জান্নাতুল ফেরদৌস স্বর্ণা
সিনিয়র শিক্ষক, ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল, ঢাকা।
প্রিয় শিক্ষার্থীরা, আজকের আলোচ্য বিষয় অধ্যায় তিন। এই অধ্যায় শিক্ষার্থীদের জন্য M.C.Q জ্ঞান, অনুধাবন ও প্রয়োগমূলক প্রশ্নোত্তর এর জন্য Important কিন্তু এই অধ্যায়ের পেইজ ২৭ এর পাঠ (৮-১০) রচনামূলক প্রশ্নোত্তর এর জন্য অধিক গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন :
১. ব্যাপন কাকে বলে?
২. অভিস্রবণ কাকে বলে?
৩. ইমবাইবিশন কী?
৪. প্রস্বেদন কাকে বলে?
৫. প্রস্বেদনকে Necessary বারষ বলা হয় কেন?
৬. উদ্ভিদের কোন কোন অঙ্গের মাধ্যমে প্রস্বেদন হয়?
৭. ঊর্ধ্বমুখী ও নিম্নমুখী পরিবহন কিসের মাধ্যমে হয়?
৮. উদ্ভিদের পরিবহন কাকে বলে?
উত্তর :
১. ব্যাপন : কোনো মাধ্যমে কোন কঠিন তরল ও বায়বীয় পদার্থের স্বতঃস্ফূর্ত ও সমভাবে পরিব্যাপ্ত হওয়ার ঘটনাকে ব্যাপন বলে।
ব্যাপন সাধারণত অধিক ঘনত্বযুক্ত স্থান থেকে কম ঘনত্বের স্থানে ছড়িয়ে পড়ে।
২. অভিস্রবণ :
দুটি ভিন্ন ঘনত্বের দ্রবণ একটি অর্ধভেদ্য পর্দা দ্বারা পৃথক থাকলে যে ভৌত প্রক্রিয়ায় দ্রাবক কম ঘনত্বের দ্রবণ থেকে অধিক ঘনত্বের দ্রবণের দিকে ব্যাপ্তি হয় তাকে অভিস্রবণ বলে।
৩. ইমবাইবিশন :
কলয়েডধর্মী পদার্থ (স্টার্চ, সেলুলোজ, জিলাটিন) যে প্রক্রিয়ায় নানা ধরনের তরল পদার্থ শোষণ করে তাকে ইমবাইবিশন বলে।
৪. প্রস্বেদন :
প্রস্বেদন একটি শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া। অর্থাৎ যে জৈবিক প্রক্রিয়ায় উদ্ভিদ তার দেহ থেকে অতিরিক্ত পানি বাষ্পাকারে বের করে দেয় তাকে প্রস্বেদন বলে।
৫. প্রস্বেদন একটি অনিবার্য প্রক্রিয়া। এর মাধ্যমে উদ্ভিদ তার দেহ প্রচুর পানি বাষ্পাকারে বের করে দেয়, এতে উদ্ভিদের মৃত্যুও হতে পারে। তাই আপাতদৃষ্টিতে উদ্ভিদের জীবনে প্রস্বেদনকে ক্ষতিকর প্রক্রিয়া বলে মনে হতে পারে। এজন্য প্রস্বেদনকে necessary বারষ বলে।
৬. প্রস্বেদন একটি অনিবার্য শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া। এর মাধ্যমে উদ্ভিদ তরে দেহ থেকে বাষ্পাকারে পানি বের করে দেয়। সাধারণত পত্ররন্দ্রের মাধ্যমে ত্বকীয় বা কিউটিকুলারের মাধ্যমে এবং লেটিকুলারের মাধ্যমে প্রস্বেদন ঘটে।
৭. উদ্ভিদ মূলরোমের মাধ্যমে পানি ও খনিজ লবণ শোষণ করে। কাণ্ডের মধ্যে জাইলেম টিস্যু থাকে যার মাধ্যমে ঊর্ধ্বমুখী পরিবহন এবং পাতার ফ্লোয়েমের মাধ্যমে নিম্নমুখী পরিবহন ঘটে। কারণ জাইলেম বাহিকার মাধ্যমে মূল দিয়ে গ্রহণকৃত খাদ্য সারা শরীরে ছড়ায় এবং সালোক সংশ্লেষণের মাধ্যমে পাতার প্রস্তুতকৃত খাদ্য কাণ্ডের দিকে পৌঁছায়।
৮. উদ্ভিদের মূলরোমের মাধ্যমে শোষিত পানি ও খনিজ লবণ থেকে পাতায় পৌঁছানো এবং পাতায় তৈরি খাদ্যবস্তু সারা দেহে ছড়িয়ে পড়াকে পরিবহন বলে।
অধ্যায় : চার
আজকের আলোচ্য বিষয় এ অধ্যায়ের জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর।
প্রজনন কী?
জটিল প্রক্রিয়ায় জীব তার প্রতিরূপ বংশধর সৃষ্টি।
চবহরপরষষরঁস কিসের মাধ্যমে বংশ বৃদ্ধি করে?
কনিডিয়া সৃষ্টির মাধ্যমে।
অঙ্গজ জনন কী?
অঙ্গের কম্বায়নের মাধ্যমে যে জনন ঘটে তাকে অঙ্গজ জনন বলে।
রাইজোম মাটির নিচে কিভাবে থাকে?
সমান্তরালভাবে।
ফুলের অত্যাবশকীয় দুটি স্তবকের নাম লিখ।
পুং ও স্ত্রী স্তবক।
সরিষায় কোন ধরনের পরাগায়ন ঘটে?
স্ব-পরাগায়ন।
ফল কী?
নিষিক্তকরণের পর গর্ভাশর এককভাবে অথবা অন্যান্য অংশ যে অঙ্গ গঠন করে তাকে ফল বলে।
নীরস ফল কী?
যে ফলের ফলত্বক পাতলা এবং পরিপক্ব হলে ত্বক শুকিয়ে ফেটে যায় তাকে নিরস ফল বলে।
ডিম্বকরুন্ত্র কী?
বীজের সুচালো অংশের কাছে একটি ছিদ্র আছে। একে মাইক্রোপাইল বা ডিম্বকরুন্ত্র বলে।
টেস্টা ও টেগমেন কী?
প্রতিটি বীজপত্রের ত্বক দুটি অংশে বিভক্ত। বাইরের অংশকে টেষ্টা এবং ভিতরের অংশকে টেগমেন বলে।
ভ্রূণমূল ও ভ্রূণকাণ্ড কী?
বীজপত্রের নিচের অংশটি ভ্রূণমূল এবং বাইরে উপরের অংশটি ভ্রূণকাণ্ড বলে।