মঙ্গলবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা
ইন্টারভিউ : নুসরাত ফারিয়া

৭৬ বার ‘দেবদাস’ দেখেছি

‘হিরো ৪২০’ নিয়ে এবার বড় পর্দায় আসছেন নুসরাত ফারিয়া। এটি তার অভিনীত দ্বিতীয় ছবি। যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত এই ছবি ও অন্যান্য বিষয়ে আজ তার ইন্টারভিউ—

আলাউদ্দিন মাজিদ

৭৬ বার ‘দেবদাস’ দেখেছি

‘আশিকী’র পর ‘হিরো ৪২০’ নিয়ে বড় পর্দায় আসা, অনুভূতি কেমন?

একটা রঙিন সকালের পর আরেকটা রোদেলা দুপুরে পা রাখছি। মনে হচ্ছে কিছুটা প্রমোশন হয়েছে আমার। তাই অনুভূতিগুলো নানা রঙের পাখা মেলেছে আমার মনের গভীরে। খুবই ভালো লাগছে।

এ ছবিতে কাজের শুরুতে কিন্তু আপনার চরিত্রের গুরুত্ব নিয়ে অভিযোগের তীর ছুড়ে ছিলেন—

তখন আসলে সবকিছু বুঝে উঠতে পারিনি। পরে যখন দেখলাম গল্প এবং আমার চরিত্রের গুরুত্ব অনেক তখন কিন্তু স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করেছি। বলতে পারি গল্পটা পুরোপুরি আমার ও ওমের চরিত্রের ওপর বেইস করেই লিখা হয়েছে। ছবির ইন্ট্রু থেকে শেষ পর্যন্ত তরতর করে হেঁটে গেছি। আমার চরিত্রটি গুরুত্বের পথে হেঁটেছে বলে আমি খুবই তৃপ্ত।

রিয়া সেন আর আপনার চরিত্রের পরিধিতে তাহলে ভারসাম্য ছিল?

হ্যাঁ, পুরোপুরি। গল্পের চাহিদা অনুযায়ী চরিত্র দুটি নিজ পথে চলেছে। বলা যায় মূল নায়িকা আমি বলে আমাকে নিয়ে গল্পের ডালপালা গজিয়েছে। তাই আমি হান্ড্রেড পার্সেন্ট  সেটিসফাইড। আমার চেয়ে ১৭ বছরের সিনিয়র অভিনেত্রী রিয়া সেনের চেয়ে গল্পে আমাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এ আমার পরম ভাগ্যের ব্যাপার। আমিতো খুশিতে আত্মহারা।

গল্পের চুম্বক অংশ তাহলে শুনি—

এখন বলাটা কি ঠিক হবে। সব কিছু বলে ফেললে দর্শক তো আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। এতটুকু শুধু বলতে পারি গল্পের নায়ক কৃষ [ওম] লেখাপড়া করেনি। তার ইচ্ছে বড় লোকের মেয়ে বিয়ে করে জীবনটা সুখে কাটাবে। এমন একটি মেয়ে সে পেয়েও যায়। তারপর শুরু হয় মনকষার হিসাব-নিকাশ। জটিলতা আর দৌড়ের ওপর গল্প ছুটতে থাকে। বেশ মজার গল্প কিন্তু...।

এমন গল্পে দর্শকের আগ্রহ কতটা বাড়তে পারে?

আগ্রহটা দর্শকের মনে টইটুম্বর করবে বলা যায়। কারণ গান, গল্প, নির্মাণ, লোকেশন আর অভিনয়। এক কথায় সবকিছু ভালোভাবে নিংড়ে মজাটা আলতোভাবে ছবিতে ছড়িয়ে দিয়েছেন নির্মাতা। আহা, সে কি মুনশিয়ানা দেখিয়েছেন তারা। এটি শুধু ছবিটি দেখার পরেই বোঝা যাবে।

দ্বিতীয়বারও যৌথ প্রযোজনার ছবিতে আসছেন, ঢাকা বা কলকাতার একক ছবিতে প্রস্তাব পেলে কোথায় নিয়মিত হবেন?

তিন ভাবেই সমান ব্যস্ততায় ডুব দিতে চাই। শুরুটা যৌথ, মানে দুই বাংলার কাজ। তাই টানটা স্বাভাবিকভাবেই দুদিকেই থাকবে। আর আজিজ ভাই যেহেতু বড় পর্দায় আমাকে নিয়ে এসেছেন তাই তার পরামর্শও আমার চলার পথে পাথেয় হয়ে থাকবে।

দুই ছবিতেই রোমান্টিক চরিত্রে কাজ করলেন, পছন্দের চরিত্র কোনটি?

সব ধরনের চরিত্রে  উঁকি দিতে চাই। তবে দেবদাসের পার্বতী চরিত্রটি আমার প্রাণের মাঝে ঝড় তোলে। তাই ৭৬ বার দেবদাস ছবিটি দেখেছি। কখনো যদি ভাগ্যে জোটে তাহলে পবর্তী চরিত্রে কাজ করে অভিনয় জীবনকে সার্থক করতে চাই।

অভিনয়ে না এলে অথবা কখনো অভিনয় থেকে বিদায় নিলে কোন পেশা গ্রহণ করবেন?

পুরোদমে ব্যবসায়ী হতাম বা হব। বিজনেস ম্যাগনেট শব্দটা আমাকে খুব কাছে টানে। তাই সুযোগ পেলে ফুলটাইম বিজনেস নিয়ে থাকব।

তাহলে সিনেমার ব্যবসায় আসার সম্ভাবনা আছে নিশ্চয়ই?

না, সিনেমার ব্যবসা আমি বুঝি না। যে ব্যবসা বুঝি না সে ব্যবসায় তো লসের ঝুঁকি থাকবে। যদি এ জগতে কাজ করতে গিয়ে বোঝাপড়াটা ভালো হয়ে যায় তাহলে না হয় সিনেমার ব্যবসায় আসব। শুধু সিনেমা নয়, সব ব্যবসায় থিতু হব।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর