রবিবার, ২৪ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

ছেলেটিকে বাঁচতে দিল না অপরিকল্পিত পরিবহন খাত

নঈম নিজাম

ছেলেটিকে বাঁচতে দিল না অপরিকল্পিত পরিবহন খাত

ছেলেটির নাম আবরার। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ত। বাবার চোখের সামনেই ছেলেটিকে ছিনিয়ে নিল বেপরোয়া বাস। জেব্রা ক্রসিং দেখে রাস্তা পার হচ্ছিল। সড়কের আরেক প্রান্তে তার বাবা অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা দাঁড়িয়ে ছিলেন। চোখের সামনেই ছেলেকে চলে যেতে দেখলেন। আমি জানি না, এই বাবা কী করে শোক সামাল দেবেন। আমার পুত্রের নামও আবরার। এই ছেলের কথা মনে হতেই আমি ভয়ে হিম হয়ে যাই। আহারে সোনার ছেলেটিকে বাঁচতে দিল না আমাদের অপরিকল্পিত পরিবহন খাত। স্কুলের বাচ্চারা আন্দোলন করে আট মাস আগে জানান দিয়েছিল তাদের নয় দফা দাবি। বাচ্চারাও জানে কী করে সংকটের সমাধান করতে হবে। সেই দাবি আজও পূরণ হয়নি। কোনো দিন হবে কিনা কেউ জানে না। মানুষের মাঝে সংশয় কাজ করছে সবকিছু নিয়ে। সন্তানের লাশ কাঁধে নেওয়া বাবাদের আহাজারি দেখেছি। জাহাঙ্গীর কবীর নানকের সেই আহাজারি এখনো কানে বাজে। কষ্ট নিয়ে বেঁচে থাকার যন্ত্রণা জানেন নানক। তাঁর ছেলেটি আমারও প্রিয়মুখ ছিল। যখন তখন আসত আমার কাছে। বেপরোয়া সড়ক তাকে কেড়ে নেয় সবার কাছ থেকে। স্ত্রীহারা ইলিয়াস কাঞ্চন এখনো লড়ছেন নিরাপদ সড়কের দাবিতে। তারানা হালিমের বোনের ছেলের কথা আমরা জানি। আসলে যার যায় সে বোঝে। আবরারের বাবা-মা এখন বুঝছেন। এই শোক কীভাবে তাঁরা সামাল দেবেন জানি না। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি এই পরিবারটির জন্য।

এমনিতে আমাদের স্বাভাবিক জীবনের চোরাগলিতে অনেক ধরনের দুঃখের ছায়া লুকিয়ে থাকে। বিষাদের এ কালো ছায়াগুলো আরও ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে প্রিয়জনরা হারিয়ে গেলে। ক্ষণে ক্ষণে বেদনার নীল রং পুড়িয়ে দেয় আমাদের অন্তর। মনটা এমনিতে কিছুদিন থেকেই এলোমেলো হয়ে আছে। নির্মল সেন কত আগে লিখে গেছেন স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই। আমরা সেই স্বাভাবিক অবস্থান আজও তৈরি করতে পারিনি। আমাদের চারপাশ আমাদেরকে একটা সিস্টেম তৈরি করতে দেয়নি। মাঝে মাঝে আন্দোলন হলে পরিবহনের নাম বদল হয়। সিস্টেম আর বদল হয় না। পরিবহনের নাম বদলে সংকটের সমাধান হবে? এ কথা কেউ বোঝে না। ঢাকার মালিবাগ ফ্লাইওভারে সেই দিন দেখলাম ট্রাফিক সিগন্যাল। দুনিয়ার কোথাও আমার নজরে আসেনি এমন অপরিকল্পিত নির্মাণ। ফ্লাইওভারে কেন ট্রাফিক সিগন্যাল হবে? আর বাঁ-হাতি গাড়ির ম্যাপের ফ্লাইওভার আমরা কেন বাস্তবায়ন করব? আবার যাত্রাবাড়ীতে দেখলাম ফ্লাইওভারে যাত্রী ওঠানামা করছে। বড় অদ্ভুত সব কর্মকাণ্ড। নিয়মের কথা সবাই বলি। কেউই তা মানি না। সবাই শুধু বড় বড় কথা বলেই শেষ। এখানে কেউ কারও দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করি না। কারও সঙ্গে দেখা হলেই কেবল সাফল্যের বয়ান শুনি। আর মিডিয়া কীভাবে সর্বনাশ করছে সেসব নসিহত শুনি। কিন্তু বাস্তবতাটা কী? আর কত বড় বড় বুলির বয়ান শুনব? আমাদের সন্তানরা মাঝে মাঝে চোখে আঙ্গুল দিয়ে রাজপথের সমস্যাগুলো তুলে ধরে। তখন সবাই তাদের আশ্বস্ত করেন সবকিছু ঠিক করে দেওয়ার। কিন্তু কোনো কিছুই ঠিক হয় না। নাদের আলী আর বিল দেখাতে নিয়ে যায় না। সবকিছু ধীরে ধীরে আরও নষ্ট হয়। আশ্বাসের রাজনীতি কমিয়ে আনা দরকার। পাশের দেশ ভারতের কলকাতা গিয়েছিলাম কিছুদিন আগে। ফ্লাইট ধরতে নিউমার্কেট এলাকায় হোটেল থেকে বের হলাম ভোর ৫টায়। জেটএয়ার ছাড়ে সকাল ৭টায়। কিছুদূর যেতেই ড্রাইভার গাড়ি থামাল। ভয় পেলাম এই সাতসকালে ছিনতাই নয় তো? ড্রাইভারের কাছে জানতে চাইলাম সমস্যা কী? ড্রাইভার বলল, ট্রাফিক সিগন্যাল। আইনের প্রতি সম্মানটা বড় জরুরি। আমরা সবকিছুতেই বেপরোয়া চলতে পছন্দ করি। আর সারা দুনিয়া শিখেছে কীভাবে ট্রাফিক আইন মানতে হবে।

আমাদের আরেকটা বিষয়, এখানে সবাই সব বোঝে। তাই কথা বলা যায় না। আমাদের চারপাশের মানুষগুলো বদলে যাচ্ছে। সমালোচনা কেউই সহ্য করতে চায় না। এমনকি আলোচনাও করতে কেউ রাজি নয়। রাষ্ট্রযন্ত্রের মানসিকতা উন্নত হয়নি। আমলাতন্ত্রের বাড়াবাড়ি মানুষ ভালোভাবে নিচ্ছে না। আমারও মাঝে মাঝে মনে হয়, সরকার রহস্যজনক কোনো গোষ্ঠীর কাছে জিম্মি। এই গোষ্ঠী বেশি ভালো করতে গিয়ে সর্বনাশ করে দিচ্ছে চারদিকে। বঙ্গবন্ধুর বড় অর্জন বাংলাদেশ। আর শেখ হাসিনার লড়াইটা ছিল ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার। তিনি তা সফলভাবে করেছেন। কিন্তু সেই অর্জনকে কোনো মহল পরিকল্পিতভাবে ম্লান করছে কিনা ভেবে দেখার সময় এসেছে। আমি বিশ্বাস করি, সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শতভাগ নিরপেক্ষভাবে করলেও আওয়ামী লীগ জয়ী হতো। আসন পেত ২৩০-এর বেশি। কারণ ভোটের আগেই সারা দেশে নৌকার একটা জোয়ার ছিল। পেশাজীবী, কর্মজীবী, ব্যবসায়ী, সাধারণ মানুষ সবাই আওয়ামী লীগের পক্ষে ছিল। এভাবে গণজোয়ার ’৭০ সালে ছিল বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। সেই ভোটকে কারা প্রশ্নবিদ্ধ করল? কেন করল? খুলনা, ফরিদপুর, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জের ভোটেও বাড়াবাড়ির কোনো দরকার ছিল কি?  গাজীপুর, ময়মনসিংহে সবকিছু স্বাভাবিক হলে কোনো ক্ষতি হতো কি? জানি এসব প্রশ্ন করলে সবাই বিরক্ত হবেন। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে বাস্তবতার বাইরে যাওয়া যায় না। দেশের সাধারণ মানুষের সেন্টিমেন্ট বুঝতে হবে। মানুষের কষ্টার্জিত ভোটাধিকার হরণ হলে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি আওয়ামী লীগের। অন্য কারও নয়। কারণ জিয়া-এরশাদ আমলের পুরো ভোটই ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। জিয়া-এরশাদের হ্যাঁ-না ভোট আমাদের দেখা আছে। সেই ভোটের গ্রহণযোগ্যতা আজও হয়নি।

রাজনীতি আবেগের কোনো জায়গা নয়। আবেগ এখন শুধু আছে কিতাবে অথবা মানুষের মনের গহিনে। সেই গহিনটা কেউই জয় করতে চান না। বরং পুড়ে যাওয়া ক্ষতগুলো মাঝে মাঝে জ্বালিয়ে আরাম নেয় অনেকে। শাজাহান খান ছিলেন নৌপরিবহনমন্ত্রী। দোষ ছিল বেশি কথা বলা। এ কারণে সড়ক নৈরাজ্য বন্ধের আন্দোলনে তাঁর পদত্যাগ সামনে চলে আসে। আর বুঝে না বুঝে তিনিও সবকিছুর দায় নিতেন। আরেকটি বিষয় বলতেই হয়, পরিবহন নেতৃত্ব শুধু আওয়ামী লীগের হাতে নয়। শাজাহান খানের সঙ্গে জাতীয় পার্টির মশিউর রহমান রাঙ্গা, বিএনপির শিমুল বিশ্বাসও রয়েছেন। বাম সংগঠনগুলোর নেতারাও এখানে প্রভাবশালী। সবাই মিলেমিশে আছেন পরিবহন শ্রমিক-মালিক সংগঠনে। যত দোষ নন্দ ঘোষ। বাকিরা সবাই সাধু। শাজাহান খানের খারাপ কাজের যেমন নিন্দা জানাই তেমন পরিবহন নৈরাজ্যর দায় সব দলকেই নিতে হবে। কারণ আমাদের আর কোনো সন্তানকে রাজপথে বলি হিসেবে দেখতে চাই না। পারমিট ছাড়া কোনো গাড়ি এ শহরে চলতে পারবে না। পুলিশ কর্মকর্তারা জড়াতে পারবেন না পরিবহন ব্যবসায়। বাংলাদেশকে পুলিশি রাষ্ট্র বানালে সর্বনাশ হয়ে যাবে। জনগণের মূল্যায়ন হতে হবে। রাজনীতি করবেন রাজনীতিবিদরা। রাজনীতিবিদদের তুচ্ছতাচ্ছিল্য করার পরিণাম ভালো হয় না। সর্বশেষ নির্বাচনে পুলিশ আর সিভিল প্রশাসনের বাড়াবাড়ি ছিল। সেদিন একজন এমপি বললেন, এসপি, ডিসি এখন আমাদের চেয়ে বেশি ক্ষমতাশালী। তারা আমাদের গুরুত্ব দেন না। ক্ষমতার চাবিকাঠি তাদের হাতে। এই ভোটে সংশ্লিষ্ট ডিসি-এসপিদের বদলি  না করলে খবর আছে আগামীতে। ক্ষমতার দ্বন্দ্বে অনেক সর্বনাশ হবে। কেউ কাউকে মানবে না। প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের অহংকার ভোটে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখার। এ ভূমিকায় আওয়ামী লীগের লাভ হয়নি। বরং ক্ষতি হয়েছে। এ কথাটি কেউই বোঝার চেষ্টা করছেন না।

দায়িত্ব নেওয়ার পর সরকারের ভিতরে এমনিতেই অনেক সংকট দেখছি। মন্ত্রিসভার সব সদস্যকে ধোয়া তুলসী পাতা মনে করার কারণ নেই। অনেকে বড় দায়িত্ব পেয়ে স্তম্ভিত হয়ে পড়েছেন। কাজ করতে পারছেন না সাহস করে। বুঝতে পারছেন না কী করে এত বড় দায়িত্ব সামাল দেবেন। আর কাজ করতে পারছেন না বলেই সরকারে থমকে থাকা ভাব দেখছি। এ সরকার নতুন দায়িত্ব নিয়ে ক্ষমতায় বসেনি। সর্বশেষ ১০ বছরের ধারাবাহিকতায় আবার ক্ষমতায়। এ ধারাবাহিকতা পালনের জন্য থমকে থাকলে চলবে না। মন্ত্রণালয়ে কাজে গতি না বাড়ালে সাফল্যের ধারাবাহিকতা থেমে যাবে। ঝড়ের গতিতে কাজ করছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। প্রভাবশালীদের দুই পয়সার পাত্তা না দিয়ে নদী উদ্ধার করে চলেছে। এতে অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। কিন্তু সাধারণ মানুষ খুশি। মিডিয়া একচেটিয়া সমর্থন দিচ্ছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়কে। ভালো কাজের প্রশংসা সবাই করে। এভাবেই সব মন্ত্রণালয়ে কাজের গতি দেখতে চায় মানুষ। বড় বড় বক্তৃতাবাজির দিন শেষ। আর সারা দিন গলাবাজি করে বেলা শেষে দেখা গেল কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এতে মানুষ বিরক্ত-ব্যথিত-ক্ষুব্ধ হয়। ব্যাহত হয় উন্নয়নের গতি। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ধারাবাহিকতা। এক মাসে কাজ দেখাতে না পারলে এক বছরেও পারবেন না। তখন চাপ গিয়ে একজনের ওপর পড়বে। রাজনৈতিক সরকারের কাছে কাজের সমাধান রাজনৈতিকভাবেই মানুষ প্রত্যাশা করে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা দরকার। কিন্তু আইনের শাসন বাদ দিয়ে কোনো কিছু নয়। বন্দুকযুদ্ধ দীর্ঘমেয়াদি সমাধান নয়। সংকটের মূল জায়গায় আঘাত হানতে হবে। নাগরিক জীবনে ফিরিয়ে দিতে হবে স্বাভাবিকতা। ভয় ও আতঙ্ক সংকটের সমাধান নয়। নাগরিকদেরও সচেতনতা দরকার। মাদক নির্মূল পরিবার থেকে শুরু করতে হবে। চাকরি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি সব খাতে ডোপ টেস্ট চালু করতে হবে। মোবাইল ফোন কানে দিয়ে গাড়ি চালালে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। আবার রাস্তা পারাপারেও নাগরিক সচেতনতা দরকার। হঠাৎ গাড়ির সামনে দিয়ে দৌড় দেওয়ার প্রবণতা কবে বন্ধ হবে জানি না। তবে মোবাইল ফোন কানে দিয়ে চলাচল করেই ঘটে বেশির ভাগ দুর্ঘটনা। মানুষের জীবন অনেক মূল্যবান। এ মূল্যবান জীবন রক্ষায় সবারই দায়িত্ব রয়েছে। আসমান থেকে সব সমস্যার সমাধান আসবে না। আমাদের সমাধান করতে হবে। আর সরকারকে সংকট জিইয়ে রাখলে চলবে না। মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস তৈরির জন্যই দৃশ্যমান সমাধান দরকার।

দৃশ্যমান বড় কাজ সম্পন্নের জন্য চিন্তাশীল বাস্তববাদী ও প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষিপ্রতাসম্পন্ন মানুষের দরকার। সরকারি দলে এ ধরনের মানুষেরা বঞ্চিত। অথবা তাদের বঞ্চনায় রাখা হচ্ছে। দুঃসময়ের মানুষরা সুসময়ে হারিয়ে যায়। তখন তলে তলে মানুষের মাঝে হতাশা তৈরি হয়। সেই হতাশার আবার ডালপালা আছে। নজর দিতে হবে বাস্তবতার দিকে। সময় থেমে থাকে না। কিছু মানুষের ক্ষমতার ভোগ-উপভোগ, বাড়াবাড়ি হতাশার জম্ম দেয়। মানুষের মনের ওপর জোর করা যায় না। মনের ওঠানামা আছে। সেদিন এক তরুণ বন্ধুকে প্রশ্ন করলাম, কেমন আছো? জবাবে বলল, এই তো আছি ভাই, খুশিতে ঘোরে ঠেলায়। এ কথাগুলো কোথা থেকে আবিষ্কার করল জানতে চাইতেই হাসল। বলল, বিগত সংসদ নির্বাচন চলাকালে বরিশালে এক ভোটার একবার ভোট দিয়ে আবার লাইনে দাঁড়ায়। তার হাতে কালির দাগও ছিল। বিষয়টি চোখে পড়ে এক টিভি সাংবাদিকের। সঙ্গে সঙ্গে সাংবাদিক প্রশ্ন করলেন আপনার হাতে কালির দাগ। একবার ভোট দিয়েছেন আবার কেন লাইনে দাঁড়ালেন? জবাবে মানুষটি বললেন, এই ধরেন ভালো লাগে, ঘোরে, ঠেলায়। এ কথাগুলো অনেক দিন ভাইরাল ছিল ফেসবুকে। এখন যে যার মতো এ কথাগুলো ব্যবহার করছে। এই তারুণ্যকে আলাদা চোখে দেখার দরকার নেই। বরং জয় করা দরকার। আর জয় করতে হলে তাদের যৌক্তিক দাবিগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে দ্রুত। ফিরিয়ে আনতে হবে সড়কের শৃঙ্খলা। মানুষকে ফিরিয়ে দিতে হবে স্বস্তি। এ কাজ সরকারকেই করতে হবে। কারণ সব কাজ বাস্তবায়নের দায়িত্ব সরকারের।

            সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

সর্বশেষ খবর