মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

পিতার শততম জন্মদিন

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম

পিতার শততম জন্মদিন

১৭ মার্চ ছিল বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মদিন। আগামী ১৭ মার্চ হবে শততম জন্মবর্ষ। আমি জাতির পিতার অনুরক্ত-ভক্ত। তাঁর সম্পর্কে অনেকটাই অন্ধ। বহু ক্ষেত্রে কমবেশি বিচার-বিশ্লেষণ করতে পারি, তবে পিতার ক্ষেত্রে নয়। একসময় নেতাজি সুভাষ বোসের ভক্ত হিসেবে মহাত্মা গান্ধীকে পছন্দ করতাম না, শত্রু মনে করতাম। ইন্দিরা গান্ধীকে মায়ের মতো দেখলেও তার বাবা পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরুকে ততটা সম্মানের চোখে দেখতাম না, শত্রুর মতো মনে করতাম। কিন্তু সেই আমি ধীরে ধীরে মহাত্মা গান্ধী, জওহরলাল নেহেরুর বই-পুস্তক পড়ে ইতিহাস ঘেঁটে একটা বিষয় বুঝতে চেষ্টা করেছি, একদিকদর্শিতা কোনো কাজের কথা নয়। একজন যাকে ভালো বলে অন্যজন তাকেই খারাপ বলে। ভালো আর খারাপ কোনোটাই নিঃশর্ত নয়। সবকিছুতেই স্বার্থ অথবা আবেগ থাকে। কাউকে ভালোবাসলে তার সম্পর্কে ভালোমন্দ বিচার করা যায় না। আর আমি তো যৌবনে প্রেম করিনি, কোনো নারীপ্রেমে অন্ধ হইনি। আমার সমস্ত প্রেম জননী জন্মভূমির প্রতি। আর তার প্রধান মাধ্যম লতিফ সিদ্দিকী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাই তাঁকে নিয়ে কোনো নিরাসক্ত বিচার-বিবেচনা আমার কাছে আশা করা একেবারেই বাতুলতা। আমি মনে করি, বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু মানে স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধুকে নিয়েই আমার হাসি-কান্না-আনন্দ-বেদনা। আমি একসময় ছিলাম স্কুল পালানো, বার বার বাড়ি পালানো অকর্মাদের একজন। বাড়ি থেকে পালিয়ে ঢাকা শহরে রিকশা চালিয়ে খেয়েছি। স্কুল-কলেজে যত দিন গেছি শিক্ষকদের যাতে চোখে না পড়ি সেজন্য পেছনের বেঞ্চে বসেছি। ’৬৫ সাল পর্যন্ত মুখচোরা, পালিয়ে বেড়ানো যুবক ছিলাম আমি। ’৬৭-এর শেষ ভাগে পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে বাড়ি ফিরে বিন্দুবাসিনী থেকে প্রাইভেটে ম্যাট্রিক পাস করে করটিয়া কলেজে ভর্তি হয়েছিলাম। তখন আমার মধ্যে কোনো আত্মবিশ্বাস ছিল না, ভালোমন্দ, ন্যায়-অন্যায়ের বিচার-বিবেচনা ছিল না।

আমার বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী ছিলেন তখন টাঙ্গাইল জেলার প্রাতঃস্মরণীয় ছাত্রনেতা। জেলা পর্যায়ের কোনো নেতার সারা পূর্ব পাকিস্তানে অমন দুর্বার জনপ্রিয়তা অন্য কারও ছিল না। ভৈরব কলেজে নবীনবরণে যেখানে লতিফ সিদ্দিকী প্রধান অতিথি সেখানে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান ছিলেন সাধারণ বক্তা। সেই ভাইকে দেখে রাজনীতিতে জড়িয়ে ছিলাম। সেটা ছিল আইয়ুব-মোনায়েমবিরোধী আন্দোলনের সময়। ’৬৮ সালে যেদিন প্রথম করটিয়া কলেজের আমতলে ছাত্রসমাবেশে বক্তৃতা করেছিলাম গলায় পাথর আটকে ছিল। নাক-কান ঘেমে একাকার হয়েছিল। কোনো কথাই মুখে আসছিল না। কিন্তু তবু জোর করে কী বলেছিলাম মনে নেই। ’৬৮-এর মাঝামাঝি থেকে ’৬৯- সব জড়তা কেটে গিয়েছিল। ঘণ্টার পর ঘণ্টা আনুষ্ঠানিক সভা-সমাবেশে, হাটে-বাজারে, রাস্তার মোড়ে মোড়ে চিৎকার-পাৎকার করতাম। কেন যেন কোনো ভয় হতো না। ভয়কে জয় করেছিলাম সেই জীবনের শুরুতে। কষ্ট অনেক পাই, চারদিক থেকে নানারকম আঘাত আসে। কিন্তু কোনো ভয় হয় না। এক বিশ্বাসে বেঁচে আছি, মহান আল্লাহ দয়াময় প্রভু আমার নসিবে যা রেখেছেন কেউ তা খণ্ডন করতে পারবে না। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে প্রথম দেখা ’৫৭ সালে। তখন আমার বছর দশেক বয়স। একেবারে শোলার মতো লম্বা ছিলাম। ফেব্রুয়ারিতে কাগমারী মহাসমাবেশে হুজুর মওলানা ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও অন্যদের সঙ্গে যুবনেতা শেখ মুজিব ছিলেন। আমার মতো লম্বা ছিলেন এটাই ছিল মনে রাখার মতো বৈশিষ্ট্য। এরপর ’৬২ সালে আইয়ুব খানের বুনিয়াদি গণতন্ত্রের বাসাইলের এক নির্বাচনে তিনি এসেছিলেন। আইয়ুব খানের প্রার্থী ছিলেন করটিয়ার কোনো জমিদার আর ফ্রন্টের ছিলেন খোদাবক্স মোক্তার। সে সময় সীমিত ভোটে তেমন কিছু করার ছিল না। প্রবল জনমতের চাপের পরও টাকাপয়সা খেয়ে বিডি মেম্বাররা সরকারি দলের লোককে ভোট দেন। কিন্তু বিরোধী দল তখন এখনকার মতো অসহায় ছিল না, প্রতিবাদের শক্তি ছিল, জনগণ পাশে ছিল। এখন যেমন রাজনৈতিক দলের জনগণের ওপর ভরসা নেই, জনগণেরও রাজনৈতিক দল বা নেতার ওপর তেমন আস্থা নেই। সে সময় বঙ্গবন্ধু আমাদের টাঙ্গাইলের বাড়ি এসেছিলেন। তারও কদিন আগে বা পরে আরেক বিডি মেম্বারের ভোটে পার্লামেন্ট নির্বাচনে আমরা জননেতা আবদুল মান্নানের পক্ষে ছিলাম। কিন্তু তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। দেওয়া হয়েছিল অন্যজনকে। আমরা প্রচণ্ড বিরোধিতা করেছিলাম। বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী এমনও বলেছিলেন, তাকে টাঙ্গাইলের ওপর দিয়ে যেতে দেওয়া হবে না। আমরা রাগারাগি করে ময়মনসিংহ থেকে ফেরার ২-৩ ঘণ্টা পরই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব টাঙ্গাইল বাসস্ট্যান্ডে আসেন। কারণ তখন ময়মনসিংহ থেকে সরাসরি ঢাকা যাওয়ার কোনো রাস্তা ছিল না। সে কারণে নেত্রকোনা-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ-জামালপুর-শেরপুরের লোকজনকে টাঙ্গাইলের ওপর দিয়ে যেতে হতো। তাই এসেছিলেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭-৮টা হবে। আমরা তাঁর বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছিলাম। গাড়ি থেকে নেমে গর্জে উঠলেন, ‘এই থাম’। লতিফ ভাইসহ আরও কে কে যেন ছিলেন। আমরা থেমে গেলাম। লতিফ ভাই আবার স্লোগান দিতে যাচ্ছিলেন। ‘এই এদিকে আয়।’ ফজলুর রহমান খান ফারুক, শাজাহান সিরাজ, আল মুজাহিদী, ফজলুল করিম মিঠু ছিলেন কিনা এখন মনে নেই। নেতাদের দু-একজনের মাথায় হাত দিয়ে বললেন, ‘মান্নানকে নমিনেশন না দেওয়ায় তোরা কষ্ট পেয়েছিস? আমি কি তোদের থেকে কম পেয়েছি?’ খুব সম্ভবত লতিফ ভাইকে বলেছিলেন, ‘লতিফ, আমি ইচ্ছে করলেই কি সব পারি?’ ওই এক কথায় সব পানি হয়ে গেল। আমরা চুপ হয়ে গেলাম। বঙ্গবন্ধু ১০০ টাকা আমার হাতে দিয়ে বললেন, ‘যা মিষ্টি নিয়ে আয়।’ টাকা নিয়ে ছুটলাম মিষ্টিপট্টি। তখন খোকা ঘোষ বা এখন যাদের নাম তাদের কেউ ছিল না। ৩৮ টাকায় ২০-২৫ কেজি মিষ্টি এনে গাড়িতে দিয়ে যখন বাকি টাকা ফেরত দিচ্ছিলাম লতিফ ভাইকে বললেন, ‘কী রে এটা তোর ভাই না?’ ‘হ্যাঁ, আমার ভাই।’ ‘নেতাদের টাকা ফেরত দিয়ে তোর ভাই কী করে রাজনীতি করবে?’ আমার মাথায় ছোট্ট একটা থাপড় দিয়ে বললেন, ‘সব নেতার টাকাই কি আপনি এমন করে ফেরত দেন?’ আমি মাটির সঙ্গে মিশে গিয়েছিলাম। টিটকারিরও তো একটা মাত্রা থাকে। লতিফ ভাইকে ‘তুই’, আমাকে বললেন ‘আপনি’। এরপর খুব বেশি দেখা হতো না। দেখা হওয়ার তেমন সুযোগও ছিল না। ’৬৫-তে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর ‘বাঙালি রুখিয়া দাঁড়াও’ বলে বঙ্গবন্ধু এক প্রচারপত্র ছেড়েছিলেন। তারপর বঙ্গবন্ধু হয়েছিলেন আইয়ুব-মোনায়েমের প্রধান শত্রু। সকালে জেলে বিকালে মুক্তি। সিলেট থেকে ময়মনসিংহ, ময়মনসিংহ থেকে নারায়ণগঞ্জ, সেখান থেকে যশোর একের পর এক গ্রেফতারি পরোয়ানা। ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে জামিন নামঞ্জুর জজকোর্টে মঞ্জুর- এটা ধারাবাহিকভাবে চলছিল ’৬৮ সাল পর্যন্ত। হঠাৎ করেই আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আবির্ভাব। প্রথম গেজেটে বঙ্গবন্ধুর নাম ছিল না, ছিল কিছু সামরিক-বেসামরিক অফিসারের নাম। হঠাৎই ’৬৮-এর ১৮ জানুয়ারি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে শেখ মুজিবকে মুক্তি দিয়ে জেলগেট থেকে সামরিক বাহিনীর লোকেরা সামরিক গাড়িতে তুলে ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে যায়। তিনি জীবিত না মৃত কয়েক মাস কারও জানা ছিল না। হঠাৎ একদিন শোনা যায় আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় শেখ মুজিব প্রধান আসামি। কী দুর্ভাগ্য! যারা আগরতলা মামলায় বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন, মামলা রজু করেছিলেন তারাও স্বাধীনতার পর অনেক বড় বড় পদ পেয়েছে। আর এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সে যাক, এগুলো আমার বিচার্য নয়। বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মদিনে আমার বিচার্য শেখ মুজিবের জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না, আমি বীরউত্তম হতাম না, জিয়াউর রহমান জিয়াউর রহমান হতেন না, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নাম কোথাও খুঁজে পাওয়া যেত না। আজ যারা নেতা-পাতিনেতা তাদের কোথাও পেতাম না। এসব জায়গায় তারা আসতেনই না। কেউ কেউ হয়তো দু-একটা ভালো চাকরি করতেন, আরাম-আয়েশে থাকতেন। কিন্তু সেটা গোলামির বাইরে অন্য কিছু বলা যেত না। সেদিন কোথায় যেন একজন মাঝারি ধরনের লোককে ৭ মার্চের ভাষণের নানা ত্রুটি-বিচ্যুতি নিয়ে কথা বলতে দেখলাম। মনে হয় সে সময় তিনি থাকলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের চেয়ে অনেক ভালো বক্তৃতা দিতেন এবং ৭ মার্চে দেশকে স্বাধীন করে ফেলতেন। বড় দুঃখ হয়, যার পেট থেকে বাচ্চা জন্মে তার ব্যথার চেয়ে যে বাচ্চা ধারণই করেনি প্রসব তো দূরের কথা, তার ব্যথা অনেক বেশি। ছেলেবেলায় শুনেছিলাম, ‘অ্যাঙ্গ উদে ব্যাঙ উদে, খইলস্যা কয় আমিও উদি’ ঠিক অনেকটা সে রকম। আমরা সবাই মিলে যেমন দেশ স্বাধীন করেছিলাম, তেমনি সবাই মিলে কেন যেন দেশ গড়তে পারলাম না। দেশে মায়া-মমতা-মানবতার আবহাওয়া সৃষ্টি করতে পারলাম না। বড় কষ্ট হয়। যে মানুষটা নিজের পরিবার-পরিজনের চেয়ে দেশ এবং দেশের মানুষকে বেশি ভালোবেসেছিলেন তাঁকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে তথাকথিত কিছু বাঙালির হাতে নিহত হতে হলো। দেশ এমনভাবে ভাগ হয়ে যাচ্ছে যে অনেকের কাছে পাকিস্তান ভালো, তবু বাংলাদেশ নয়। বাংলাদেশের নেতা শেখ মুজিব নয়। কোনো কোনো সময় শেখ মুজিবের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে কত কি তুলনা করা হয়। বীরউত্তম জিয়াউর রহমানের ভক্ত-অনুরক্তরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে কিছুই মনে করেন না। বাংলাদেশ না হলে জিয়াউর রহমানের কোনো খবর থাকত না, আমারও না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বেগম খালেদা জিয়া এরা কেউ থাকতেন না। এসবই হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জন্য। হ্যাঁ, এটা অবশ্যই বলব, বঙ্গবন্ধুর একমাত্র ভরসা ছিল জনগণ আর এখন সরকার এবং তার নেতানেত্রীর ভরসা প্রশাসন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সঙ্গে বর্তমান নেতৃত্বের ব্যবধান বা পার্থক্য এখানেই। প্রবল আগ্রাসী পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে নিরস্ত্র জনগণকে নিয়ে সফলতা এনেছিলেন। তিনি ছিলেন জননেতা। এখন যে যাই বলুন তেমন কেউ জননেতা নন, জননেত্রীও না। এখন প্রায় সবাই শক্তিনির্ভর, প্রশাসননির্ভর। বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মদিন তেমন ভালো লাগল না। খুব একটা উৎসাহ পেলাম না। সরকারি ছুটি ছিল সত্যি। ১৬ তারিখ পুরান ঢাকার নবাবপুরে গিয়েছিলাম। ১৭ তারিখে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে সরকারি ছুটি হিসেবে দোকানপাট বন্ধ থাকবে এজন্য অনেকে বিরক্ত। খুব খারাপ লেগেছে। এখন আর কেউ কাউকে সম্মান করে না, সম্মান করে কথা বলে না। আওয়ামী লীগের দু-চার জন জিয়াকে এত তাচ্ছিল্য করে আমাকে নিয়ে নানা কথা বলে। আবার আওয়ামী লীগবিরোধীরা বঙ্গবন্ধু এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এমনভাবে গুলিয়ে ফেলে যেটা ভাবাই যায় না।

একসময় জয় বাংলা স্লোগান শুনলে, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ শুনলে বুকে কাঁপন ধরত, জাতি সিংহের তেজ অনুভব করত। কিন্তু এখন কেউ কেউ যখন জয় বাংলা বলতে বলতে যাওয়া-আসা করে তার মধ্যে তেমন তেজ, তেমন শক্তি পাই না। বঙ্গবন্ধু ছিলেন সবার, জয় বাংলা ছিল মুক্তিযুদ্ধের রণধ্বনি। কীভাবে যে ধীরে ধীরে সবকিছু অনুভূতিহীন-আবেগহীন ভোঁতা গোষ্ঠীকেন্দ্রিক করে ফেলছে। যার পরিণতি খুবই খারাপ, ভয়াবহ। তাই পিতার শততম জন্মদিনে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, আগামী ১৭ মার্চ তার শতবর্ষ যেন শুভ হয়, জাতির সবার জন্য যেন কল্যাণকর হয়।

লেখক : রাজনীতিক।

www.ksjleague.com

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর