সুখী মানুষ
—মমতাজ উদ্দীন আহমদ
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর১। প্রশ্ন : মোড়ল সুবর্ণপুরের মানুষকে কীভাবে জ্বালিয়েছে?
উত্তর : মোড়ল বিভিন্নভাবে সুবর্ণপুরের মানুষের অধিকার হরণ করে জ্বালিয়েছে।
মোড়ল কারো গরু কেড়ে নিয়েছে, কারো ধান লুট করেছে, অন্যায়ভাবে হাসুর মুরগি জবাই করে খেয়েছে। মানুষের বিভিন্ন জিনিস জোর করে দখল করেছে। গ্রামের মানুষের বিপদ দেখে বিদ্রূপ হাসি হেসেছে। তার ভয়ে সবাই সবসময়ই তটস্থ। এভাবে সে গ্রামের মানুষের জীবন অশান্তিময় করে তুলেছে।
২. প্রশ্ন : কবিরাজ মোড়লকে নিষ্ঠুর বলেছেন কেন?
উত্তর : ‘সুখী মানুষ’ নাটিকায় মোড়ল একজন অত্যাচারী ও লোভী মানষ, তাই মোড়লকে কবিরাজ নিষ্ঠুর বলেছেন।
মোড়ল সুবর্ণপুর গ্রামের মানুষের ধন-সম্পদ আত্মসাৎ করে তাদেরকে অনেক কষ্ট দিয়েছে। অন্যের জিনিস অন্যায়ভাবে দখল করে তিনি ধনী হয়েছে, মানুষের সম্পদ কেড়ে নিয়ে নিজে সম্পদশালী হয়েছে। অন্যের কষ্ট কখনো তাকে বিচলিত করেনি, তাই তাকে নিষ্ঠুর বলা হয়েছে।
৩। প্রশ্ন: মোড়লের হাড় মড়মড় রোগ ভাল হবে কীভাবে?
উত্তর: একজন সুখী মানুষের জামা গায়ে দিলেই অত্যাচারী মোড়লের হাড় মড় মড় রোগ ভালো হবে।
মোড়ল একজন অত্যাচারী মানুষ। অন্যের সম্পদ হরণ করার মাঝেই সে সুখ খুঁজে পায়। অন্যের কষ্টে সে আনন্দ পায়। একসময় অপরাধ বোধ থেকে সে শারীরিকভাবে ও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। কোন মতেই ভালো হচ্ছে না। তাই কবিরাজের মতে সুখী মানুষের জামা গায়ে দিলেই মোড়ল ভাল হয়ে যাবে।
৪। প্রশ্ন : ‘মনের মধ্যে অশান্তি থাকলে ওষুধে কাজ হয় না’- বুঝিয়ে লিখ।
উত্তর: অন্যায় ও অনৈতিকভাবে উপার্জিত অর্থবিত্তের মালিক অত্যাচারী মোড়লের শেষ পরিণতিতে এই উক্তিটি করা হয়েছে। আলোচ্য কথাটি মোড়লকে উদ্দেশ্য করে তার মামাতো ভাই হাসু বলেছিল। [চলবে]