শুক্রবার, ১৫ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

দশম বছরে বাংলাদেশ প্রতিদিন

সত্য প্রকাশে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ

বাংলাদেশ প্রতিদিন দশম বছরে পদার্পণ করছে আজ। নয় বছর আগে এলাম এবং জয় করলাম অভিধার সার্থক রূপায়ণ ঘটেছিল নতুন প্রজন্মের এ দৈনিকটির অভ্যুদয়ে। পূর্বপ্রস্তুতি ছাড়াই পথচলা শুরু করলেও দেশবাসীকে ভরসার স্থল হিসেবে বেছে নিয়েছিল বাংলাদেশ প্রতিদিন। পাঠকদের ভালোবাসাই আমাদের এগিয়ে যেতে সাহস জুগিয়েছে। প্রথম বছরেই প্রচারসংখ্যার শীর্ষে পৌঁছতে সম্ভব হয় বাংলাদেশ প্রতিদিন। দেশবাসীর ভালোবাসায় সে অবস্থান শুধু ধরে রাখা নয়, গত নয় বছরে প্রতিদিনই সম্প্রসারিত হয়েছে। আমাদের কাফেলায় প্রতিদিন আরও বেশি পাঠক জড়ো হয়েছেন। বাংলাদেশ প্রতিদিন পথচলার ক্ষেত্রে সত্যকে মিথ্যার সঙ্গে মিশ্রিত না করার ঐশী নির্দেশনাকে অনুসরণ করেছে সর্বক্ষেত্রে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, গণতন্ত্র এবং সমৃদ্ধ দেশ গড়ার প্রত্যয়কে আমরা পাথেয় হিসেবে নিয়েছি। নেতিবাচক ধ্যান-ধারণাকে হটিয়ে প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় দেওয়ার চেষ্টা করেছে বাংলাদেশ প্রতিদিন। প্রতিটি ক্ষেত্রে মুক্তবুদ্ধি ও মুক্ত বিবেকের প্রতিধ্বনি হিসেবে নিজেদের চিহ্নিত করতে চেয়েছে। বাংলাদেশ প্রতিদিন চলার পথে কারও সঙ্গে প্রতিযোগিতা নয়, নিজেকে প্রতিনিয়ত অতিক্রম করাকে করণীয় কর্তব্য হিসেবে বেছে নিয়েছে। সাধ ও সাধ্যের বৈপরীত্য বহু ক্ষেত্রে প্রত্যাশা পূরণে বাধা সৃষ্টি করলেও ইপ্সিত লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমরা কখনো পিছপা হইনি। দশম বছরে পদার্পণের এই স্মরণীয় দিনে আমরা পাঠকদের আশ্বস্ত করতে চাই, যে কোনো মূল্যে বাংলাদেশ প্রতিদিন সত্য, সুন্দর ও কল্যাণের পথে চলা অব্যাহত রাখবে। মানুষের হৃদয়রাজ্যে স্থান পাওয়া দৈনিক হিসেবে নিজেদের যে গর্বিত পরিচিতি গড়ে উঠেছে তা সমুন্নত রাখায় আমাদের কোনো কার্পণ্য থাকবে না। প্রচারসংখ্যায় শীর্ষে থাকার কৃতিত্বে আত্মতৃপ্তি নয়, বরং আরও বেশি দায়িত্বশীল হওয়াকে আমরা কর্তব্য হিসেবে বেছে নেব। সংবাদ পরিবেশনে সক্রিয় নিরপেক্ষতার নীতিতে অটল থাকবে বাংলাদেশ প্রতিদিন। ব্যক্তি, দল বা গোষ্ঠীর বদলে দেশবাসীর কাছে অঙ্গীকারবদ্ধ থাকার নীতি আগামী দিনগুলোতেও অব্যাহত থাকবে। এ লক্ষ্য অর্জনে আমরা সর্বশক্তিমানের সহায়তা চাই। সহৃদয় পাঠক, লেখক, বিজ্ঞাপনদাতা ও শুভানুধ্যায়ীদের সমর্থন অব্যাহত রাখারও সনির্বন্ধ আবেদন জানাই।

সর্বশেষ খবর