শুক্রবার, ১ জানুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

জমজমাট ‘বৈশাখী ধামাকা’

রিয়াজ হায়দার, চট্টগ্রাম

জমজমাট ‘বৈশাখী ধামাকা’

‘বৈশাখী ধামাকা’ কনসার্টে মাইলস

সমুদ্রের বিশালত্বের কাছে যেন বিগত বছরের সব বেদনা বিসর্জন আর নতুন বছরের স্বপ্ন ও সাফল্যের প্রত্যয় জানাল চট্টগ্রাম। গতকাল এক অনন্যসুন্দর বর্ষ সমাপনী সংগীতায়োজনে বিদায় নিল ২০১৫। আয়োজনটিতে হাজার হাজার শ্রোতা-দর্শনার্থী মাতালেন মাইলস ও জলের গানের শিল্পীরা। শ্রোতাদের সুরের মায়াজালে আকণ্ঠ ডুবিয়ে রাখেন শিল্পী হায়দার হোসেন, ফকির শাহাবুদ্দিন, সন্দ্বীপন, নবপ্রজন্মের চৈতী মুত্সুদ্দি ও বৃষ্টি। আর এসব শিল্পীর কণ্ঠেই অনুষ্ঠিত হলো জমজমাট ‘বৈশাখী ধামাকা’।

সমুদ্র লাগোয়া বন্দরশহর চট্টগ্রামের বুক চিরে বয়ে যাওয়া কর্ণফুলী তীরের বোট ক্লাবে এমন মনোজ্ঞ আয়োজনটি করে বৈশাখী টিভি। আর এই ‘বৈশাখী ধামাকা’র প্রিন্ট মিডিয়া পার্টনার ছিল বাংলাদেশ প্রতিদিন।

বছর শেষের নেতিয়ে পড়া সূর্য পশ্চিমাকাশে ডুবে যাওয়ার রেশ না কাটতেই হাজারো সংগীত পিপাসু ভিড় করেন সুরের মায়াটানে। সন্ধ্যা যখন পৌনে ৬টা ছুঁই ছুঁই তখন প্রয়াত সঞ্জীব চৌধুরীর গান ‘আমি তোমাকেই বলে দেবো’র মধ্য দিয়ে চৈতীর কণ্ঠে শুরু এই সংগীতায়োজন। এরপরই সন্দ্বীপন মঞ্চে ওঠেন। এই শিল্পী তার নিজস্ব স্টাইলে ফোক গান গেয়ে মুগ্ধতা আরও বাড়িয়ে দেন। সঙ্গে শ্রোতারা উল্লাসে ফেটে পড়েন যখন ফকির শাহাবুদ্দীন এসে গান ধরেন। তার ফোক গানে দর্শক উদ্বেলিত হয়ে যান। এরপর হায়দার হোসেন মঞ্চে এসে নতুন ধুন তৈরি করেন। তার বাস্তবধর্মী গানে শ্রোতারা ভেসে যান অন্য মোহনায়।

চৈতী, সন্দীপন, ফকির শাহাবুদ্দীন এবং হায়দার হোসেন— তবুও যেন শ্রোতারা তৃপ্ত হচ্ছিলেন না। কারণ তখনো একটি বড় নাম মঞ্চে ওঠা বাকি। সেটা মাইলস। সঙ্গে জলের গান। এই দুই ব্যান্ডের গান দিয়েই শেষ হয় কনসার্ট। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন নাবিলা।

মনোমুগ্ধ এই সমাগমে আয়োজক প্রতিষ্ঠানের তরফে শুভেচ্ছা জানান বৈশাখী টিভির ডিএমডি ও প্রধান সম্পাদক টিপু আলম এবং হেড অব নিউজ অশোক চৌধুরী। টিপু আলম বলেন, ‘নতুন বছরে নতুনভাবে সাজানো হবে বৈশাখী টিভির সংবাদ-অনুষ্ঠান। তারই সূচনা হলো এ আয়োজনে। দর্শকের সাড়া পেয়ে আমরা অভিভূত।’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর