বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

বিদাত থেকে সাবধান

মাওলানা মুহম্মাদ সাহেব আলী

বিদাত আরবি শব্দ যার আভিধানিক অর্থ নতুন কোনো বিষয় সৃষ্টি বা উদ্ভাবন করা। শরিয়তের পরিভাষায় দীনদারি কিংবা আমল ও ইবাদতের নামে নব উদ্ভাবিত এমন সব কাজ, যা রসুল (সা.) কোনো সময় করেননি এবং যার কোনো নমুনা সাহাবি কিংবা তাবেঈনদের যুগেও পাওয়া যায়নি। সুতরাং সে দীনদারি কিংবা এবাদতের নমুনা আল্লাহর রসুল (সা.) বা সাহাবায়ে কেরাম অথবা তাবেঈনদের কাছ থেকেও পাওয়া যায় না, তা কোনো দীনদারি নয় এবং কোনো এবাদতও নয়। বিদআতের কয়েকটি সহজ পরিচয় হলো বিদআত সুন্নাতের চেয়ে অতিরিক্ত, সুন্নাতের একরূপ বিদআতের বহুরূপ, সুন্নাত আল্লাহ রসুল থেকে অনুসৃত আর বিদআত ব্যক্তিবিশেষ কর্তৃক উদ্ভাবিত, তাই বিদআতের ব্যাপারে আল্লাহর রসুল (সা.) কঠোর সতর্ক বাণী উচ্চারণ করেছেন। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি এমন কোনো কাজ করল, যা করা সম্পর্কে আমাদের কোনো হুকুম বা নির্দেশনা নেই তা অগ্রাহ্য। যে ব্যক্তি আমাদের দীনি কাজের ওপর অন্য কোন কোন কাজ আবিষ্কার করল তা হবে অগ্রাহ্য। (আবু দাউদ, হাদিস-৪৬০৬, ইবনে মাজাহ, হাদিস-১৪)। সাবধান, তোমরা দীনে নতুন কোনো (এবাদত) কিছু করা হতে বিরত থাকবে। কেননা, এতে প্রত্যেক নতুন কিছু করার নামই বিদআত। আর প্রত্যেক বিদআতই গোমরাহি আর প্রত্যেক গোমরাহি হবে জাহান্নামি। (আবু দাউদ-৪৪৪৩, ইবনে মাজাহ-৪৬)। বিদআতিরা ইহকাল ও পরকাল দুই জগতেই লাঞ্ছিত হবে। তাদের জন্য অপেক্ষা করবে খারাপ পরিণাম।  ১. যারা বিদআত করে তারা হাশরের ময়দানে হাউসে কাওসারের পানি পান করতে পারবে না। ২. দুনিয়াতে তাদের দোয়া কবুল করা হবে না। ৩. বিদআতিরা চরমভাবে লাঞ্ছিত। ৪. বিদআতিদের চূড়ান্ত পরিণাম জাহান্নাম। আল্লাহ আমাদের সবাইকে কোরআন ও হাদিসের আলোকে এবাদত এবং জীবনযাপনের তাওফিক দান করুন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর