বৃহস্পতিবার, ১৬ জুলাই, ২০১৫ ০০:০০ টা

এখন আমার মোট ছয়টা শাড়ি আছে!

কেটি ক্রোক

এখন আমার মোট ছয়টা শাড়ি আছে!

মধ্যপ্রাচ্যের মাধ্যমে প্রথম আমেরিকার বাইরে কাজ করতে শুরু করি আমি। মিসর, লেবাননের বৈরুতে নিযুক্ত ছিলাম আমি বেশ অনেকদিন। সেখানেই প্রথম ঈদকে কাছ থেকে দেখি। অনেক বেশি ধর্মীয় গুরুগম্ভীর পরিবেশে ঈদ উদযাপন করা হতো সেখানে। সবাই নামাজ পড়তে যেত দল বেঁধে। মাঝে মাঝে বাচ্চাদের কথা শোনা যেত। এর বেশি কিছু না। কিন্তু সেখান থেকে বাংলাদেশে আসার পর আমি প্রথম বুঝতে পারলাম যে ঈদ ব্যাপারটা খুব বেশি গাম্ভীর্যপূর্ণ নয়। এটা অনেক আনন্দের। বাংলাদেশের মানুষ এমনিতেও অনেক বেশি রঙিন, আতিথেয়তাপূর্ণ, দয়ালু আর ভালো। ঈদে যেন সেই রং আর উচ্ছলতার মাত্রা অনেকগুণ বেড়ে যায়। নাচ, গান, রং, আনন্দ- এসবের ভিতরেই ঈদকে উপভোগ করি আমি এখন। আমার মোট ছয়টা শাড়ি আছে এখন। সেগুলো পরে বিভিন্ন উৎসবে আর অনুষ্ঠানে যাই আমি। বাংলাদেশের সংস্কৃতি অনেক টানে আমাকে। এখানকার মানুষগুলোর মুখের হাসিও অনেক অকৃত্রিম মনে হয়। পয়লা বৈশাখ, বইমেলাসহ বাংলাদেশের কোনো উৎসবকেই হাতছাড়া করি না। ঈদকে তো নয়ই! যদিও এই সময়েই একটা বড় ছুটি পাই আমি আর সেই সুযোগে আমেরিকায় নিজের পরিবারের কাছে চলে যাই। তবে তারপরও একবার ঈদে এখানটায় কাটিয়েছি আমি। বাংলাদেশের ঈদ অনেক বেশি ভালোলাগার আমার কাছে। ঈদের দিন সকালে শাড়ি পরে বন্ধুদের বাসায় দাওয়াত খেতে যাই। বাংলাদেশের খাবার খুব পছন্দ করি আমি। বিশেষ করে ঈদের দিনে সেমাই এর তো তুলনাই হয় না। বাংলাদেশে সবচাইতে ভালো লাগে আমার এখানকার চারপাশে নানা রং এর ছড়াছড়িকে। ঈদে সেটা আরও বেড়ে যায়। আমেরিকায় কখনোই ঈদকে অতটা অনুভব করিনি আমি। ওখানে এতটা জাঁকজমকপূর্ণ কিছু খেয়াল করিনি ঈদে। বাংলাদেশে ঈদের সময় থাকতে তাই অনেক বেশি ভালো লাগে আমার।

দেশ : আমেরিকা, পেশা : ডেপুটি চিফ অফ পার্টি অ্যান্ড ডিরেক্টর অব গ্র্যাসরুটস প্রোগ্রামস, ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল

 

সর্বশেষ খবর