২২ জুলাই, ২০১৮ ১৪:১২

আরিফ বললেন, ‘পিটাও আমাকে, পিটাও!’

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

আরিফ বললেন, ‘পিটাও আমাকে, পিটাও!’

সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শনিবার হঠাৎ করেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সিলেট। বিএনপির দুই কর্মীকে গ্রেফতারের ঘটনা উত্তাপ ছড়ায় মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীর শিবিরে। ক্ষুব্ধ আরিফ দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের নিয়ে সড়কেই বসে পড়েন। তাদের প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি সিলেটে ‘টক অব দ্য টাউনে’ পরিণত হয়। অবস্থান কর্মসূচির একপর্যায়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রতি আরিফ বলেন, ‘তোমরা কি আমাদেরকে পিটাইবা? পিটাও আমাদেরকে। পিটাও আমাকে, পিটাও!’

ঘটনার সূত্রপাত গত শুক্রবার দিবাগত রাতে। সিলেট নগরীর ঝালোপাড়া এলাকার ১০৮নং বাসা থেকে রাসেল আহমদ ও সুমন আহমদ নামে বিএনপির দুই কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদেরকে নগরীর উপশহরস্থ ডিবি পুলিশের কার্যালয়ে রাখা হয়। বিষয়টি জানতে পেরে শনিবার বেলা দুইটার দিকে উপশহরস্থ মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) এর কার্যালয়ে ছুটে যান বিএনপির মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী। তিনি তার দুই কর্মীকে ছেড়ে দিতে পুলিশের কাছে দাবি জানান। কিন্তু সাড়া না পেয়ে উপ-পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ের সামনেই অবস্থান নেন আরিফ। এসময় বিএনপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের বেশ কয়েকজন নেতাও ছিলেন। 

সবাই উপ-পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ের সামনের সড়কে বসে পড়েন। প্রায় দুই ঘন্টা সেখানে অবস্থান করেন তারা। বিকেল ৪টার দিকে মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার আজবাহার আলী শেখ ঘটনাস্থলে আসেন। সেখানে শাহপরান থানার ওসি আখতার হোসেনও উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশ কর্মকর্তা আজবাহার আলী বিএনপি নেতাদের জানান, ওই দুজনকে ওসমানীনগর থানার একটি নিয়মিত মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।

এসময় আরিফুল হক চৌধুরী পুলিশ কর্মকর্তাদের বলেন, ‘গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রয়েছে, এটা কেন আগে বলা হয়নি।’ তাদেরকে আটক নিয়ে ‘পুলিশ লুকোচুরি করেছে’ বলেও দাবি করেন তিনি। এরপর বিএনপি নেতাকর্মীদের উপ-পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ের সামনে থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ করেন শাহপরান থানার ওসি আখতার হোসেন। 

ওই সময় আরিফ বলেন, ‘সিলেটে আমরা সব সময় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু আমাদেরকে অ্যাটিচুড দেখিয়ে লাভ নেই।’
ওসি আখতার বলেন, ‘আমরা কোনো অ্যাটিচুড দেখাচ্ছি না, বিনয়ের সাথে বলছি।’ একপর্যায়ে ওসি আখতারকে উদ্দেশ্য করে আরিফ বলেন, ‘তুমি যদি মনে করো আমাদেরকে পিটাইবা, পিটাও! পিটাও আমাদেরকে।’

ওই সময় শুরু হয় হট্টগোল। পুলিশ কর্মকর্তারা শান্ত করার চেষ্টা করেন আরিফকে। তখন আরিফ আবার বলেন, ‘পিটাও আমাকে, পিটাও!’

সেখানে উপস্থিত থাকা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরাও তখন উত্তেজিত হয়ে নানা স্লোগান দিতে থাকেন। তবে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা ও বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ পরিস্থিতি সামাল দেন। ফলে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

বিডি প্রতিদিন/ ২২ জুলাই ২০১৮/ ওয়াসিফ 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর