আগামীকাল রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংস্কার নিয়ে সংলাপে বসবেন প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা। দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে এ ব্যাপারে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এ তালিকায় গণ অভ্যুত্থানে পতিত রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগকে আমন্ত্রণ জানানো হবে না খুবই সংগত কারণে। দলটির বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদী শাসন চালুর সুস্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে। গণহত্যার মতো জঘন্য মানবতাবিরোধী অভিযোগ উঠেছে এ দলটির বিরুদ্ধে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতেও অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়া হবে। ৫ আগস্টের গণ অভ্যুত্থানে দেশ থেকে পালিয়ে যান দীর্ঘ পৌনে ১৬ বছরের কর্তৃত্ববাদী শাসক শেখ হাসিনা। তার দলের কেন্দ্রীয় এমনকি স্থানীয় পর্যায়ের নেতাদেরও প্রায় সবাই জনরোষের ভয়ে পলাতক। সুনির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেপ্তারও হয়েছেন অনেকে। ৫ আগস্টের দুই দিন পর ৮ আগস্ট নোবেল লরিয়েট অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারকে ক্ষমতায় বসান গণ অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। তারপর থেকে দুই দফা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। দেশ পরিচালনায় রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতকে গুরুত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকেই সংস্কার প্রশ্নে সংলাপে বসা হচ্ছে রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে। সরকারের বিশ্বাস, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে সংস্কার কার্যক্রমকে আরও কার্যকরভাবে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে। আইনশৃঙ্খলার ক্ষেত্রে যে প্রতিকূল অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে তার রাশ টেনে ধরতে রাজনৈতিক দলগুলোর পরামর্শকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। আগামীকালের সংলাপকে সরকার ও রাজনৈতিক দল উভয় পক্ষ থেকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। এর ফলে রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কার কার্যক্রম সম্পর্কে অভিহিত হওয়ার সুযোগ পাবে। অন্যদিকে এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কেও অভিহিত হবে সরকার। সংস্কার শেষে দ্রুত সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে দুই পক্ষই যেহেতু আগ্রহী, সেহেতু কীভাবে দ্রুত সংস্কার সম্পন্ন করা যাবে তাও সংলাপে বিশেষ গুরুত্ব পাবে। খুলবে পারস্পরিক সহযোগিতার পথ।