রবিবার, ৮ মে, ২০১৬ ০০:০০ টা
ভিসির চোখে উচ্চশিক্ষা

গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করতে পাঠক্রম ও পাঠদান পদ্ধতি ঢেলে সাজাতে হবে

গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করতে পাঠক্রম ও পাঠদান পদ্ধতি ঢেলে সাজাতে হবে

দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অন্যতম একটি হলে রাজধানীস্থ প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ভিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন প্রফেসর ড. এএনএম মেশকাত উদ্দীন। দেশের বিদ্যমান উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থা ও এর সামগ্রিক মান, উচ্চশিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নের পথে প্রধান অন্তরায় এবং এ থেকে উত্তরণে সংশ্লিষ্টদের করণীয় কী, বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে উচ্চ শিক্ষার্থীদের কীভাবে প্রস্তুত করা

উচিত এবং নিজ প্রতিষ্ঠান নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন—শরীফ খান

 

প্রশ্ন : দেশের উচ্চশিক্ষার মান নিয়ে বিতর্ক ও প্রশ্ন আছে। এক্ষেত্রে আপনার মতামত কী?

ভিসি : উচ্চশিক্ষার মান নির্ভর করে ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকদের গুণগত মান, ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত, পর্যাপ্ত পরিমাণ শিক্ষাসহায়ক উপকরণ ও প্রযুক্তির ব্যবহার, যুগোপযোগী পাঠক্রম, মানসম্মত ক্যাম্পাস, ক্যাম্পাসভিত্তিক সুযোগ-সুবিধা এবং বইভিত্তিক, শিক্ষা ছাড়াও শিক্ষার্থীদের পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য যা যা গুণাবলি ও দক্ষতা তৈরি করা দরকার সেগুলো চর্চা ও বিকাশের সুযোগ আছে কিনা তার ওপর। সরকারি এবং বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে এ বিষয়গুলো নিয়ে যথেষ্ট তারতম্য রয়েছে। এ কারণেই দেশের উচ্চশিক্ষার মান নিয়ে বিতর্ক ও প্রশ্ন উঠছে।

প্রশ্ন : দেশে গুণগত উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত না হওয়ার পেছনে প্রধান অন্তরায়গুলো কী বলে আপনি মনে করেন?

ভিসি : দেশে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ১৩০টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। কিন্তু বিশ্বের প্রথম ৫০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আমাদের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ও স্থান পায়নি। আমার মনে হয় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকরা আগের মতো দরদ দিয়ে পড়ান না। অনেক শিক্ষক অর্থোপার্জনের দিকেই বেশি মনোযোগী। সুতরাং তারা বিভিন্ন কনসালটিং প্রজেক্টে কাজ করা, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানোসহ নানাবিধ অর্থোপার্জন কর্মকাণ্ডে জড়িত। পক্ষান্তরে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ না পাওয়া শিক্ষার্থীরা ভর্তি হয়। এছাড়া এ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভালো শিক্ষকের অভাব, অপর্যাপ্ত ল্যাবরেটরি, অপরিসর ক্যাম্পাস ইত্যাদি কারণে গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না।

প্রশ্ন : গুণগত উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি কী কী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে?

ভিসি : প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি স্বল্প ব্যয়ে সবার দ্বারপ্রান্তে উচ্চশিক্ষা পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এটি প্রকৃত অর্থেই একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যরা এ বিশ্ববিদ্যালয়ের আয় থেকে একটি পয়সাও নেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্বৃত্ত অর্থ শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি, ল্যাবরেটরি স্থাপন এবং বিভিন্ন একাডেমিক কার্যক্রমের পেছনেই খরচ হয়। আমাদের প্রতিষ্ঠানে ভর্তিকৃত প্রতিটি শিক্ষার্থীর ২০% থেকে ১০০% পর্যন্ত টিউশন ফি মওকুফের ব্যবস্থা আছে। শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে যারা দীর্ঘমেয়াদে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতে চায় তাদের অগ্রাধিকার দিয়ে থাকি। আমাদের মূল শক্তি শিক্ষক। তারা প্রতিটা শিক্ষার্থীকে নিজ সন্তানতুল্য মনে করেন। অনেক নিম্নমানের শিক্ষার্থী এ প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়। কিন্তু তারা যখন ডিগ্রি নিয়ে বের হয়, তখন কাউকে বেকার বসে থাকতে হয় না।

প্রশ্ন : নিজস্ব ও সুপরিসর ক্যাম্পাসের অনুপস্থিতি কি মানসম্মত উচ্চশিক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব ফেলে? আপনাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?

ভিসি : গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য নিজস্ব ও সুপরিসর ক্যাম্পাসের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা, সংস্কৃতি চর্চা, সেমিনার সিম্পোজিয়ামে অংশগ্রহণ, শরীরচর্চা ইত্যাদি সুযোগ সুবিধা বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাটা জরুরি। ক্লাসের ফাঁসে ফাঁকে শিক্ষার্থীরা যাতে কোথাও বসে গল্প করতে পারে বা ক্যান্টিনে বসে খেতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এর সবই সম্ভব যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসটা সুপরিসর হয় এবং শ্রেণিকক্ষ ছাড়াও অন্যান্য আনুষঙ্গিক কর্মকাণ্ডের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা থাকে। বিদেশে একটি বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে একটি উপশহর গড়ে ওঠে। প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি ঢাকা শহরের উপকণ্ঠ পূর্বাচলে নিজস্ব সুপরিসর ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ ও পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে।

প্রশ্ন : শুধু কাগুজে ডিগ্রি দিয়ে এখন চাকরি লাভ বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে। এ থেকে উত্তরণে সরকার ও সংশ্লিষ্টদের করণীয় কী? এক্ষেত্রে আপনার প্রতিষ্ঠানে কী কী প্রোগ্রাম চালু আছে?

ভিসি : চাকরির ক্ষেত্রে নিয়োগকর্তারা দেখেন তারা যে কাজের জন্য একজন প্রার্থীকে নিয়োগ দেবেন তিনি সে কাজটা দক্ষতার সঙ্গে করার জন্য সর্বোত্তম ব্যক্তি কিনা। শুধু বইভিত্তিক জ্ঞান দিয়ে ভালো চাকরি ‘পাওয়া সম্ভব নয়।’ নিয়োগকর্তারা প্রার্থীর বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান, কথাবার্তা ও বাচনভঙ্গি, পেশাগত ও সামাজিক দক্ষতা, মানসিক পরিপক্বতা ইত্যাদি সব বিষয় যাচাই-বাছাই করেই চাকরি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। সুতরাং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শুধু বইভিত্তিক জ্ঞান দেওয়ার মধ্যে সীমিত না থেকে পাঠক্রম ও পাঠদান পদ্ধতি ঢেলে সাজাতে হবে যাতে শিক্ষার্থীরা বাস্তব ও ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জনে সম্ভব হয়। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের উচিত সব বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠক্রম মাঝে মাঝে পরীক্ষা করে দেখা। আমাদের প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মান নিশ্চিতকরণ একটি ইউনিট আছে যার দায়িত্ব হচ্ছে বাস্তব ও কর্মমুখী শিক্ষা নিশ্চিতকরণ।

প্রশ্ন : উচ্চশিক্ষা গ্রহণরত শিক্ষার্থীদের প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি কী কী আর্থিক সুবিধা দিচ্ছে?

ভিসি : আমি আগেই বলেছি প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি কম খরচে গুণগত শিক্ষা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা বছরে প্রায় ছয় কোটি টাকা দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি হিসেবে প্রদান করে থাকি। শিক্ষার্থীরা উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফলের ভিত্তিতে বৃত্তি পেয়ে থাকে যা নির্ধারিত জিপিএ বজায় সাপেক্ষে চার বছর চালু থাকে। তাছাড়া প্রত্যেক সেমিস্টারের ফলাফলের ভিত্তিতেও তাদের বৃত্তি দেওয়া হয়। এছাড়া স্কলারট্রুপ নামে একটি প্রতিষ্ঠান দরিদ্র ও মেধাবীদের জন্য বিশেষ বৃত্তি প্রদান করে। অতি দরিদ্র শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি প্রদানের দায়িত্ব কয়েকজন ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য নিজের হাতে নিয়েছেন।

প্রশ্ন : অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিড়ে একজন শিক্ষার্থী কেন প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটিকে বেছে নেবে?

ভিসি : এটা খুবই ভালো প্রশ্ন। এতগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিড়ে একজন শিক্ষার্থী কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবে তা নির্ভর করছে ওই শিক্ষার্থী কোন বিষয়ে পড়তে চায় এবং তার আর্থিক সামর্থ্য কেমন তার ওপর।  আমার প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে ১২টি ডিগ্রি প্রোগ্রাম চালু রয়েছে। বিএসসি ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রামের জন্য আমাদের যথেষ্ট সুনাম আছে। বেশ কয়েকজন স্বনামধন্য সিনিয়র শিক্ষক এ প্রোগ্রামে পড়ান। এদের মধ্যে প্রফেসর ড. জাহিদ হোসেন প্রধান একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিজ্ঞানী, যিনি রকেট আবিষ্কারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। আমাদের বিবিএ ও এমবিএ প্রোগ্রামও যথেষ্ট মানসম্পন্ন। আইবিএর সাবেক পরিচালক প্রফেসর ড. নুরুর রহমান বিজনেস স্কুলের ডিন হিসেবে কর্মরত আছেন। তা ছাড়া আমাদের ইংরেজি বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত বিএ (অনার্স) ও এমএ ডিগ্রি এবং ইলেকট্রিক্যাল ও কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধীনে ইলেকট্রিক্যাল, টেলিকম্যুনিকেশন ও কম্পিউটার বিজ্ঞান বিষয়ে ব্যাচেলর প্রোগ্রাম অফার করা হয় যা গুণগত মানের নিরিখে প্রশংসনীয়। মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি সর্বোত্তম।

প্রশ্ন : আপনার শিক্ষাজীবনের কোনো মধুর স্মৃতি থাকলে বলুন।

ভিসি : আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের ছাত্র ও শিক্ষক ছিলাম। পরবর্তীতে ফুলব্রাইট স্কলারশিপ নিয়ে আমি যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিএ এবং ক্লিভল্যান্ড স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে ডক্টরেক্ট অর্জন করি। আমেরিকাতে ডক্টরেট করতে গেলে প্রথম দুই বছর কোর্সওয়ার্ক শেষ করার পর কম্প্রিহেনসিভ পরীক্ষা দিতে হয়। আমরা তিনজন ছাত্র একসঙ্গে এই পরীক্ষা দিয়েছিলাম। অন্য দুজনের একজন ছিল চীনের, আরেকজন আমেরিকান। পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর দেখা গেল, আমি একাই পাস করেছি এবং বাকি দুজন ফেল করেছে। এর ফলে তারা দুজনই ডক্টরেট করার যোগ্যতা হারান। শুধু বাংলাদেশের একজন ছাত্র পাস করেছে জেনে অনেকে আমাকে দেখতে এলো। একজন জিজ্ঞেস করল, বাংলাদেশ কোথায়? এটা কী আফ্রিকা মহাদেশে নাকি দক্ষিণ আমেরিকায়? আমি একটা বিশ্ব মানচিত্র এনে বাংলাদেশের অবস্থান দেখালাম।

প্রশ্ন : দেশে মাত্র হাতেগোনা কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স ইন ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ টিচিং প্রোগ্রাম রয়েছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এ প্রোগ্রামটির গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা কেমন?

ভিসি : যে কয়েকটি হাতেগোনা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স ইন ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ টিচিং প্রোগ্রাম রয়েছে তার মধ্যে প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি অন্যতম। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আজকাল ইংরেজির গুরুত্ব বেড়েছে অনেক। ইংরেজি এখন আর শুধু ভাষা নয়, এটি একটি বিশেষ পেশাগত দক্ষতা। এ দক্ষতা অর্জনের জন্য ইংরেজি ভাষা কীভাবে পড়ানো উচিত তা এ প্রোগ্রামে শেখানো হয়। শুধু ভালো ইংরেজি জানার কারণে একজন ব্যক্তি আন্তর্জাতিক চাকরি বাজারে প্রবেশ করার সুযোগ পায়। সুতরাং আমাদের দেশে আরও অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিষয়টি পড়ানো উচিত বলে আমি মনে করি।

প্রশ্ন : বিশ্বদ্যািলয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে আপনার পরামর্শ কী?

ভিসি : আমার পরামর্শ হলো, তোমাদের মনে রাখতে হবে  যে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের ৪-৫ বছর তোমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়। এটাকে বলা যায়, বীজ বপনের সময়। যে যেমন বীজ বপন করবে সে তেমন ফল ঘরে তুলবে। এ সময়টার যারা পূর্ণ সদ্ব্যবহার করবে তারা পৌঁছে যাবে সাফল্যের উচ্চশিখরে। আর যে ছাত্র এ সময়টাকে নষ্ট করবে সে নিক্ষিপ্ত হবে ব্যর্থতার আঁস্তাকুড়ে। আরেকটা কথা মনে রাখতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অবস্থায় শুধু পড়াশোনা করলেই চলবে না। নিজেকে একজন পরিপূর্ণ ও আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করতে হবে। কোনো অজুহাতেই লেখাপড়াকে অবহেলা করা যাবে না। সুন্দর বন্ধুত্ব ও নির্মল আনন্দ উল্লাসের মধ্য দিয়ে জীবনকে উপভোগ করতে শেখ। তোমাদের সাফল্য অবশ্যম্ভাবী।

সর্বশেষ খবর