বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা
ইন্টারভিউ - মাহিয়া মাহি

ছেলেটির লেখার প্রেমে পড়ে যাই

প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদের ‘কৃষ্ণপক্ষ’ ছবিতে ‘অরু’ চরিত্রে অভিনয় করলেন মাহিয়া মাহি। ২৬ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাচ্ছে এটি। এই চলচ্চিত্র ও অন্যান্য বিষয়ে আজ তার ইন্টারভিউ

ছেলেটির লেখার প্রেমে পড়ে যাই

হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসের চলচ্চিত্রে কাজ করার অনুভূতি কেমন?

  স্যারের রচনা আমার খুব প্রিয়। তার এমন কোনো উপন্যাস বা গল্প নেই যা আমার পড়া হয়নি। কৃষ্ণপক্ষও পড়েছি। ইচ্ছে থাকলেও কখনো ভাবিনি যে স্যারের রচনায় কাজ করব। শাওন ভাবী যখন বললেন তখন আগে নিজের হাতে চিমটি কেটে দেখলাম সত্যি নাকি স্বপ্ন দেখছি। এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশের নয়।

অরু চরিত্রটি নিজের মধ্যে কতটা ধারণ করতে পেরেছেন বলে মনে হয়?

স্যারের রচনা যতটা সাবলীল তার চরিত্রগুলোর ভিতরে প্রবেশ করা ততই কঠিন। যথার্থভাবে নিজের মধ্যে তা ধারণ করতে না পারলে সেই চরিত্রকে ফুটিয়ে তোলা অসম্ভব। নিজের মধ্যে প্রচণ্ড ভীতি কাজ করছিল। কিন্তু শাওন ভাবী ও রিয়াজ ভাইয়া এবং ইউনিটের সবার আন্তরিক সহযোগিতায় কিছু একটা করতে পারা আমার জন্য সহজ হয়ে গিয়েছিল।

রিয়াজের সঙ্গে প্রথম অভিনয়, অনুভূতি কেমন ছিল?

এ আরেক অবিশ্বাস্য গল্প মনে হয়েছে। আমি সব সময়ই নায়ক রিয়াজের ভক্ত ছিলাম। তাকে কখনো চোখে দেখিনি। আমরা কখনো একসঙ্গে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াব তা ছিল আমার জন্য অকল্পনীয়। যখন জানলাম এই ছবিতে আমার জুটি রিয়াজ ভাইয়া তখন আরেকবার হাতে চিমটি কেটে সত্যি নাকি স্বপ্ন পরখ করে দেখলাম। অসাধারণ মানুষ এবং অভিনেতা রিয়াজ ভাই। তার তুলনা তিনি নিজেই। একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে অন্তত তাই বুঝেছি।

এ ছবিতে কাজ করার সময় মজার কোনো অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন?

হুমায়ূন স্যারের রচনায় কাজ করতে পারাটাই আনন্দ ও মজার। শুটিং করতে গিয়ে ইউনিটের সবাই খুব মজা করে কাজ করেছি। তবে দুঃখের অভিজ্ঞতা সব মজাকে একসময় ম্লান করে দেয়। রিয়াজ ভাই শুটিং করতে গিয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। সবার মুখের হাসি থেমে যায়। এমন দুর্ঘটনা কেউ মেনে নিতে পারছিল না। মনে হচ্ছিল এ ছবি নির্মাণ বুঝি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। শেষ পর্যন্ত সৃষ্টিকর্তার কৃপায় রিয়াজ ভাই সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরলেন এবং আজ আমরা ছবিটি নিয়ে দর্শকের সামনে আসতে পারছি। এটি যেন স্বপ্ন পূরণের পথে এক বিশাল প্রাপ্তি।

 

এবার অন্য প্রসঙ্গে আসি, ব্যক্তিগত কোনো ভালোলাগার কথা বলুন

হুম, এমন ভালো লাগাতো অনেক কিছুই আছে। কোনটা ফেলে যে কোনটা বলি। দুটি ভালোলাগার কথাই বলি। প্রথমটি হচ্ছে চলচ্চিত্র জগতে আসা। ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখতাম বড় মাপের একজন সেলিব্রেটি হব। আমার বিছানার মাথার পাশে নায়িকা হিসেবে নিজের বড় একটি ছবি টাঙানো থাকবে। আজ সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। এজন্য জাজ মাল্টিমিডিয়া ও আজিজ ভাইয়ের প্রতি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব। আরেকটি ভালো লাগার ঘটনা হচ্ছে স্কুলে পড়ার সময় কালো একটি ছেলে আমাকে খুব পছন্দ করত। একদিন সে আমাকে একটি চিঠি দেয়। তার হাতের লেখা এতই সুন্দর যে তার চেয়ে তার লেখার প্রতি বেশি প্রেমে পড়ে যাই। তার লেখা অনুকরণ করা শুরু করি। এখন আমি হুবহু তার মতো করেই লিখতে পারি। এই দুটি ভালোলাগা কখনই আমার মন থেকে মুছে যাবে না।

আলাউদ্দীন মাজিদ

সর্বশেষ খবর