শেষ ১০ মিনিট রিভিশনের জন্য
পিরীক্ষার জন্য বরাদ্দ সময়ের অন্তত ১০ মিনিট আগে সব প্রশ্নের উত্তর শেষ করতে হবে। এই সময়ে রিভিশন দেবে।
রিভিশনের সময় খেয়াল করতে হবে— প্রশ্নপত্রের নম্বরের সঙ্গে উত্তরপত্রের নম্বরের মিল আছে কিনা, উত্তরপত্রে প্রশ্নের নম্বর নির্ভুল এবং পরিচ্ছন্নভাবে লেখা হয়েছে কিনা; লেখার বানান নির্ভুল, দাঁড়ি, কমা, সেমিকোলন ইত্যাদি ঠিকমতো ব্যবহার করা হয়েছে কিনা; প্রত্যেক পাতায় মার্জিন দেওয়া হয়েছে কিনা; অতিরিক্ত উত্তরপত্রের অংশ সঠিকভাবে পূরণ হয়েছে কিনা; একাধিক অতিরিক্ত উত্তরপত্র নিয়ে থাকলে তার ক্রমিক নম্বর সঠিকভাবে লেখা হয়েছে কিনা; উত্তরপত্রের টপ শিটে তার নম্বর লিখে বৃত্ত ভরাট এবং হাজিরা ফর্দে অতিরিক্ত উত্তরপত্রের সংখ্যা লেখা হয়েছে কিনা; উত্তরপত্র সঠিকভাবে সেলাই বা স্ট্যাপল করা ও অতিরিক্ত উত্তরপত্রের কোনো অংশ খুলে পড়ার সম্ভাবনা আছে কিনা; স্ট্যাপলের সময় অতিরিক্ত উত্তরপত্রের সংখ্যা এবং ক্রমিক ঠিক আছে কিনা; পরীক্ষা শেষের অন্তত ৩ মিনিট আগে খাতা জমাদানের জন্য প্রস্তুত রাখতে হবে।
পরীক্ষার্থীর সঙ্গে অভিভাবকের আচরণ যেমন হবে
পরীক্ষা মানেই প্রতিযোগিতা। পরীক্ষা আসলে প্রত্যেক পরীক্ষার্থীই চিন্তিত হয়ে পড়ে। তারা খাওয়া-গোসল-ঘুম সব কিছু বন্ধ করে দেয়। তাদের মাঝে একটা প্রচণ্ড দুশ্চিন্তা কাজ করে। তাই পরীক্ষার আগের রাতে প্রত্যেক অভিভাবকের উচিত তাদের সন্তানের সঙ্গে পজেটিভ আচরণ করা। তাদের খাওয়া-দাওয়া, ঘুম ইত্যাদির প্রতি বিশেষ যত্ন নেওয়া। সব সময় তাদের উৎসাহ দেওয়া এবং পরীক্ষা ভালো হবে এ বলে সব সময় তাদের মধ্যে উদ্দীপনা জোগানো।
পরীক্ষা খারাপ হলে অভিভাবকের আচরণ
কোনো পরীক্ষা খারাপ হলে শিক্ষার্থীরা এমনিতেই নানা দুশ্চিন্তায় পড়ে এবং নানা খারাপ চিন্তা তাদের মাথায় আসে। তাই পরীক্ষার কেন্দ্র থেকে বের হওয়ার পরপরই কোনো অভিভাবকের পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা উচিত নয়। পরীক্ষা খারাপ হয়েছে বিধায় বকাঝকা করলে তাদের মন ভেঙে যায় এবং পরবর্তী পরীক্ষাগুলো খারাপ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই অভিভাবকদের উচিত বকাঝকা না করে পরবর্তী পরীক্ষায় ভালো করার জন্য উৎসাহ দেওয়া। অভিভাবক ও পরীক্ষার্থী উভয়ের মনে রাখা উচিত জেএসসি পরীক্ষাই জীবনের শেষ পরীক্ষা নয়। জীবনে আরও কত পরীক্ষা আছে সেগুলো অবশ্যই ভালো হবে। তাই অন্য পরীক্ষাগুলো ভালো করার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।