রবিবার, ২৪ জুন, ২০১৮ ০০:০০ টা

সপ্তম শ্রেণির বাংলা প্রথম পত্র

আরহাম উল হক

সৃজনশীল প্রশ্ন

খ অংশ : কবিতা

১.         ক. ‘সাম্য’ কবিতায় কঠোর কর্মের মাধ্যমে জীবন মহীয়ান হয়।

            খ. ‘সংগ্রামে সাহসে প্রজ্ঞা’ দ্বারা বোঝানো হয়েছে—এই তিনটির সম্মিলনে পৃথিবী আলোকিত হয়।

            সুফিয়া কামালের ‘সাম্য’ কবিতায় মানুষে-মানুষে সম্প্রীতি ও মেলবন্ধনের কথা বলা হয়েছে। এই সম্প্রীতি ও মেলবন্ধন গড়ে ওঠে কর্মের মাধ্যমে। অসীম সাহস, গভীর জ্ঞান, সম্মিলিত সাধনা ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে মানুষ এই পৃথিবীকে আলোকিত করে নিজের বিজয় ঘোষণা করেছে।

            গ. অমিত সাহেবের চরিত্রে ‘সাম্য’ কবিতার বৈসাদৃশ্যের দিকটি হলো—তিনি পারস্পরিক সহযোগিতায় বিশ্বাসী নন।

            ‘সাম্য’ কবিতায় বলা হয়েছে যেকোনো বড় কাজ কেউ একক প্রচেষ্টায় করতে পারে না। সে জন্য দরকার হয় অনেক মানুষের মিলিত অংশগ্রহণ। পৃথিবীর সব দেশে সব কালে সবাই সমুন্নত হয়েছে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার ফলে। অর্থাৎ ঐক্যবদ্ধ শক্তিতেই পৃথিবীর বহু দেশ উন্নত হয়েছে। এই বিপুল, বিশাল পৃথিবীর প্রসারিত পথে যাত্রীরা কর্মের উদ্দীপনায় এগিয়ে চলেছে সেই অনন্তকাল থেকে। এই মানবজীবন কঠিন কর্মের মধ্য দিয়েই মহীয়ান হয়ে উঠেছে।

            উদ্দীপকের অমিত সাহেবের মানসিকতায় ঐক্যবদ্ধ নয়, এককভাবে কাজ করার দিকটি প্রকাশ পেয়েছে। অমিত সাহেব কারো সহযোগিতা ছাড়া একটা পাঠাগার স্থাপন করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হলেও এককভাবে সেই বিশাল কর্ম সম্পাদনে তিনি অক্ষম। অমিত সাহেবের চরিত্রের এই দিকটি ‘সাম্য’ কবিতার সঙ্গে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ।

            ঘ. ধর্ম-বর্ণ-গোত্র-শ্রেণি নির্বিশেষে সব মানুষের প্রতি সম্প্রীতি ও সহমর্মিতার বোধ সৃষ্টি করাই হচ্ছে ‘সাম্য’ কবিতার উদ্দেশ্য, যা উদ্দীপকেরও মূলভাব।

            ‘সাম্য’ কবিতায় সম্মিলিত শক্তির কথা বলা হয়েছে, যে শক্তি বলে মানুষ অসাধ্য সাধন করে চলেছে। কোনো কাজ কেউ একা করতে পারে না। সে জন্য দরকার হয় অনেক মানুষের মিলিত অংশগ্রহণ। সবাইকে নিয়ে কাজ করার মাধ্যমে পৃথিবীর বহু দেশ উন্নত হয়েছে। পৃথিবীর অনেক মহৎকাজের পেছনেই ছিল মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টা। অসীম সাহস, সম্মিলিত সাধনা ও সংগ্রামের মধ্য দিয়েই মানুষ এই পৃথিবীতে তার বিজয় ঘোষণা করেছে। এ জন্য ধর্ম, বর্ণ, গোত্র—শ্রেণিভেদে সব মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।

            উদ্দীপকের অমিত সাহেবের প্রবল ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও পাঠাগার স্থাপনের মতো বিশাল কাজটি তিনি এককভাবে করতে পারছিলেন না। পরে গ্রামের সব শ্রেণির মানুষের সার্বিক সহযোগিতায় যখন পাঠাগারটি স্থাপিত হয়, তখন সবাই পাঠাগার থেকে বই সংগ্রহ করে জ্ঞান আহরণের সুযোগ পায়।

            উদ্দীপকের এবং ‘সাম্য’ কবিতার উপর্যুক্ত বক্তব্যে এটাই প্রতীয়মান হয় যে কোনো মহৎ কর্মের পেছনে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সম্মিলিত শক্তির দরকার। তাই বলা হয়েছে উদ্দীপকের মূলভাব যেন ‘সাম্য’ কবিতারই প্রতিরূপ।       (চলবে)

সর্বশেষ খবর