বাংলাদেশের ইতিহাসের অংশ হয়ে গেল জুলাই-আগস্ট ২০২৪। ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাস এ দেশে নতুন নয়। এ দেশের যা কিছু অর্জন তার সিংহভাগ অর্জিত হয়েছে ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে। তবে বাংলাদেশে এত বড় ছাত্র আন্দোলন আর কখনো হয়নি। বিশ্ব ইতিহাসেও এ আন্দোলন বড় ঘটনা। চীনের তিয়েনআনমেন স্কয়ারে ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে এ আন্দোলন তুলনীয়। গোটা বিশ্ব নজর রাখছিল এ আন্দোলনের গতিবিধির ওপর। এখনো রাখছে।
ছাত্ররা কোটার জন্য আন্দোলন করছিল। তাদের দাবি-দাওয়া সময়মতো মিটিয়ে দিলেই হতো। কিন্তু কথায় বলে, সময়ের এক ঘা অসময়ের দশ ঘা। আন্দোলনে মারা গেছে অসংখ্য ছাত্র-জনতা। বিদায়ী সরকারের মন্ত্রীরা একেকজন একেকরকম কথা বলছিলেন। একজন বলছিলেন, পুলিশের গুলিতে কেউ মারা যায়নি। অথচ আবু সাঈদকে হত্যার দায়ে দুজন পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে। কেন এ সমন্বয়হীনতা? আরেক মন্ত্রী বললেন, কোটা আন্দোলনকারীদের থামানোর জন্য ছাত্রলীগই যথেষ্ট। তিনি ছাত্রলীগকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতিপক্ষ বানিয়ে দিলেন। এ উসকানিতে বীরদর্পে মাঠে নামল ছাত্রলীগ। আরেকজন বললেন, সরকার তার সক্ষমতার ৫%-ও এখনো দেখায়নি। সরকারের যে সক্ষমতা আছে তা কে না জানে। সরকারের সেনাবাহিনী আছে, পুলিশ আছে, আছে অসংখ্য মেশিনারি। যারা আন্দোলন করছিল তারা কী এসব জানে না? ছাত্রদের এত বোকা ভাবার কারণ কী! আরেকজন একবার বললেন, বাধ্য হয়ে নেট বন্ধ করা হয়েছে। এরপর তিনি বললেন, আগুনে তার পুড়ে যাওয়ায় নেট বন্ধ হয়েছে, আবার বললেন, নেট এমনি এমনি বন্ধ হয়ে গেছে! অদ্ভুত! ঠিকঠাক বলতে না পারলে চুপ থাকাই ভালো। বোবার শত্রু নেই।
এতগুলো প্রাণ ঝরে গেল তা না বলে শুধু ছাত্রলীগের ছেলেদের ছাদ থেকে ফেলা আর স্থাপনা ভাঙচুরের কথা বলতে লাগলেন তারা। আশ্চর্য, জীবনের চেয়ে কি স্থাপনার মূল্য বেশি! মানুষই তো স্থাপনা ভাঙে, গড়ে। মানুষ না থাকলে স্থাপনার মূল্য কী, কার জন্য স্থাপনা! ছোট ছোট শিশুরা মারা গেল! এক মন্ত্রী বললেন, কোনো শিশু মারা যায়নি, মারা গেছে কিশোর। ছয় বছর বয়সিকে কি কিশোর বলে? ইউনিসেফ ৩২ জন শিশু মারা গেছে মর্মে বাংলাদেশকে চিঠি দিয়েছে। শিশু মৃত্যু নিয়ে হাই কোর্টে একটা রিটও হয়েছে। ৩২ জন যদি মারা না গিয়েও থাকে বেশ কয়েকজন মারা গেছে এটা ঠিক। সন্তানহারা বাবা-মায়ের বুকের জ্বালা কি কোনোদিন মিটবে?
১৭ বছরের ফাইজারকে কোমরে দড়ি বেঁধে আদালতে তোলা হয়েছিল। ফাইজার অপ্রাপ্তবয়স্ক। বিচারকের কাছে তার বয়সের প্রমাণসহ সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র দেখানো হলেও মানেননি বিচারক। তাকে রিমান্ডে নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছিল। কিন্তু তার বিচার হওয়ার কথা শিশু আইনে। পরবর্তীকালে রাষ্ট্রপক্ষ হাই কোর্টকে জানিয়েছে ফাইয়াজের কোমরে দড়ি পরানো ভুল ছিল। তাহমীদ বাড়িতেই ছিল। হঠাৎ তার ইচ্ছা হয় বড় রাস্তায় কী হচ্ছে দেখার। সবে বড় রাস্তায় এসেছে। একটা বুলেট এসে লাগে তার গায়ে। সঙ্গে সঙ্গে আন্দোলনকারীরা তাকে খাটিয়ায় তুলে মিছিল করতে থাকে। তাহমীদের বাবা অল্প কিছু দূর থেকে অসহায়ের মতো তাকিয়ে তাকিয়ে এ দৃশ্য দেখতে থাকেন। এ অবস্থায় আরও একটা গুলি লাগে মৃত তাহমীদের গায়ে।
আবু সাঈদের হত্যাকারী দাবি করে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল আরেকজন কিশোরকে। সাঈদ অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের সন্তান। নিজের চেষ্টায় মেধাবী সাঈদ এতদূর এসেছিল। তার ইচ্ছা ছিল বিসিএস পাস করে পরিবারের দুঃখ মোচনের। তার পাঠানো টাকা দিয়ে পরিবার চলত। সে চাকরি পেলে অন্য ভাইবোনগুলোকে লেখাপড়া শেখাতে পারত, প্রতিষ্ঠিত করতে পারত। সাঈদের গায়ে গুলি লাগার ভিডিও দেশের অধিকাংশ মানুষ দেখেছে। যে পুলিশ গুলি ছুড়েছিল তাকেও দেখা গেছে। তারপরও এ কিশোর কী করে সাঈদকে হত্যা করল বোধগম্য নয়। একজন রিকশাওয়ালা ভাই গুলি লাগা একজন ছাত্রকে হাসপাতালে নিতে গিয়ে দেখে ছেলেটি তারই সন্তান। এমন অসংখ্য ঘটনা ঘটেছে দেশে। পুলিশ যাদের আটক করেছিল তাদের সবাই যে আন্দোলনে ছিল এমনটাও নয়। কেউ গিয়েছিল দোকানে, কেউ ওষুধ কিনতে, কেউ কৌতূহলবশত কী হচ্ছে দেখতে। বাছবিচার না করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। অনেকে মারাও গেছে। কেউ মারা গেছে ছাদে খেলতে খেলতে, কেউ মারা গেছে জানালার পাশে বসা অবস্থায়, কেউ মারা গেছে বাড়ির সামনে থেকে। মারা গেছে কর্মজীবী অনেক মানুষ যাদের সঙ্গে কোটার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। জীবিকার তাগিদে কেউ ঢাকায় এসেছিল। কেউ গিয়েছিল বিভাগীয় বা জেলা শহরে। তাদের কেউ কার্পেন্টার কেউ দর্জি কেউ দোকানদার। জীবন কি এতটাই ঠুনকো যে ইচ্ছা করলেই গুলি মেরে দেওয়া যায়!
পৃথিবী জ্ঞান-বিজ্ঞানে অনেক উন্নত হয়েছে। তারপরও কৃত্রিমভাবে জীবনের জন্ম দিতে পারেননি কোনো বিজ্ঞানী। পারবেনও না। শুধু জীবন কেন, সৃষ্টি রহস্যের বহু কিছু আজও বিজ্ঞানীদের অজানা। যে জীবন সৃষ্টি করা যায় না সে জীবনের বিনাশ কী করে করা যায় নিছক খেয়ালে! যে বাবা-মায়ের বুক খালি হলো, যে বাবা-মা অনেক স্বপ্ন দেখেছিল সন্তানটিকে নিয়ে, সন্তানটিও তার জীবনের একটা স্বপ্ন নিয়ে চলছিল সেগুলোর ক্ষতিপূরণ হবে কী দিয়ে। টাকা দিয়ে, সম্পদ দিয়ে কখনোই জীবনের ক্ষতিপূরণ হয় না!
ছোট ছোট শিশুরা তাদের বাবাকে হারিয়ে কাঁদছে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম পুত্রটিকে হারিয়ে মূক হয়ে গেছে বাবা- মা। যে ছেলেটি দুপুরে বাড়িতে এসে ভাত খেতে চেয়েছিল সে ফেরেনি।
একটি ন্যায্য দাবি নিয়ে আন্দোলন করছিল ছাত্ররা। তাদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে শুধু দেশ নয়, বিদেশের ছাত্রছাত্রীরাও। বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলন আলোচিত ঘটনা। কাঁপিয়ে দিয়েছে গোটা বিশ্বকে। দাবিটি সরকার পূরণ করেছিল দেরিতে, যা ছাত্রদের মনঃপূত হয়নি। এ পূরণ করার মধ্যবর্তীকালে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে জানমালের। ছাত্ররাই সব আন্দোলনের প্রাণ। বরাবর তারাই ছিল সম্মুখ সারিতে। তাদের শক্তি সাহস মেধা অপরিমেয়। তাদের সাহস ও তেজকে সম্মান জানানো উচিত। তারাই দেশের ভবিষ্যৎ কর্ণধার।
অসংখ্য ছাত্রছাত্রী জনতা মৃত্যুবরণ করায় এবং সেগুলোর বিচার না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা এক দফা সরকার পতনের দাবি তুলেছিল। শুরু হয়েছিল অসহযোগ আন্দোলন। প্রতিদিন লাশ পড়ছিল। সাধারণ মানুষ ছিল ভয় শঙ্কা অনিশ্চয়তায়। সবাই গ্রেপ্তার আতঙ্কে ভুগছিল। ঘরে ঘরে ঢুকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছিল ছাত্রদের। রাস্তায় দেখলেই তুলে নেওয়া হচ্ছিল। ফলে যা হওয়ার সেটাই হলো। ছাত্রদের আন্দোলন গণ অভ্যুত্থানে পরিণত হয়। সে এক অবাক করা ব্যাপার! ছাত্রদের শক্তি যে অতুল তা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। দিনের পর দিন কারফিউ দিয়ে অফিস-আদালত বন্ধ রেখে পুলিশ সেনাবাহিনী দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছিল আন্দোলনকে। ছাত্ররা তাদের দাবি পূরণের জন্য ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছিল। কিন্তু বিগত সরকার মানেনি সে আলটিমেটাম। অবশেষে ৫ আগস্ট ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির মাধ্যমে জয় নেমে আসে বাংলাদেশে।
কাল বিকালে অল্প সময়ের জন্য বেরিয়েছিলাম। ফেরার পথে দেখলাম রাস্তায় ট্রাফিক কন্ট্রোল করছে ছাত্ররা। কী অসামান্য তাদের শৃঙ্খলা আর দক্ষতা। রাস্তার মোড়ে মোড়ে সুতা বেঁধে দিকনির্দেশনা দিয়েছে। আমার ড্রাইভার নির্দেশনা না দেখে সামনে এগোতেই একজন ছাত্র এগিয়ে এসে বলল, কোথায় যাবেন? গন্তব্য জানাতেই বিনয়ের সঙ্গে বলল, সুতা দিয়ে পথ নির্দেশ করেছি তারপরও এগিয়ে গেলেন। লজ্জিত ভঙ্গিতে বললাম, বাবা, ড্রাইভার খেয়াল করেনি। সরি। অনেক মানুষ তাদের খাবার আর পানি দিয়ে আসছে। মুগ্ধ হয়ে দেখার মতো দৃশ্য। এমন দৃশ্য আগেও দেখেছিলাম সড়ক আন্দোলনে। তখন ওদের জন্য খাবার আর পানি নিয়ে যেতাম। এবার পারিনি আমার পায়ে সমস্যা বলে। তবে আমার নাতি গেছে খাবার নিয়ে। সে রাস্তাঘাট পরিষ্কার করবে, ট্রাফিক সামলাবে। গতকাল ছাত্রছাত্রীরা সংসদ ভবনসহ গোটা শহর পরিষ্কার করেছে। ওরা শুধু ট্রাফিক সামলাচ্ছে না, বাজার মনিটরিংও করছে। ফলে সবজিসহ সব জিনিসের দাম কমে গেছে। ওরা রাতে রাতে পাহারা দেওয়ার কাজ করছে। দেশের বিভিন্ন স্থানসহ ঢাকায় সংঘবদ্ধ ডাকাতি হচ্ছে। যে কোনো বড় ঘটনার পর এ ধরনের কিছু অরাজকতা হয়ে থাকে। ছেলেরা সেটা সামাল দেওয়ার জন্য প্রাণপাত করছে। রাত সাড়ে ৩টায় জানালায় দাঁড়িয়ে দেখি, দুজন ছাত্র রাস্তায় লাঠি হাতে দাঁড়িয়ে আছে। গর্বে বুক ভরে ওঠে। মসজিদের ইমাম সাহেবসহ ঘরে ঘরে, পাড়ায় পাড়ায় যে এত দেশপ্রেমিক মানুষ আছে আগে জানা ছিল না। তারা রাত জেগে পাহারা দিচ্ছে বাড়িঘর দোকানপাট।
এ ছাত্রশক্তি দুর্মর, নির্ভয়, সৎ বুদ্ধিদীপ্ত, যুক্তিবাদী। অদম্য প্রাণশক্তিতে সারা দেশের ছাত্র-জনতাকে একত্রিত করে ঘটিয়েছে গণ অভ্যুত্থান। তারা চেয়েছে বৈষম্যহীন সমাজ। সেই লক্ষ্যে কাজ করছে। এতদিন জানতাম জনসংখ্যার চাপে বাংলাদেশ টালমাটাল। কিন্তু জনসংখ্যা যে আমাদের দায় নয়, শক্তি- ছাত্রসমাজ তা প্রমাণ করিয়ে দিয়েছে। এ জনসম্পদকে কাজে লাগানোর জন্য নিরলস কাজ করছে তারা। আন্দোলনে বিজয়ী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তারা মাঠ ছেড়ে যায়নি। তারা বলছে, এটা তাদের বিজয়ের প্রথম ধাপ। রাষ্ট্র সংস্কারের কাজে লেগেছে তারা।
জয়ের প্রাথমিক উত্তেজনায় কিছু মানুষ কিছুটা বিশৃঙ্খলা করেছিল। আন্দোলনকালীরা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে, বিশৃঙ্খলা করলে একজনকেও ছাড়া হবে না। বিচার করা হবে কঠোর হাতে। তাদের কিছু দাবি-দাওয়া আছে। দাবি-দাওয়াগুলো পড়ে দেখেছি তার সবগুলো প্রয়োজনীয় এবং যৌক্তিক। এ কথা ঠিক দেশের কোনো কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদে দশ বছর, পনের বছর ধরে একই ব্যক্তি খুঁটি গেড়ে বসে আছে। সম্পদের পাহাড় গড়েছে তারা। অনেক যোগ্য কর্মকর্তাকে টপকে দলীয় বিবেচনায় অযোগ্য ব্যক্তিদের পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। এদের অনেকে বুকফাটা বেদনা নিয়ে অবসরে গেছেন। অনেকে জুনিয়র কর্মকর্তার অধীনে কাজ করছেন। দেওয়া হয়েছে অপ্রয়োজনীয় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ। এমনকি কোনো কোনো ব্যক্তি ‘সরকার যতদিন আসীন থাকবেন ততদিন চাকরিতে থাকবেন’ এমন আদেশও জারি করা হয়েছে বিগত সরকার আমলে। অথচ একমাত্র পিএস, এপিএস ছাড়া এ ধরনের নিয়োগের সুযোগ নেই। দুর্নীতি আর অনিয়মে ভেঙে পড়েছে বিভিন্ন ইনস্টিটিউশন। এসব অসাম্য বৈষম্য অন্যায় নিরসনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে বিজয়ী আন্দোলনকারীরা। ইতোমধ্যে প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে।
ছাত্ররা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে বিছে নিয়েছে দেশের একমাত্র নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে। তিনি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব। সর্বজনগ্রহণযোগ্য ব্যক্তি। তাঁর গ্রামীণ ব্যাংকের মডেল পৃথিবীর অনেক দেশে অনুসরণ করা হয়। বাংলাদেশ সরকার ১৯৮৭ সালে তাঁকে দেশের সর্বোচ্চ সম্মাননা স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার দিয়েছে। মুহাম্মদ ইউনূস ও তাঁর প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক যৌথভাবে ২০০৬ সালে নোবেল পুরস্কার অর্জন করে। নোবেল ছাড়াও তিনি পেয়েছেন প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম ও (২০০৯) কংগ্রেশনাল গোল্ড মেডেল (২০১০)। সারা পৃথিবীর সাতজন ব্যক্তির মধ্যে তিনি একজন, যারা এ সম্মানজনক তিনটি পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি ২০১২ সালে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো ক্যালেডোনিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর হন। এর আগে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন। তিনি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৬২টি সম্মানসূচক ডক্টরেট অর্জন করেন। ফুলব্রাইট বৃত্তি পাওয়া এ অর্থনীতিবিদ গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ও ক্ষুদ্রঋণ এবং ক্ষুদ্রবিত্ত ধারণার প্রবর্তক। অত্যন্ত মেধাবী ও সংস্কৃতিমনা তিনি। ম্যাট্রিকে মেধা তালিকায় ১৬তম স্থান অধিকার করেছিলেন। ছাত্রজীবনে নাটক করতেন। একজন লেখকও তিনি। তাঁর অনেক গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ রয়েছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়াও সরকারে ছাত্র প্রতিনিধিসহ অন্য যারা থাকছেন তাঁদের সবাই গ্রহণযোগ্য এবং স্বচ্ছ ইমেজের বলে জানা গেছে। স্বাগত জানাই নতুন সরকারকে।
লেখক : কথাশিল্পী, গবেষক