বাক্যতত্ত্ব
প্রশ্ন : বাক্য কাকে বলে? একটি সার্থক বাক্যের কয়টি গুণ বা বৈশিষ্ট্য থাকে উদাহরণসহ আলোচনা কর।
উত্তর : যে সুবিন্যস্ত পদসমষ্টি দ্বারা কোনো বিষয়ে বক্তার মনোভাব সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ পায়, তাকে বাক্য বলে। যেমন-গরু মাঠে ঘাস খায়।
সার্থক বাক্যের বৈশিষ্ট্য : বাক্যকে সার্থক হিসাবে পরিগণিত হতে হলে তার কতগুলো গুণ বা বৈশিষ্ট্য থাকতে হয়। এগুলো হলো—
১. আকাঙ্ক্ষা
২. আসত্তি
৩. যোগ্যতা
১. আকাঙ্ক্ষা : বাক্যের অর্থ ভালোভাবে বোঝার জন্য একটি পদ শোনার পরে অন্য একটি পদ শোনার যে আগ্রহ বা ইচ্ছা, তাকে আকাঙ্ক্ষা বলে।
যেমন—‘ঢাকা বাংলাদেশের’ বললে একটি জানার আগ্রহ থেকে যায়। আর যদি বলা হয়, ‘ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী’ তাহলে তা সম্পূর্ণরূপে মনের ভাব প্রকাশ করে। এটিই বাক্যের আকাঙ্ক্ষা গুণ।
২. আসত্তি : বাক্যের সুশৃঙ্খল পদবিন্যাসের (যে পদের পর যে পদ বসবে) নামই আসত্তি।
যেমন—খেয়ে কলেজে ভাত যাব আমি। বাক্যটিতে সঠিক পদবিন্যাসের অভাব থাকায় তা সার্থক বাক্য হয়নি।
অথচ, আমি ভাত খেয়ে কলেজে যাব, বললে তা একটি সার্থক বাক্যের পরিচয় বহন করে। এটিই আসত্তি গুণ।
৩. যোগ্যতা : বাক্যের ভাবগত ও অর্থগত মিলবন্ধনের নাম যোগ্যতা।
যেমন—‘গরু আকাশে ওড়ে’ বললে বাক্যটি অর্থ বহন করে না। কারণ গরুর আকাশে ওড়ার যোগ্যতা নেই। কিন্তু, পাখি আকাশে ওড়ে, বললে পাখির সেই গুণ থাকার কারণে তা একটি সার্থক বাক্য হয়ে ওঠে। এটিই বাক্যের যোগ্যতা।