মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা ২০১৭

বিষয় : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি

জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা ২০১৭

মেহেরুন্নেসা খাতুন

শিক্ষক, আলহাজ জামাত আলী প্রি-ক্যাডেট স্কুল

 

রচনামূলক প্রশ্নোত্তর

প্রিয় পরীক্ষার্থী, আজ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের ওপর রচনামূলক প্রশ্নোত্তর দেওয়া হলো।

 

প্রশ্ন : তথ্যপ্রযুক্তি কী? তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব আলোচনা কর।

উত্তর : তথ্য আহরণ, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ ও বিতরণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রক্রিয়া ও ব্যবস্থাকে তথ্যপ্রযুক্তি বলা হয়। তথ্যপ্রযুক্তি মূলত বিভিন্ন ইলেকট্রনিক প্রযুক্তির সঙ্গে মিলে তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে কম্পিউটার। কম্পিউটারনির্ভর ইন্টারনেট প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ফলে বিশ্ব এখন এক বিশাল তথ্যভাণ্ডারে পরিণত হয়েছে।

প্রতিদিন মানুষের জীবনে নতুন নতুন তথ্যের সমাবেশ ঘটছে। মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণে তথ্যের পরিমাণ দ্রুত বাড়ছে এবং উপযুক্ত তথ্য পাওয়ার সুযোগ অনেক বেড়ে গেছে। মানুষের নিজের পক্ষে সব তথ্য মনে রাখা সম্ভব নয় । এজন্য প্রয়োজন সঠিক  যোগাযোগব্যবস্থা। যার মাধ্যমে সহজে ও দ্রুত তথ্য পাওয়া যায়।

প্রশ্ন : দৈনন্দিন জীবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির কয়েকটি ব্যবহার লেখ।

উত্তর : দৈনন্দিন জীবনে তথ্যপ্রযুক্তির নানামুখী ব্যবহার রয়েছে। কয়েকটি ব্যবহার নিচে দেওয়া হল :

ক. মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ঘরে বসেই পরীক্ষার ফলাফল জানা যায়।

খ. মোবাইল ফোন ব্যবহার করে টাকা পাঠানো ও গ্রহণ করা যায়।

গ. অনলাইন ও ইন্টারনেট ব্যবহারে ঘরে বসেই চাকরির আবেদন করা যায়। পরীক্ষার প্রবেশপত্র অনলাইন থেকে প্রিন্ট করা যায়।

ঘ. অনলাইন টিকিটিং সিস্টেমের মাধ্যমে স্টেশনে না গিয়েই ট্রেন ও প্লেনের টিকিট কেনা যায়।

ঙ. অনলাইনে ইন্টারনেটের সহায়তায় সব ধরনের পত্রিকা (যা ইন্টারনেটে থাকে) পড়া যায়।

চ. ইন্টারনেটে ঘরে বসেই প্রয়োজনীয় পণ্যের অর্ডার দেওয়া ও বিল পরিশোধ করা যায়।

ছ. এটিএম মেশিনের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে যেকোনো সময় টাকা তোলা যায়।

জ. ই-বুক পড়ার সুবিধা পাওয়া যায়।

প্রশ্ন : ‘সংযুক্তিই উৎপাদনশীলতা’ বিষয়টি ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : প্রযুক্তির বিকাশের শুরুর দিকে ধারণা করা হত স্বয়ংক্রিয়করণ এবং প্রযুক্তির কারণে বিশ্বব্যাপী কাজের পরিমাণ কমে যাবে। এর ফলে বেকারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। তথ্য ও প্রযুক্তির বিকাশের ফলে সমাজের বিভিন্ন স্তরে বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন এসেছে। মানুষ সব ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার প্রয়োজনে শিখে নিচ্ছে। কিন্তু এর ফলে কিছু কিছু সনাতনী কাজ বিলুপ্ত হয়েছে, বেশ কিছু কাজের ধারার পরিবর্তন এসেছে। অসংখ্য নতুন কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে একজন কর্মী আরও বেশি দক্ষ হয়ে ওঠে। বিভিন্ন কারখানায় নানা রকম বিপজ্জনক কাজের জন্য রোবট বা স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র ব্যবহার করা হয়। এসব যন্ত্র নিয়ন্ত্রণ মানুষই করে থাকে। এতে সময় বাঁচে। নিখুঁত ও সঠিকভাবে কাজ সম্পন্ন হয়। এতে উৎপাদনশীলতা বাড়ে। এর কারণ হল তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সংযুক্তি।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রয়োগে উৎপাদনশীলতায় এ বৃদ্ধিকে বাঙালি শিক্ষাবিদ এবং বর্তমানে আমেরিকার এমআইটির অধ্যাপক ইকবাল কাদির সংজ্ঞায়িত করেছেন, সংযুক্তিই উৎপাদনশীলতা অর্থাৎ প্রযুক্তিতে জনগণের সংযুক্তি বাড়লে তাদের উৎপাদনশীলতা বাড়ে। ফলে নতুন নতুন কাজের উদ্যোগ তৈরি হয়।

সর্বশেষ খবর