বলা নেই কওয়া নেই হঠাৎ করেই দেশের বিভিন্ন স্থানে সুফি সাধকদের মাজারে হামলা চালাচ্ছে মতলববাজরা। তাদের কর্মকান্ডে মনে হচ্ছে, পতিত স্বৈরাচারী ব্যবস্থা নয়, পীর আউলিয়া সুফি সাধকরাই এ দেশের মানুষের প্রধান প্রতিপক্ষ। এদেশে ইসলাম প্রচার করে তারা যেন এক মহা অন্যায় করেছেন। আর তাই একটি মহল ঝাঁপিয়ে পড়েছে সুফি সাধকদের মাজারের ওপর। মাজার ভাঙা যখন সারা দেশে অন্যতম আলোচ্য বিষয়ে পরিণত হয়েছে, ঠিক তখন গত ১৭ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামে মহিউদ্দিন খান বাদলের কবর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। এ প্রতিহিংসাপরায়ণতা দলমত নির্বিশেষে শুভ চেতনাসম্পন্ন সব মানুষের নিন্দা কুড়িয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে এ ধরনের অপকর্মে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
মৃতের প্রতি সম্মান প্রদর্শন সভ্য সমাজের ঐতিহ্য। একবার হজরত সাহল ইবনে হুনাইফ ও কায়স ইবনে সাদ (রা.) কাদিসয়াতে বসা ছিলেন, তখন লোকেরা তাদের সামনে দিয়ে একটি লাশ দাফনের জন্য নিয়ে যাচ্ছিল। তা দেখে তারা দাঁড়িয়ে গেলেন। তখন তাদের বলা হলো, এটা অমুসলিম ব্যক্তির লাশ। তখন তারা বললেন, ‘একবার রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সামনে দিয়েও একটি লাশ যাচ্ছিল। তখন তিনি দাঁড়িয়ে গেলে তাকে বলা হয়েছিল, এটা তো এক ইহুদির লাশ। প্রিয় নবী ইরশাদ করেছিলেন, সে কি একজন মানুষ নয়?’ (বুখারি)
প্রাক ইসলামিক যুগের আরবে আইয়ামে জাহিলিয়া বা অন্ধকারের যুগ জেঁকে বসেছিল প্রতিহিংসাপরায়ণতার কারণে। ওহুদের যুদ্ধে মুসলমানরা বিধর্মীদের কোণঠাসা করে ফেলেন। যুদ্ধে তাদের জয় ছিল অবধারিত। জয় নিশ্চিত ভেবে মুসলিম সৈন্যরা প্রতিরক্ষা ব্যূহে অবস্থান না করে আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠেন। এ বিশৃঙ্খল অবস্থার সুযোগ নেয় বিধর্মীরা। তারা প্রচন্ড পাল্টা হামলা চালিয়ে মুসলিম বাহিনীকে পরাস্ত করে। রসুল (সা.) নিজে আহত হন। তার চাচা মহাবীর হামজা শহীদ হন সে যুদ্ধে। তার লাশের ওপর যে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করা হয় তা ইতিহাসের একটি নিন্দনীয় অধ্যায়। হজরত হামজার লাশের কলিজা বের করে চিবিয়ে বর্বরতার স্বাক্ষর রাখেন হিন্দা নামের এক মহিলা। যিনি ছিলেন কুরাইশ দলপতি আবু সুফিয়ানের স্ত্রী। মক্কা বিজয়ের পর রসুল (সা.) মক্কাবাসী বিধর্মীদের প্রতি সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন। যারা ইসলাম গ্রহণ করেন তাদের সাদরে গ্রহণ করা হয়। মুসলমানদের কাছে পরাজিত কুরাইশ নেতা আবু সুফিয়ান ও তার স্ত্রী হিন্দা ওই সময় আসেন ইসলামের পতাকা তলে। উমাইয়া রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা মুয়াবিয়ার বাবা ও মা তারা। উমাইয়া শাসক ইয়াজিদের দাদা ও দাদি আবু সুফিয়ান এবং হিন্দা। কারবালা প্রান্তরে আহলে বায়াত ইমাম হোসাইন পরিবারের সব পুরুষ সদস্য ও অনুসারীকে হত্যা করে ইয়াজিদ বাহিনী। রসুল (সা.)-এর প্রিয় নাতি হোসাইন (রা.) যুদ্ধে শহীদ হলে তার মুন্ডু কেটে ইয়াজিদের কাছে পাঠানো হয়। ইয়াজিদ হজরত হোসাইনের পবিত্র মস্তকের সঙ্গে যে অবমাননাকর আচরণ করেন তা ইতিহাসের একটি কালো অধ্যায়।
উমাইয়া শাসকরাও নিজেদের মুসলমান বলে দাবি করতেন। তবে ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, উমাইয়া আমলে বছরের পর বছর ধরে জুমার নামাজের খুতবায় আহলে বায়াতের প্রতি অভিশাপ দেওয়া হতো। ধর্মভীরু উমাইয়া খলিফা দ্বিতীয় ওমর সে ঘৃণ্য পন্থা বাতিল করেন। নবী পরিবারের যেসব সম্পদ উমাইয়া শাসকরা জবরদখল করেছিল তিনি তা ফেরত দেন। উমাইয়াদের পতনের পর আরবে প্রতিষ্ঠা হয় আব্বাসীয় রাজতন্ত্র। খলিফা আবুল আব্বাস আস-সাফ্ফাহর শাসনামলে আরবজুড়ে উমাইয়াদের কবর ভাঙচুরের মহোৎসব চলে। কবর থেকে লাশের হাড়গোড় উঠিয়ে হাতুড়ি পেটাও করা হয়। আগুনে পুড়িয়ে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করা হয়। ভবিষ্যতে নিজের লাশের যাতে এমন পরিণাম না হয়, মৃত্যুর আগে সে বিষয়ে পুত্রদের ওসিয়ত করে যান দ্বিতীয় আব্বাসীয় খলিফা মুনসুর। মৃত্যুর পর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ১০০টি কবর খোঁড়া হয়। তার একটিতে অতি গোপনে দাফন করা হয় খলিফার লাশ।
বলছিলাম সুফি সাধকদের মাজার ভাঙার কথা। যারা এ অপকর্মে জড়িত তাদের পরিচয় কি আমাদের জানা নেই। কেন সুফি সাধকদের প্রতি তাদের এ প্রতিহিংসা সে বিষয়টিও অজানা। তবে ইতিহাসের একজন অনুসন্ধিৎসু পাঠক হিসেবে আমার জানা আরবি ভাষার পর বাংলাভাষীরা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম জনগোষ্ঠী। সোজা কথায় আরব লিগের ২০টি দেশে যত মুসলমান রয়েছে বাংলাভাষী মুসলমানের সংখ্যা তার প্রায় সমান। বাংলাদেশে ইসলাম এসেছে সুফি সাধকদের হাত ধরে। ইখতিয়ার উদ্দিন বখতিয়ার খিলজির আমলে বাংলার অংশবিশেষে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। তবে তারও ৫০০ বছর আগে সুফি সাধকরা এ দেশের মানুষকে ইসলামের ছায়াতলে আনা শুরু করেন ভালোবাসার কথা বলে। তরবারি হাতে সুফি সাধকরা এদেশে আসেননি। তরবারির ভয়ে ভারতবর্ষের কোথাও মানুষ ইসলামে আশ্রয় নেয়নি। তরবারির সাহায্যে ইসলামের বিস্তার হলে দিল্লি ও আগ্রা শত শত বছর আগে মুসলিম প্রধান এলাকার মর্যাদা পেত। কাশ্মীরের মতো দুর্গম এলাকা মুসলিম প্রধান হতো না। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও তা এক বড় সত্যি। কারণ বাংলাদেশে দিল্লির শাসন কখনোই খুব একটা পাকাপোক্ত ছিল না। নদী-নালা, খাল-বিল, হাওর-বাঁওড় বিস্তৃত এই জনপদে ইচ্ছে হলেই যে কোনো স্থানে সৈন্য পাঠানো সম্ভব ছিল না।
সুফি সাধক খানজাহান আলীর এলাকার মানুষ হিসেবে বলব সেই মধ্যযুগে তিনি খুলনা যশোর এলাকার মানুষের মধ্যে যে আধ্যাত্মিক প্রভাব বিস্তার করেছিলেন তা অতুলনীয়। অনেকে ইসলাম গ্রহণ করেছেন খানজাহান আলী ও তার সহচরদের আচরণে মুগ্ধ হয়ে। এমনকি সাধারণ মানুষ তো বটেই সম্ভ্রান্ত হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেকেই ছিলেন এই মহান পীরের অনুসারী। অনেকেরই জানা বাংলা ভাষার সর্বকালের সেরা কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পূর্ব পুরুষদের বাড়ি ছিল খুলনার রূপসার পিঠাভোগ গ্রামে। কবিগুরুর পূর্বপুরুষরা ছিলেন ব্রাহ্মণ। তবে তারা হজরত খান জাহান আলীর প্রভাবে এতটাই প্রভাবিত ছিলেন যে তাদের পীরালি ব্রাহ্মণ হিসেবে অভিহিত করা হতো। গোঁড়া হিন্দুরা বাঁকা চোখে দেখতেন তাদের। সমাজ থেকে রবীন্দ্রনাথের পূর্বপুরুষদের বের করে দেওয়া হয় মুসলিম পীরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধের কারণে। খুলনায় বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে রবীন্দ্রনাথের পূর্বপুরুষরা কলকাতায় বসত গাড়েন। রবীন্দ্রনাথের বাবা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ইসলামের ‘ঈশ্বর’ এক এবং ‘অদ্বিতীয়’ এই তত্ত্ব সামনে এনে ব্রাহ্ম ধর্ম প্রতিষ্ঠা করেন রাজা রামমোহন রায়ের নেতৃত্বে। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরও এ ধর্মের অনুসারী ছিলেন। রবীন্দ্রনাথের বাবা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং দাদা প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর ছিলেন ফারসি ভাষার প-িত। সুফি ফারসি কবি হাফিজের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। হাফিজের কবিতা গ্রন্থ দেওয়ানে হাফিজ ছিল দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের মুখস্থ। সুফি সাধকদের মতো ঢোলা আলখেল্লা পরতেন তিনি। আলখেল্লা ছিল রবীন্দ্রনাথেরও পোশাক। সুফি সাধকরা এদেশের মানুষের মন কতটা জয় করেছিলেন শত শত বছর পরও তাদের মাজারে মুসলমান, হিন্দুসহ সব ধর্মের মানুষের উপস্থিতি ও শ্রদ্ধা জানানোর ঘটনায় অনুমান করা যায়।
আব্বাসীয়দের পতনের সাড়ে পাঁচ শ বছর পর কবর ভাঙার সংস্কৃতি আবার চালু হয় আরব ভূমিতে। সপ্তদশ শতাব্দীতে আরব বিশ্বের সিংহভাগ এলাকা ছিল তুরস্কের ওসমানিয়া খেলাফতের অধীনে। ওসমানীয়দের প্রতি ব্রিটিশদের সুসম্পর্ক ছিল চোখে পড়ার মতো। পরবর্তীতে জার্মানির সঙ্গে উসমানীয়দের দহরম-মহরমে নাখোশ হয়ে ওঠে তারা। ব্রিটিশ মদতে আরবে বিদ্রোহ দেখা দেয় ওসমানিয়া শাসনের বিরুদ্ধে। বিদ্রোহ সংগঠনে তারা ওহাবিদের মদত জোগায়। ওহাবি মতবাদের ঘোর সমর্থক আল সোউদ আরবের বিভিন্ন প্রান্তে আধিপত্য স্থাপনে সক্ষম হয়। ১৮০২ সালে ইরাকের পবিত্র কারবালা দখল করেন তারা। নগরীতে যথেচ্ছ লুণ্ঠন এমনকি অগ্নিসংযোগ করে ওহাবিরা। রসুল (সা.)-এর নাতি ইমাম হুসাইনের মাজারে ধ্বংসযজ্ঞ চালায় তারা। ১৮০৬ সালে পবিত্র মক্কা ও মদিনা আল সোউদের দখলে আসে। যেখানে যত কবর বা মাজার ছিল সব ভেঙেচুরে ফেলে তারা। ৫ আগস্টের পর আইনশৃঙ্খলার শিথিলতার সুযোগে সুফি সাধকদের মাজার ভাঙার মচ্ছব চালাচ্ছে দুর্বৃত্তরা। মাজার ভাঙার পিছনে তারা মোক্ষম যুক্তিও খাড়া করেছে। তাদের বক্তব্য, মাজারগুলো গাঁজাখোর ও অনৈসলামিক কান্ডের আখড়া হয়ে উঠেছে। কোথাও কোথাও এমন অপকর্ম চললেও সেগুলো থেকে সংশ্লিষ্টদের নিবৃত্ত করার বদলে মাজার ভাঙা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।
চট্টগ্রামের বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতা মহিউদ্দিন খান বাদলের কবরকে কেউ মাজার বানায়নি। সেখানে বেদাত কোনো কর্মকান্ড হতো এমন প্রমাণও নেই। একজন রাজনীতিক হিসেবে মহিউদ্দিন খান বাদলের সঙ্গে অনেকেরই হয়তো মতপার্থক্য গড়ে উঠেছিল। কিন্তু তার কবর যারা ভাঙচুর ও আগুন লাগিয়ে প্রতিহিংসাপরায়ণতা দেখিয়েছেন তারা সভ্য মানুষ কি না এমন সংশয় দেখা দেওয়াই স্বাভাবিক। বাংলাদেশের মানুষ চরমপন্থাকে সমর্থন করে না। এদেশে নকশালবাড়ি, সিরাজ শিকদার ও জাসদের গণবাহিনীর রাজনীতি প্রত্যাখ্যাত হয়েছে চরমপন্থার কারণে। বাম ধারার রাজনীতির সঙ্গে যারা জড়িত ছিলেন তাদের আত্মত্যাগকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেই বলতে চাই চরমপন্থার কারণেই এদেশের মানুষের মনে তারা ঠাঁই পাননি। একই কথা বলা যায় জঙ্গিবাদের ক্ষেত্রে। জঙ্গিবাদ সংশ্লিষ্টরা নিজেদের জীবনের জন্য শুধু হুমকি সৃষ্টি করেননি, ইসলাম সম্পর্কে ভুলবার্তা পৌঁছে দিয়েছে বিশ্ব সমাজের কাছে। যা মোটেও কাম্য হওয়া উচিত নয়।
আগেই বলেছি ১৪০০ বছর আগে বিরাজমান আইয়ামে জাহেলিয়ার কথা। প্রতিহিংসাপরায়ণতা ছিল সেই যুগের বৈশিষ্ট্য। মৃত ব্যক্তিও রেহাই পেত না তাদের প্রতিহিংসা থেকে। জুলাই বিপ্লবের পর দেশের মানুষ যখন এক গণতান্ত্রিক ও মানবিক বাংলাদেশের স্বপ্নে বিভোর তখন হিন্দার মানসপুত্ররা পর্দার আড়ালে হঠাৎ করেই সক্রিয় হয়ে উঠেছে। মাজারভাঙা ও কবরে আগুন দিয়ে বাংলাদেশ সম্পর্কে তারা ভুল বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে বাইরের দুনিয়ার কাছে। আশার কথা সরকার মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির অপকৌশল সম্পর্কে সতর্ক হয়ে উঠেছে। দেশের বিভিন্ন মাজারের নিরাপত্তায় বাড়তি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করব মাজার বা কবর ভাঙা নয়, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির যে কোনো অপচেষ্টা রোধে সরকার কঠোর হবে। ধর্মীয় স্থাপনা শুধু নয়, শিল্প কলকারখানার নিরাপত্তাকেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। এটি তাদের কর্তব্য বলে বিবেচিত হওয়া উচিত।
পাদটীকা : বিশ্বের সবচেয়ে নির্মম ও রক্ত পিপাসু শাসক হিসেবে ভাবা হয় মঙ্গল বীর চেঙ্গিস খানকে। তার মৃত্যুর পর কেউ যাতে কবর অবমাননার সুযোগ না পায় তা নিশ্চিত করতে দাফন করা হয় অতি গোপনে। এজন্য আব্বাসীয় শাসক মুনসুরের চেয়েও গোপনীয়তার পাশাপাশি নৃশংসতার আশ্রয় নেওয়া হয়। চীনের সঙ্গে যুদ্ধের সময় মারা যান চেঙ্গিস খান ৬৫ বছর বয়সে। চেঙ্গিসের শোকাহত সেনাবাহিনী তার মরদেহ রাজ প্রাসাদে নিয়ে যায়। যেখানে তাকে কবর দেওয়া হয় সেখানে যাতে আর কেউ না যেতে পারে এজন্য তাকে নিয়ে আসা সব সৈন্যকে হত্যা করা হয়। সবশেষে চেঙ্গিস খানের কবরের যেন কোনো প্রমাণ না থাকে; তা নিশ্চিত করতে কবরের ওপর ১ হাজার ঘোড়া নিয়ে ঘোড়সাওয়াররা দৌড়ায়। ওইসব ঘোড়সাওয়ারদেরও পরবর্তীতে হত্যা করা হয়েছিল। ৮০০ বছর কেটে গেলেও কোনো ধরনের প্রমাণই মেলেনি চেঙ্গিস খানের সমাধির। ভারতবর্ষের মোগল সম্রাটদের পূর্বপুরুষ ছিলেন চেঙ্গিস খান। তবে তিনি মুসলমান ছিলেন না। চেঙ্গিস খানের পৌত্র হালাকু খান বাগদাদ নগরীকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেন। আব্বাসীয় শেষ খলিফা মুসাতাসিনসহ বাগদাদের প্রায় সব নাগরিককে হত্যা করা হয় নির্মমভাবে। প্রতিহিংসাপরায়ণ আব্বাসী শাসনের ইতি ঘটে আরও বড় প্রতিহিংসা বাদীদের হাতে।
লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক
ইমেইল : [email protected]