলের অনেকেই এমপি, মন্ত্রী, কোটিপতি হয়েছেন তবে ওবায়দুল কাদের দেশের ঐতিহ্যবাহী, মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন। কম কথা নয়। বর্তমান আওয়ামী লীগের মুখপাত্র হিসেবে অনেক সক্রিয়। প্রতিদিন দেশ, রাজনীতি, সমাজ, মানুষ, শাসনব্যবস্থা, দল, বিরোধী দল, প্রতিপক্ষ নিয়ে কথা বলেন। তাঁর কথা ছাড়া দেশের গণমাধ্যমের প্রচার অসম্পূর্ণ থাকে। সেই মানুষটি আজ পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়াবহ অসুখ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে আস্তে আস্তে সুস্থ হয়ে উঠছেন! শুধু ওবায়দুল কাদেরই নন, দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ রাজনীতিবিদ, মন্ত্রী, এমপি, ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, লেখক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, শিল্পী এমন কোনো শ্রেণি নেই যাদের মধ্যে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, মানসিক চাপ নেই। শুধু বাংলাদেশই নয়, আধুনিক যন্ত্রনির্ভর এই মুনাফাকাক্সক্ষী শতাব্দীতে সারা বিশ্বেই এসব জীবনঘাতী রোগ ক্রমশ বিস্তার লাভ করছে। হৃদরোগ বিশ্বের সবচেয়ে বড় কিলার হিসেবে আবির্ভূত! পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি লোক মারা যায় হৃদরোগে। প্রতিদিন হৃদরোগে প্রায় ৫৫ হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে সারা বিশ্বে, প্রতি ঘণ্টায় ২ হাজর ৩০০ প্রতি মিনিটে ৩৮ জন। ২০১৭ সালে বাংলাদেশে মারা যায় ১ লাখ ১২ হাজার ৭৯১ জন, প্রতিদিন মারা গেছে ৩০৯ জন। অথচ একটু স্বাস্থ্যসচেতন হলেই মানুষ এই ভয়াবহ রোগগুলোকে প্রতিরোধ ও প্রতিকার করতে পারে অর্থাৎ এগুলো থেকে দূরে থাকতে পারে।

১৫টি মূল কারণে মানুষের হার্টের ব্লক বা হৃদরোগ হয়। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ডাক্তার অপারেশন করুক আর সবচেয়ে দামি রিং লাগান, ওই ১৫টি কারণ দূর না করলে আবার ব্লক হবে। যত রিং পরান, যতবার অপারেশন করান, বারবার হবে। ওই কারণগুলো দূর করার প্রধান উপায় লাইফস্টাইল পরিবর্তন করা। সব ডাক্তাররাই সে কথা স্বীকার করবেন কিন্তু কীভাবে কোন কোন বিষয়ে লাইফস্টাইল পরিবর্তন করতে হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত বলার কিংবা তদারকি করার সময় তাদের নেই! অপারেশন বা রিং হার্টের একটা অস্থায়ী ব্যবস্থা, বরং স্থায়ী ব্যবস্থা হচ্ছে খাদ্যাভ্যাস ও জীবনাভ্যাস পরিবর্তন করা। অর্থাৎ হার্টের চিকিৎসা একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা যা প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতিতে নেই। যে ব্যবস্থার উদ্ভাবক আমেরিকার নতুন ধারার চিকিৎসা পদ্ধতির জনক ডা. ডিন অর্নিশ আর এই উপমহাদেশে তার অনুসারী ভারতের ডা. বিমল ছাজেড়, এমবিবিএস, এমডি। ডা. অর্নিশের ‘Reversal Heart Disease’ চিকিৎসা পদ্ধতির আলোকে ডা. ছাজেড় Science And Art of Living (SAAOL) চিকিৎসা পদ্ধতি চালু করেছেন যা হার্টের রোগের পূর্ণাঙ্গ এবং স্থায়ী চিকিৎসা পদ্ধতি। পাশাপাশি একই পদ্ধতিতে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, মানসিক চাপও নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়। কারণ হার্টের রোগের ১৫টি কারণের মধ্যে এই তিন রোগ অন্যতম। বাংলাদেশে একমাত্র সাওল হার্ট সেন্টারই এ পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা ব্যবস্থা দিয়ে থাকে। গত ১০ বছরে সাওল ত্রিশ হাজারেরও বেশি রোগীকে এই যুগান্তকারী চিকিৎসা সেবায় সুস্থতা দিয়েছে।

আমি ব্যক্তিগতভাবে কলকাতা এ্যাপোলোতে হার্টের চিকিৎসা করাতে যেয়ে সেখানে ডা. বিমল ছাজেড়ের ‘হৃদরোগ মুক্তির পাঁচটি সহজ পদক্ষেপ’ বইটি পড়ে রিং বা বাইপাস না করেই সাওল পদ্ধতি অনুসরণ করি ও সুস্থ হয়ে ডা. বিমল ছাজেড়কে বাংলাদেশে নিয়ে আসি এবং সবার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জায়গা-জমি বিক্রি করে ঢাকায় সাওল হার্ট সেন্টার প্রতিষ্ঠা করি। সম্প্রতি চট্টগ্রামেও একটি শাখা হয়েছে। আমাদের প্রতীতি হলো, সাওল পদ্ধতি অনুসরণ করলে যাদের হার্ট ব্লকেজ হয়েছে তারা যেমন বিনা রিং, বিনা অপারেশনে হার্টের রোগ প্রতিকার করতে পারবেন তেমনি যাদের এখনো হার্টের রোগ হয়নি তারা এর থেকে মুক্ত থাকবেন আর নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন ডায়াবেটিস, ব্লাডপ্রেসার আর মেনটাল স্ট্রেস। শুধু দরকার স্বাস্থ্য সচেতনতা। যে কারণে আমরা একটি স্বাস্থ্য সচেতনতার সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছি। প্রতি সপ্তাহে ফ্রি হার্ট, ডায়েট, ইয়োগা-মেডিটেশন সেমিনার এবং দেশব্যাপী জাতীয় ও আঞ্চলিক সেমিনারের আয়োজন করছি। আমি নিশ্চয়তা দিয়ে বলতে পারি, যারাই এই সেমিনারে অংশ নেবেন তাঁরাই এসব মহাঘাতক রোগ থেকে আমারই মতো দূরে থাকতে পারবেন।

দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অকালে মৃত্যুবরণ করেছেন। তবে যারা এখনো হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, ব্লাডপ্রেসার, মেনটাল স্ট্রেসের ঝুঁকির মধ্যে আছেন, উদ্বিগ্ন-উৎকণ্ঠায় থাকেন, আমি মনে করি, ওবায়দুল কাদেরের হৃদরোগের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনার মধ্য দিয়ে প্রত্যেকেরই সচেতন হওয়া উচিত। শুধু সচেতন হলেই চলবে না, দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে যাতে কেউ আর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অকাল মৃত্যুর কোলে ঢলে না পড়েন। এ ব্যাপারে সবচেয়ে জরুরি এ বিষয়ে সম্যক জ্ঞান। সাওল হার্ট সেন্টার সেই কাজটি যারপরনাই গুরুত্ব দিয়ে করে থাকে। সুস্থ থাকার পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা সম্পর্কে সেমিনারগুলোর মাধ্যমে সবিস্তারিত জানিয়ে থাকে এবং অনুশীলন করিয়ে দেয়। সাওলের প্রবক্তা ডা. বিমল ছাজেড় পৃথিবীর একজন অন্যতম শ্রেষ্ঠ লাইফস্টাইল বিশেষজ্ঞ, যিনি যে কোনো সাধারণ মানুষকেও এক-দুই দিনের সেমিনারে লাইফস্টাইল বিশেষজ্ঞ বানিয়ে দিতে সক্ষম। সাওলের চিকিৎসা নেওয়া একজন সাবেক এমপি বলেছিলেন, সাওল এমন একটি পদ্ধতি যেখানে রোগী নিজেই তার ডাক্তার।’ ডাকসুর সাবেক ভিপি আখতারউজ্জামান লিখেছেন, ‘আমি ডাক্তার ছাজেড়ের কথা দ্বারা বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত। আমি বিশ্বাস করি কেউ যদি সাওল জীবনপদ্ধতি মেনে চলতে পারেন তাহলে হার্ট ব্লকেজ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং মানসিক চাপের মতো ভয়াবহ রোগ থেকে শঙ্কামুক্ত নিরাপদ জীবনযাপন করতে পারবেন। পাশাপাশি অনেক সাধারণ রোগেরও নিরাময় ঘটাতে পারবেন।’

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জনাব ওবায়দুল কাদের আপনার অত্যন্ত স্নেহভাজন এবং বিশ্বস্ত। তিনিই আজ সিভিয়ার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালের বেডে শয্যাশায়ী। আপনার মনে কতটা কষ্ট, কী ঝড় বয়ে গেছে, সে শুধু আপনি জানেন! আমরা কেউই চাইনি আপনার বুক কঠিন আঘাতে ভেঙে চুরমার হয়ে যাক। কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা করি উনি দ্রুত আরোগ্যলাভ করুন, ফিরে আসুন দেশের মাটিতে।

ফিরে এসে তিনি যেন আর কখনোই এই জীবনসংহারী রোগে আক্রান্ত না হন আর আপনার চারপাশে যারা আছেন মন্ত্রী, এমপি, নেতা-কর্মী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা তারাও যেন এসব ঘাতক রোগ এড়িয়ে চলতে পারেন। আপনার প্রয়োজনীয় এবং প্রিয়জন যাদের আপনি সহসাই বা অকস্মাৎ হারাতে চান না, তাদের সচেতনতা ও সুস্থতার জন্য গণভবন কিংবা অন্য কোনো যথাযথ স্থানে সাওল পদ্ধতির জনক ডা. বিমল ছাজেড়ের একটি জ্ঞানগর্ভ লেকচার আয়োজনের ব্যবস্থা করার জন্য আপনার কাছে আকুল আবেদন জানাই। আমরা নিশ্চিত, এটি একটি অত্যন্ত জনকল্যাণমূলক উদ্যোগ হবে। অংশগ্রহণকারীরা প্রত্যেকেই নিজেদের সুস্থতার জন্য উদ্বুদ্ধ হবেন, অনুপ্রাণিত হবেন। আমার কথায় বিশ্বাস স্থাপন করার জন্য আপনার খুব কাছের কয়েকজন মানুষের কাছে জানতে পারেন, যারা অনেকেই সাওলের সেমিনারে একাধিকবার অংশ নিয়েছেন এবং অন্যদের উদ্বুদ্ধ করেছেন। আপনার চাচা বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের মেম্বার সেক্রেটারি শেখ হাফিজুর রহমান, ডাকসুর সাবেক ভিপি আখতারউজ্জামান, সাবেক মন্ত্রী খ. ম. জাহাঙ্গীর, বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী আ্যডভোকেট শ ম রেজাউল করিম, সাবেক চিফ হুইপ আবদুস শহীদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকÑওনারা ডা. ছাজেড়ের লেকচার শুনেছেন এবং সাওলকে সব সময় সমর্থন ও সহযোগিতা করে থাকেন। আরও একজন সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান, যার বিশেষ সহযোগিতার জন্য ডা. বিমল ছাজেড়কে বাংলাদেশে আনা সম্ভব হয়েছে, তার কাছেও জানতে পারেন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমরা জানি- আপনি দেশের সব মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য সংকল্পবদ্ধ। সেক্ষেত্রে নানা উদ্যোগও গ্রহণ করেছেন। কাটাছেঁড়ার ঝুঁকিপূর্ণ অপারেশন পদ্ধতির ব্যয়বহুল চিকিৎসা সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকা অবস্থায় পঞ্চম সাওল হার্ট সেমিনারে ডা. দীপু মনি বলেছিলেন, বাংলাদেশে যত হাসপাতাল আছে সবগুলো মিলিয়েও দেশে যত হার্ট-পেশেন্ট আছে তাদের চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব নয়। অতএব সাওল পদ্ধতিকে সারা দেশে তৃণমূল পর্যন্ত ছড়িয়ে দিতে হবে।’ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার কাছে সবিনয় নিবেদন, আপনি আমাদের শুধু একবার সাওল পদ্ধতি সম্পর্কে আপনাকে এবং আপনার স্বজন ও সহকর্মীদের জানানোর সুযোগ করে দিন। আমরা কথা দিচ্ছি, এতে সবাই প্রভূত উপকৃত হবেন। আমরা চাই যেন আর কেউই ওবায়দুল কাদেরের মতন অদৃশ্য নীরব ঘাতক দ্বারা আক্রান্ত না হন। আর এ ব্যাপারে দেশ ও জাতির সবচেয়ে বড় ভরসা হতে পারেন আপনি নিজে। আশা করি আমাদের এই মানবিক আবেদনে সাড়া দিয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে সাওলের ‘সুস্থ হৃদয় সুস্থ জীবন’ আন্দোলন দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে আপনি আপনার অকুণ্ঠ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন। আমরা কৃতার্থ হব। দেশ ও জাতির কল্যাণ হবে।

লেখক : কবি এবং সাওল হার্ট সেন্টার, বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা। ই-মেইল : [email protected]

সর্বশেষ খবর