মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা
শারীরিক শিক্ষা স্বাস্থ্য ও বিজ্ঞান

নবম-দশম শ্রেণির পড়াশোনা

সুধীর বরণ মাঝি

নবম-দশম শ্রেণির পড়াশোনা

প্রথম অধ্যায়

সৃজনশীল  প্রশ্ন

১। রায়হানের দাদু রায়হানের স্কুলে গিয়ে খেলার মাঠ, শরীর চর্চার শিক্ষক এবং এদের ব্যায়াম ও খেলাধুলা দেখে উত্ফুল্ল হলেন। স্কুল থেকে আসার পর রায়হান তার দাদুকে শারীরিক শিক্ষার আরও কয়েকটি বিষয় যেমন—ক্রীড়া সরঞ্জাম, ইনডোর গেমস, আউটডোর গেমস. আন্তঃস্কুল ক্রীড়া প্রতিযোগিতা বিষয়ে বর্ণনা করল। রায়াহনের দাদু পরবর্তী কয়েকটি দিন স্কুলে গিয়ে পর্যবেক্ষণ করলেন যে, রায়হনের স্কুলের প্রায় সব শিক্ষার্থীই সুস্থ।

ক) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রথম কাজ কোনটি?

খ) শিক্ষা জীবনব্যাপী বিস্তৃত—ব্যাখ্যা কর।

গ) রায়হানদের স্কুলে শরীর ও মন গঠনে কোন কর্মসূচি চালু আছে? উদ্দীপকের আলোকে ব্যাখ্যা কর।

ঘ) উপরে বর্ণিত কর্মসূচির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সুস্থ দেহে সুস্থ মন গঠন সম্ভব ব্যাখ্যা কর।

 

ক) উত্তর : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রথম কাজ হলো—শিশু শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত বিকাশ সাধন। এর মধ্যে শিক্ষার্থীর শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক দিক অন্তর্ভুক্ত।

খ) উত্তর : শিক্ষা ব্যক্তি জীবনের কোনো একটি নির্দিষ্ট সময়েই ঘটে না, শিক্ষা জীবনব্যাপী বিস্তৃত। শিক্ষার নির্দিষ্ট কোনো বয়স নেই, বয়সের ফ্রেমে শিক্ষাকে বাঁধা যায় না। দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত শিক্ষাকাল। শিক্ষাহীন জীবন বোঝাস্বরূপ। জীবনের সমাপ্তি আছে কিন্তু শিক্ষার সমাপ্তি নেই। কবি তাই যথার্থই বলেছেন, বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র। শিক্ষার কোনো সীমা-পরিসীমা নেই। জানার কোনো শেষ নেই, জানার চেষ্টা অধিক তাই। শিক্ষা মানুষের জীবনকে গতিশীল করে, করে অর্থবহ। তাই জীবনব্যাপী শিক্ষা অর্জন করতে হয়।

গ) উত্তর : শারীরিক শিক্ষার কর্মসূচি প্রধানত তিনটি। যথা, ১। অত্যাবশ্যকীয় ক্রীড়া কর্মসূচি।

২। অন্তঃক্রীড়া সূচি ৩। আন্তঃক্রীড়া সূচি। রায়হানদের স্কুলে শরীর ও মন গঠনে অত্যাবশ্যকীয় ক্রীড়া কর্মসূচি চালু আছে। উদ্দীপকের আলোকে বলা যায় অত্যাবশ্যকীয় ক্রীড়া কর্মসূচির মাধ্যমে বিদ্যালয়ে নিয়মিত শারীরিক শিক্ষা বিষয়ক ক্লাস, প্রতিযোগিতা ও প্রাত্যহিক সমাবেশ পরিচালিত হয়। যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ সাধন হয়। শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেশ, সমাজ ও পারস্পরিক সহযোগিতার মনোভাব বৃদ্ধি পায়। এই কর্মসূচির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত শারীরিক কসরত ও কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের ফলে শরীর ও মন গঠনে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। শারীরিক শিক্ষার অত্যাবশ্যকীয় ক্রীড়া কর্মসূচি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রত্যক্ষ কাজ। শিক্ষার্থীর শারীরিক ও শরীরবৃত্তীয় প্রয়োজন পূরণে শারীরিক শিক্ষার অত্যাবশ্যকীয় ক্রীড়া কর্মসূচি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পরিশেষে উদ্দীপকের আলোকে আমরা বলতে পারি, রায়হানদের স্কুলে শরীর ও মন গঠনে অত্যাবশ্যকীয় ক্রীড়া কর্মসূচি চালু আছে।

ঘ) উত্তর : উপরে বর্ণিত কর্মসূচির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সুস্থ দেহে সুস্থ মন গঠন সম্ভব ব্যাখ্যা করা হলো। শারীরিক শিক্ষা সুস্থ মনের জন্য সুন্দর দেহ গঠন করে। শারীরিক সুস্থতার প্রধান বাহনই হলো ব্যায়াম। ব্যায়াম ছাড়া একজন মানুষের শারীরিক সুস্থতা আশা করা যায় না।

সুখী সুন্দর জীবনযাপনের জন্য সুস্থতার বিকল্প নেই। স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে মনও ভালো থাকে না। “সুস্থ দেহে সুন্দর মন”। সুস্থতাই সুন্দর, সুন্দরই জীবন, তাই দেহ-মনে সুস্থ সুন্দর স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য সুস্থ দেহে সুন্দর মন অত্যাবশ্যক। মন ছাড়া দেহ এককভাবে চলতে পারে না। ব্যায়াম ও খেলাধুলা শুধু দেহের বৃদ্ধি ঘটায় না, মনেরও উন্নতি সাধন করে। শরীর ও মন একে অপরের পরিপূরক। একটির ব্যতিরেকে আরেকটির উন্নতি কল্পনা করা যায় না। দেহ ভালো না থাকলে মন খিটখিটে থাকে। সবকিছুতেই যেন অনীহা। সুস্থ দেহে সুন্দর মন। শরীর হচ্ছে মনের আধার। তাই শারীরিক সুস্থতার ওপর নির্ভর করে মানসিক সুস্থতা। উপরে বর্ণিত কর্মসূচি শারীরিক সুস্থতা, মানসিক বিকাশে ভূমিকা পালন করে। মানসিক সুস্থতার জন্য শারীরিক সুস্থতার প্রয়োজন। আর শারীরিক সুস্থতার প্রধান বাহন হলো ব্যায়াম ও খেলাধুলা। ব্যায়াম ছাড়া একজন মানুয়ের শারীরিক সুস্থতা আশা করা যায় না। ব্যায়াম ও খেলাধুলা শুধু দেহের বৃদ্ধি ঘটায় না, মনেরও উন্নতি সাধন করে। কারণ মন ছাড়া দেহ এককভাবে চলতে পারে না। পরিশেষে আমরা বলতে পারি, ‘ক্রীড়াই শক্তি, ক্রীড়াই বল, ক্রীড়াতে বিশ্ব জয়, সুস্থ দেহে সুন্দর মন।’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর