অধ্যায় : এই দেশ এই মানুষ
(সব ধরনের নমুনা প্রশ্নোত্তর)
প্রদত্ত অনুচ্ছেদটি পড়ে ১, ২, ৩, ৪ ও ৫ নম্বর ক্রমিকের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ :
প্রকৃতির রূপসী কন্যা আমাদের এই বাংলাদেশ। এ দেশের নদী, মাঠ, অরণ্য আর পাহাড়ের রূপ দেখে আমরা মুগ্ধ। এ দেশে দিগন্তজোড়া ফসলের খেত। দক্ষিণা বাতাসে দোলে মাঠের ফসল। সবুজ মাঠের বুক চিরে বয়ে গেছে নদী। তার স্বচ্ছ পানির নিচে চিকচিক করে বালি। বনে, পাহাড়ে বাস করে নানা জীবজন্তু। গাছে গাছে উড়ে বেড়ায় রং-বেরঙের পাখি। তাদের কলকাকলিতে হৃদয় আনন্দে ভরে যায়। (তথ্যসূত্র : আমাদের এই দেশ : আমার বাংলা বই, পঞ্চম ভাগ- ২০১২)
১. সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ :
i. কোন দেশকে প্রকৃতির রূপসী কন্যা বলা হয়?
ক. ভারত খ. বাংলাদেশ গ. পাকিস্তান ঘ. চীন
ii. এ দেশের নদী, মাঠ, অরণ্য ও পাহাড়ের রূপে কারা মুগ্ধ?
ক. বাঙালিরা খ. ভারতীয়রা গ. হিন্দুরা ঘ. মুসলমানরা
iii. দক্ষিণা বাতাসে কী দোলে?
ক. আকাশ-পাতাল খ. গাছ-গাছালি
গ. ফুলের বাগান ঘ. মাঠের ফসল
রা. সবুজ মাঠের বুক চিরে কী বয়ে গেছে?
ক. খাল খ. বিল গ. নদী ঘ. সাগর
v. বাংলাদেশের নদ-নদীর পানি কেমন?
ক. ঘোলাটে খ. স্বচ্ছ গ. নোংরা ঘ. অস্বচ্ছ
vi. দক্ষিণা বাতাসে মাঠের ফসলের অবস্থা কী হয়?
ক. দুলে ওঠে খ. নষ্ট হয় গ. পেকে যায় ঘ. স্থির থাকে
vii. এ দেশে দিগন্তজোড়া কী দেখা যায়?
ক. বন খ. ফসলের খেত গ. কাশফুল ঘ. নদী
viii. পাহাড়ে কী বাস করে?
ক. হরিণ খ. কচ্ছপ গ. নানা জীবজন্তু ঘ. খরগোশ
রী. গাছে গাছে কী উড়ে বেড়ায়?
ক. প্রজাপতি খ. মৌমাছি গ. বাঁদর ঘ. রং-বেরঙের পাখি
x. পাখির কলকাকলিতে আমাদের হৃদয় কীসে ভরে যায়?
ক. আনন্দে খ. সুখে গ. বিষাদে ঘ. শান্তিতে
১. উত্তর : (i) খ. বাংলাদেশ; (ii) ক. বাঙালিরা; (iii) ঘ. মাঠের ফসল; (iv) গ. নদী; (া) খ. স্বচ্ছ; (vi) ক. দুলে ওঠে; (ারর) খ. ফসলের খেত; (viii) গ. নানা জীবজন্তু; (x) ঘ. রং-বেরঙের পাখি; (x) ক. আনন্দে।
২. নিচে কয়েকটি শব্দ এবং শব্দার্থ দেওয়া হলো। উপযুক্ত শব্দটি দিয়ে নিচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থান পূরণ কর :
শব্দ শব্দার্থ
প্রকৃতি স্বভাব, বাইরের জগৎ
রূপসী রূপবতী, সুন্দর
অরণ্যে বনে, জঙ্গলে
মুগ্ধ মোহগ্রস্ত,বিভোর, আত্মহারা
দোলা দোলনা, ঝোলা
হৃদয় মন, চিত্ত
ক. বাংলার --------- খুবই মনোমুগ্ধকর।
খ. বাংলাদেশকে প্রকৃতির ------- কন্যা বলা হয়।
গ. সুন্দরবনের গভীর -------বাঘ থাকে।
ঘ. এ দেশের নদ-নদী, মাঠ-ঘাট, পাহাড়-পর্বত দেখে আমরা -------।
ঙ. বসন্তের দক্ষিণা বাতাসে আমাদের হৃদয় ——— লাগে।
২. উত্তর : ক. প্রকৃতি; খ. রূপসী; গ. অরণ্যে; ঘ. মুগ্ধ; ঙ. দোলা।
৩. নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ দিয়ে তৈরি তা লেখ এবং প্রদত্ত যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ লেখ :
গ্ধ, ন্ত, স্ব, চ্ছ, ন্ধ
৩. উত্তর :
যুক্তবর্ণ যে যে বর্ণ দিয়ে তৈরি শব্দ
গ্ধ গ্ + ধ মুগ্ধ
ন্ত ন্ + ত অনন্ত
স্ব স্ + ব স্বাগতম
চ্ছ চ্ + ছ পরিচ্ছন্ন
ন্ধ ন্ + ধ বন্ধ
৪. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ/বুঝিয়ে লেখ : ক. বাংলাদেশের প্রকৃতি কেমন লেখ।
খ. ‘তাদের কলকাকলিতে হৃদয় আনন্দে ভরে যায়’— বাক্যটি বুঝিয়ে লেখ।
গ. বাংলাদেশের নদ-নদীর বর্ণনা দাও।
ঘ. ‘‘দক্ষিণা বাতাসে দোলে মাঠের ফসল” বলতে কী বুঝ?
৪. উত্তর : ক. প্রাকৃতিক রূপসী কন্যা আমাদের এই বাংলাদেশ। এ দেশের প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য দেখে আমাদের মন ভরে যায়। বাংলার নদী, মাঠ, বন-জঙ্গল, পাহাড়-পর্বত, সাগর, জলের রূপ দেখে আমরা মুগ্ধ হই। আনন্দিত হই দক্ষিণা বাতাসে দুলে ওঠা দিগন্তজোড়া ফসলের মাঠ দেখে। বাংলার সবুজ মাঠের বুক চিরে বয়ে গেছে অসংখ্য নদী। প্রকৃতির এই অপার সৌন্দর্যের জন্য বাংলাদেশকে সব দেশের রানী বলা হয়।
খ. উত্তর : প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার বাংলাদেশের গাছে গাছে উড়ে বেড়ায় অসংখ্য রং-বেরঙের পাখি। এসব পাখির কলকাকলিতে সারাক্ষণই মুখর থাকে বাংলার প্রকৃতি। তাদের কলকাকলিতে আমাদের হৃদয় আনন্দে ভরে যায়। ভোর না হতেই পাখিদের কলরব শুরু হয়। পাখিদের কলকাকলিই আমাদের নতুন একটি দিনের সূচনা করে। এদের ডাকেই আমাদের ঘুম ভেঙে এবং হৃদয় আনন্দে ভরে ওঠে।
৪। (গ) উত্তর : বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। এদেশের বুকের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে অসংখ্য নদ-নদী। পদ্মা, মেঘনা, যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র এ দেশের বড় নদ-নদী। ছোট ছোট নদীও রয়েছে, যেমন— তিস্তা, করতোয়া, ইছামতি, গড়াই, মহানন্দা, ধলেশ্বরী, শীতলক্ষ্যা, সুরমা, কর্ণফুলী, সাংগু, মাতামুহুরি ইত্যাদি। এগুলো এ দেশের দিগন্তজোড়া সবুজ মাঠের বুক চিরে বয়ে গেছে। নদীর স্বচ্ছ পানির নিচে চিকচিক করে বালি। নদ-নদী এ দেশবাসীর কৃষিকাজে সেচের সুবিধা দান করে, যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ করে এবং মাছ সরবরাহ করে। এভাবে নদ-নদী এ দেশ ও দেশবাসীর অস্তিত্বের সঙ্গে মিশে আছে।
৪। (ঘ) উত্তর : বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দৃশ্য সবাইকে মুগ্ধ করে। এ দেশের নদী, পাহাড়, বন-বনানী ও ফসলের মাঠ এই সৌন্দর্য সৃষ্টি করেছে। এ দেশের বেশিভাগ মানুষ কৃষিকাজ করে। এ দেশের দিগন্তজোড়া ফসলের মাঠের উপর দিয়ে মৌসুমী বাতাস বয়ে যাওয়ার সময় সেগুলো বাতাসে দোল খায়। সবুজ ফসলের মাঠে বাতাসের এই ঢেউ খেলানো অপূর্ব সৌন্দর্য বিস্তার করে।
৫। বাংলাদেশের পরিচয় ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বর্ণনা দিয়ে তোমার বিদেশি বন্ধুকে একটি চিঠি লেখ।
উত্তর : ঢাকা, বাংলাদেশ
৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ খ্রি.
এলাহী ভরসা
প্রিয় রাহুল,
পত্রারম্ভে সালামসহ আমার প্রীতি ও শুভেচ্ছা রইল। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে ভালো আছ। আমিও তার অশেষ রহমতে ভালো আছি।
চিঠিতে তুমি বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কথা জানতে চেয়েছ। তার উত্তরে আমার এই চিঠি। ধানের দেশ, গানের দেশ সে আমার বাংলাদেশ। জলবায়ু অনুসারে এ দেশকে ছয় ঋতুতে ভাগ করা যায়; যথা- গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত ও বসন্ত। বাংলাদেশ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি। কবির ভাষায় বলতে হয়, ‘‘বিশ্বকবির সোনার বাংলা, নজরুলের বাংলাদেশ, জীবনানন্দের রূপসী বাংলা, রূপের যে তার নেইকো শেষ।” সত্যিই রূপসী বাংলার রূপের অন্ত নেই। এত রূপবৈচিত্র্য বিশ্বের আর কোনো দেশে নেই। এ দেশের প্রকৃতি নিত্য প্রফুল্ল ও চির সৌন্দর্যময়ী। দেশের দিগন্ত বিস্তৃত মাঠজুড়ে সোনার ফসল ছড়িয়ে আছে। এ দেশের সোনাঝরা প্রাকৃতির দৃশ্যের জন্য আমরা সবাই গর্বিত। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান বহুজাতির বহু প্রাচীন নিদর্শন, সহমর্মিতা ও সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত আছে এই দেশে। আজ আর নয়। তোমার বাসার সবার প্রতি আমার সালামসহ আন্তরিক মোবারকবাদ রইল। তোমার চিঠির প্রত্যাশায় রইলাম।
ইতি
তোমার বন্ধু
আশিক