বৃহস্পতিবার, ২৪ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা
প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা-২০১৭

বাংলা

হাসানুল কায়সার

বাংলা

হাতি আর শিয়ালের গল্প

প্রিয় শিক্ষার্থী, আজ বাংলা বিষয়ের ‘হাতি আর শিয়ালের গল্প’ প্রবন্ধ নিয়ে আলোচনা করব।

প্রশ্ন : মানুষ যখন সভ্য হচ্ছে, তখন মিলেমিশে থাকার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিল কেন?

উত্তর : মিলেমিশে থাকা মানে সুখে-শান্তিতে বসবাস করা। আদিকালে মানুষ যখন বিচ্ছিন্নভাবে থাকত, তখন নানা ধরনের বিপদের মুখোমুখি হতে হতো। তারপর মানুষ যখন একটু একটু করে সভ্য হচ্ছে, তখন তারা ভাবল বিচ্ছিন্নভাবে নয়, দলগত, সমাজবদ্ধ ও গোষ্ঠীগতভাবে একতাবদ্ধ হয়ে থাকলে অনেক বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এই ভাবনা থেকেই মানুষের মধ্যে মিলেমিশে থাকার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিল।

প্রশ্ন : সবাই মিলে শিয়ালকে দায়িত্ব দিল কেন?

উত্তর : বন্য প্রাণীদের মধ্যে সবচেয়ে বুদ্ধিমান হলো শিয়াল। কৌশল ও চালাকির জন্য শিয়াল বনের সব পশুর কাছে সমাদৃত। তাই সবাই মিলে শিয়ালকে দায়িত্ব দিল হাতিকে শাস্তি দেওয়ার জন্য।

প্রশ্ন : অহংকারী ও অত্যাচারীর পরিণাম শেষ পর্যন্ত কী হয়?

উত্তর : বলা হয়ে থাকে ‘অহংকার পতনের মূল’। অত্যাচারীর পরিণামও হয়ে থাকে ভয়াবহ। অহংকারী ও অত্যাচারীকে কেউ পছন্দ করে না। তার বিপদে কেউ সাহায্য করতে এগিয়ে আসে না। ‘হাতি আর শিয়ালের গল্প’ থেকে এ কথাগুলো আরও স্পষ্টভাবে বোঝা যায়। গল্পের হাতিটা ছিল বিশাল দেহের অধিকারী। শক্তিও ছিল প্রচণ্ড। এই শরীর আর শক্তি নিয়ে তার যত অহংকার। বনের পশুদের ওপর তার অত্যাচারও ছিল নজিরবিহীন। নিরীহ প্রাণীদের শুঁড়ে জড়িয়ে দূরে ছুড়ে ফেলা কিংবা পায়ের তলায় পিষে ফেলা তার নিত্যনৈমিত্তিক কাজ ছিল। অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে বনের সব প্রাণী। একসময় বনের পশুরা এই অত্যাচারের প্রতিকার করার জন্য পরামর্শ করে। সিদ্ধান্ত অনুসারে শিয়াল কৌশলে হাতিকে নদীতে ডুবিয়ে শাস্তি দেয়। কাজেই বলা যায়, অহংকারী ও অত্যাচারী সাময়িক সুবিধা ভোগ করলেও শেষ পর্যন্ত তার পরিণাম হয় ভয়াবহ।

প্রশ্ন : অনেক দিন আগে মানুষ কী শিখছিল?

উত্তর : অনেক দিন আগে পরিবেশ এতটা উন্নত ছিল না। সুন্দর সবুজ বন, ঝোপঝাড় আর দিগন্তে ঝুঁকে পড়া নীল আকাশের ছোঁয়ায় পরিবেশ ছিল ভিন্নরকম আমেজে ভরা। সেই সময়ের দিনগুলোতে বনে বনে ছিল পশুদের রাজত্ব। হাজার রকমের প্রাণী আর অসংখ্য পাখপাখালি ভরা ছিল বন-জঙ্গল। লোকালয়ে বসবাসকারী মানুষ তখন একটু একটু করে সভ্য হচ্ছিল আর শিখছিল কী করে সবার সঙ্গে মিলেমিশে থাকা যায়, সেসব কায়দা-কানুন।

প্রশ্ন : হাতিটা দেখতে কেমন ছিল?

উত্তর : ‘হিতোপদেশ’ অবলম্বনে রচিত ‘হাতি আর শিয়ালের গল্প’-এর হাতিটা ছিল মস্ত বড়। বিশাল শরীরের ওই হাতিটার পাগুলো ছিল বট-পাকুড়গাছের মতো মোটা। শুঁড় এতটাই লম্বা ছিল যে আকাশের গায়ে গিয়ে ঠেকার মতো। গায়েও ছিল অসীম জোর। শরীর আর শক্তির অহংকারী ওই হাতিটার মেজাজও ছিল দারুণ তিরিক্ষি।

(চলবে)

সর্বশেষ খবর