রবিবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

এসএসসি পরীক্ষা প্রস্তুতি

কাজী ইস্কান্দার আলী

সাধারণ বিজ্ঞান

সৃজনশীল

নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।

 

মিজান সাহেব একটি বেসরকারি অফিসের বড় কর্মকর্তা। অফিসে তিনি নানা ব্যাপারে অনেক টেনশনে থাকেন এবং অনেক সহজেই উত্তেজিত হয়ে যান। তিনি অধিক চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণ করেন এবং ধূমপান তার অন্যতম বদভ্যাস। একদিন হঠাৎ তিনি বাম বুকে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করায় ডাক্তারের শরণাপন্ন হলেন। ডাক্তার জানালেন তিনি উচ্চরক্তচাপে ভুগছেন।

 

প্রশ্ন : ক) উচ্চরক্তচাপ কী?             ১

খ) কী কারণে উচ্চরক্তচাপ হতে পারে?         ২

গ) মিজান সাহেব উচ্চরক্তচাপে আক্রান্ত কিনা তা বোঝার উপায় কী?                 ৩

ঘ) উচ্চরক্তচাপের ঝুঁকি কমানোর উপায় আলোকপাত কর।                 ৪

উত্তর : (ক) স্বাভাবিক বিশ্রামরত অবস্থায় একজন ব্যক্তির সিস্টোলিক রক্তচাপ যদি সব সময় ১৬০ মিলিমিটার পারদ স্তম্ভ বা তার বেশি এবং ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ সব সময় ৯৫ মিলিমিটার পারদ স্তম্ভ বা তার বেশি হলে তাকে উচ্চরক্তচাপ বলে।

খ) উচ্চরক্তচাপের কারণ অনেকটাই আজানা। তবে ধারণা করা হয় পরিবারে পিতামাতার উচ্চরক্তচাপ থাকলে সন্তানের উচ্চরক্তচাপে আক্রান্ত হতে পারে। এ ছাড়া অতিরিক্ত মেদবহুল শরীর ধূমপান, অতিরিক্ত লবণ খাওয়া, শারীরিক পরিশ্রম না করা ইত্যাদি অভ্যাসে উচ্চরক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ে। এছাড়া মানসিক টেনশন, অপরিমিত বিশ্রাম, শব্দ দূষণ ইত্যাদি কারণে মানুষের উচ্চরক্তচাপ হতে পারে।

গ) উচ্চরক্তচাপ শনাক্তকরণের উপায় :

উচ্চরক্তচাপের লক্ষণ বা উপসর্গ নিম্নে দেওয়া হলো।

i. মাথাব্যথা হয় এবং কোনো কোনো সময় মাথার পেছন দিকে ঘাড়ে তীব্র থেকে তীব্র ব্যথা হয়।

ii. হঠাৎ করে শরীর ঘাম দিয়ে নিস্তেজ হয়ে যায়।

iii. বুক ধড়ফড় করে এবং ব্যথা হয়।

রা. ক্লাান্তি বোধ করে এবং চক্ষু অনায়াসে বন্ধ হয়ে আসে।

া. আওয়াজ বা শোরগোল অসহ্য বলে মনে হয়।

ার.  কোনো কোনো সময় রোগী অজ্ঞান হয়ে পড়ে সুতরাং উচ্চরক্তচাপের উল্লেখিত লক্ষণ বা উপসর্গ মিজান সাহেবের অসুস্থতার লক্ষণগুলোর মিল থাকার কারণে বোঝা যায় যে তিনি উচ্চরক্তচাপজনিত রোগে আক্রান্ত।

খ. উচ্চরক্তচাপের ঝুঁকি কমানোর জন্য প্রতিরোধ ও প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি ব্যক্তিগত সচেতনতাই মূল বিষয়।

উচ্চরক্তচাপের প্রতিরোধ ও প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা উল্লেখ করা হলো—

i.যথাসময়ে উচ্চরক্তচাপ নির্ণয় ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।

ii. নিয়মিত ও পরিমিত ব্যায়াম, আহার গ্রহণ এবং চর্বিযুক্ত খাদ্য গ্রহণ, ধূমপান পরিহার করলে উচ্চরক্তচাপ থেকে রেহাই পাওয়া যেতে পারে।

iii. চিকিৎসকের পরামর্শ মতো রক্তচাপ নিয়মিত পরীক্ষা করা উচিত।

উচ্চরক্তচাপের প্রতিকার

i. চিকিৎসার মাধ্যমে উচ্চরক্তচাপ কমিয়ে রোগীকে প্যারালাইসিস হৃদরোগ এবং কিডনির রোগ থেকে রক্ষা করা।

ii. ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ গ্রহণ বা বর্জন করা কোনোক্রমেই উচিত নয়।

iii. শরীরের ওজন ঠিক রাখা, ধূমপান বন্ধ রাখা এবং খাদ্যে লবণের পরিমাণ কমানো এবং চিন্তাভাবনা থেকে যতদূর সম্ভব মুক্ত রাখা।

রা. সমুদ্রিক মাছ, মুরগির মাংস ডিমের সাদা            অংশ ননিহীন দুধ, ডাল জাতীয় খাদ্য তালিকায় থাকা উচিত।

সর্বশেষ খবর