সৃজনশীল
গদ্য ও পদ্য অংশের প্রতিটি থেকে অন্তত ২টি এবং উপন্যাস ও নাটক অংশের প্রতিটি থেকে অন্তত ১টিসহ মোট ৭টি প্রশ্নের উত্তর দাও।
ক অংশ : গদ্য ১.
‘এই খানে তোর বুজির কবর,
পরির মতন মেয়ে
বিয়ে দিয়েছিনু কাজিদের বাড়ি বনিয়াদি ঘর পেয়ে।
এত আদরের বুজিরে তাহারা ভালোবাসিত না মোটে,
হাতেতে যদিও না মারিত তারে,
শত যে মারিত ঠোঁটে।’
ক. ‘দেনা-পাওনা’ গল্পে বাড়ির বউয়ের মৃত্যুকে কিসের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে? ১
খ. বর সহসা পিতার অবাধ্য হয়ে উঠল কেন? ২
গ. উদ্দীপকের বুজি কিভাবে ‘দেনা-পাওনা’ গল্পের নিরুপমার চরিত্রের প্রতীক? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকের বুজি ও ‘দেনা-পাওনা’ গল্পের নিরুপমা একই সমাজব্যবস্থার শিকার বিশ্লেষণ করো। ৪
২. রেহানা স্বামী-সন্তান নিয়ে বস্তিতে থাকে। স্বামী দিনমজুর, সব সময় কাজ পায় না। তাই সে তিনটি বাসায় কাজ করে। কোথাও বাসন মাজা, ঘর মোছা, সবজি কোটা, কোথাও বা কাপড়চোপড় ধোয়া, মসলা বাটা ইত্যাদি। সে এক বাসার কাজ সেরে আরেক বাসায় যায়। চুপচাপ সে তার কাজগুলো করে। কাজ নিয়ে কেউ বকাঝকা করলে তার মনটা খারাপ হয়ে যায়।
ক. মমতাদির বয়স কত ছিল? ১
খ. জীবনময় লেন দেখে লেখকের কী মনে হয়েছিল? ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকের রেহানা ও ‘মমতাদি’ গল্পের মমতাদি চরিত্রের সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. ‘উদ্দীপকের বিষয়বস্তু ‘মমতাদি’ গল্পের সামগ্রিক ভাবকে ধারণ করে না’— মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো। ৪
৩. বাঙালি মাত্রই দুর্বল-ভীরু এমন নয়, আমাদের মুক্তিযুদ্ধ তার বড় প্রমাণ। তাই তো কবিকণ্ঠে উচ্চারিত শব্দমালা—
তোদের অসুর নৃত্য...ঠা ঠা হাসি...ফিরিয়ে দিয়েছি,
তোদের রক্তাক্ত হাত মুচড়ে দিয়েছি নয় মাসে।
চির কবিতার দেশ...
ভেবেছিলি অস্ত্রে মাত হবে
বাঙালি অনার্য জাতি, খর্বদেহ...
ভাত খায়, ভীতু
কিন্তু কী ঘটল শেষে, কে দেখাল মহাপ্রতিরোধ...
খেলেছি, মেরেছি সুখে...কান কেটে দিয়েছি তোদের।
ক. আমাদের কাব্যে কোন রসের আধিক্য রয়েছে? ১
খ. রাজ্য স্থাপন অপেক্ষা ‘রাজা’ উপাধি লাভ সহজ, বলতে বেগম রোকেয়া কী বুঝিয়েছেন? ২
গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘নিরীহ বাঙালি’ প্রবন্ধের পার্থক্য ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. ‘বেগম রোকেয়ার দৃষ্টিভঙ্গি আজকের বাঙালির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়’—বিশ্লেষণ করো। ৪
৪. তোমারে সেবিতে হইল যাহারা মজুর মুটে ও কুলি,
তোমারে বহিতে যারা পবিত্র অঙ্গে লাগাল ধূলি,
তারাই মানুষ, তারাই দেবতা গাহি তাহাদেরি গান,
তাদেরি ব্যথিত বক্ষে পা ফেলে আসে নব উত্থান
ক. কোন শব্দের ব্যবহার কাজী নজরুল ইসলামের কবিতাকে বিশিষ্টতা দান করেছে? ১
খ. ‘সে যে ডাকার মতো ডাকা’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ২
গ. উদ্দীপকে ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধের প্রতিফলিত বিষয়টি ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. প্রতিফলিত দিকটি ‘উপেক্ষিত শক্তি উদ্বোধন’ প্রবন্ধের খণ্ডাংশ মাত্র— মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো। ৪
খ অংশ : পদ্য
৫. i. মুক্তিসেনার দীপ্ত চোখে
প্রতিশোধের আগুন ঝরে
মুক্তিসেনা অস্ত্র হাতে,
শত্রু-দুর্গে ঝাঁপিয়ে পড়ে,
শত্রু ওড়ে খড়ের মতো।
বুক ঝাঁপানো তুমুল ঝড়ে।
ii. বাংলাদেশের স্বাধীনতা রক্ত দিয়ে কেনা
যুদ্ধ করে প্রাণ দিয়েছে লক্ষ সবুজ সেনা।
হানাদারের হিংস্রতাকে ভেঙে দিয়ে শেষে
স্বাধীনতার সুখ এনেছে প্রিয় বাংলাদেশে।
ক. সাহসী জননী বাংলার বুকে কী চাপা পড়েছে? ১
খ. ‘অ আ ক খ বর্ণমালা পথে পথে’ বলতে বোঝানো হয়েছে? ২
গ. i. নম্বর উদ্দীপকটি ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতার যে চিত্র তুলে ধরে—তা ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপক ii. নম্ব্বর বক্তব্যের সফল বাস্তবায়ন যেন ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতাটি—মন্তব্যটি যথার্থতা প্রমাণ করো। ৪
৬. নিখিলের এত শোভা এই রূপ, এত হাসি গান
ছাড়িয়া মরিতে মোর কভু নাহি চাহে মন-প্রাণ।
এ বিশ্বের সবই আমি প্রাণ দিয়া বাসিয়াছি ভালো,
আকাশ-বাতাস-জল, রবি-শশী তারকার আলো।
ক. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কোন কাব্যগ্রন্থের জন্য নোবেল পুরস্কার পান? ১
খ. ‘তা যদি না পারি’- এ কথার দ্বারা কবি কী বুঝিয়েছেন? ২
গ. উদ্দীপকে ‘প্রাণ’ কবিতার কোন দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে—ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. ‘‘উদ্দীপকের ভাববস্তুর সঙ্গে ‘প্রাণ’ কবিতার ভাববস্তুর পার্থক্য না থাকলেও কবির চাহিদা সম্পূর্ণতা পায়নি’—মূল্যায়ন করো। ৪
৭. রেখ, মা, দাসেরে মনে
এ মিনতি করি পদে
সাধিতে মনের সাধ
ঘটে যদি পরমাদ
মধুহীন করো না গো
তব মনঃকোক নদে।
ক. ‘কৃষ্ণ কুমারী’ মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত কোন ধরনের রচনা? ১
খ. কবি কপোতাক্ষ নদকে ভুলতে পারেন না কেন? ২
গ. উদ্দীপকটি ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার কোন অংশের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. “উদ্দীপকের কবির আকুতি ও ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার কবির মিনতি একই ধারায় উৎসারিত”- বিশ্লেষণ করো। ৪
গ অংশ : উপন্যাস
৮. i. আকাশ থেকে হঠাৎ করে
নামলো কিছু দত্যি
মানুষ দেখে অমনি ধরে
এক থাবাতে সাবাড় করে,
দেখতে যেমন, কাজও তেমন,
নেই মায়া এক রত্তি।
রর. চট করে কে ঝড়ের বেগে
ওড়ায় তাদের কামান দেগে।
সবাই দেখে সে যে খোকন,
রক্তে শরীর ভরতি,
মায়ের চোখে খুশির কাঁদন
যুদ্ধে যদি মরতি।
ক. বুধার কয় ভাইবোন কলেরায় মারা যায়? ১
খ. ‘ওকে দেখলে শকুনের বুঝি মনে হয় মরা মানুষ’-কেন? ২
গ. i. নম্বর উদ্দীপকটি ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের কোন দিকের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. ii. নম্বর উদ্দীপকটিতে ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের মূলভাবকে ধারণ করেছে- বিশ্লেষণ করো। ৪
৯. কাজলা গাঁয়ের ছোট্ট ছেলে
সে পারে যা কেউ পারে না,
ভয় করে না দত্যি-দানোর
মামদো-ভূতের ধার ধারে না,
সব কিছুতে সাহস রাখে
ভাঙবে তবু মচকাবে না।
ক. বুধা ও শাহাবুদ্দিন দুজনে মিলে কী খায়? ১
খ. ‘এখন শব্দটা শোনার জন্য বসে থাকব’-ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকের কাজলা গাঁয়ের ছেলেটির সঙ্গে ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের বুধা চরিত্রের সাদৃশ্য নির্ণয় করো। ৩
ঘ. ‘‘সাদৃশ্য থাকলেও উদ্দীপকটি ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের সম্পূর্ণ ভাবকে ধারণ করেনি’’-মূল্যায়ন করো। ৪
ঘ অংশ : নাটক
১০. ভণ্ড মজিদ মহব্বতনগর গ্রামের একটি কবরকে লালসালু কাপড় দিয়ে ঢেকে সেটিকে পীরের মাজার ও নিজেকে তাঁর খাস খাদেম দাবি করেন। দিন দিন তিনি অঢেল সম্পত্তির মালিক হন। একপর্যায়ে রহিমাকে বিয়ে করেন। স্বামীর কথা সে অক্ষরে অক্ষরে পালন করেন। রহিমা একটু জোরে হাঁটলে মজিদ বলেন, ‘অমন করে হাঁটতে নাই। ’ স্বামীর কথায় রহিমা সংবিৎ ফিরে পায়।
ক. ‘বহিপীর’ নাটকের রচয়িতা কে? ১
খ. হাতেম আলী শহরে গিয়েছিলেন কেন? ২
গ. উদ্দীপকের রহিমা ও ‘বহিপীর’ নাটকের খোদেজার মধ্যকার সাদৃশ্য ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. “উদ্দীপকের মজিদ ও ‘বহিপীর’ নাটকের বহিপীর মূলত একই পথের পথিক।’ মন্তব্যটি যথার্থ কিনা লেখো। ৪
১১. সম্পত্তির লোভে রাফেজার বাবা তার বিয়ে এক বুড়োর সঙ্গে ঠিক করেন। রাফেজা এতে কোনো আপত্তি না করে বাবার কথা নির্দ্বিধায় মেনে নেয়। কারণ সে বিশ্বাস করে, বিয়েটা হলো তকদিরের ব্যাপার। স্বামী বুড়ো হলেও স্বামী।
ক. ‘বহিপীর’ নাটকে কোন ঋতুর কথা বলা হয়েছে? ১
খ. হাতেম আলী প্রথম পরিচয়ে পীর সাহেবের সঙ্গে কী কথা বলেছেন? ২
গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘বহিপীর’ নাটকের বৈসাদৃশ্য ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. ‘রাফেজার মধ্যে তাহেরার মতো প্রতিবাদী সত্তার বিকাশ ঘটেনি’-মন্তব্যটি মূল্যায়ন করো। ৪