শিরোনাম
সোমবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা
ইন্টারভিউ : শাহীন সামাদ

একুশে পদক শিল্পীর জীবনে অনেক গুরুত্ব বহন করে

আলী আফতাব

একুশে পদক শিল্পীর জীবনে অনেক গুরুত্ব বহন করে

স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠশিল্পী শাহীন সামাদ। শুদ্ধ সংগীতের চর্চায় তার গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। এবার একুশে পদক পেলেন এই গুণী শিল্পী। পাশাপাশি চলছে নতুন গানের কাজ। গান ও সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে আজ তার ইন্টারভিউ—

 

একজন শিল্পীর জীবনে একুশে পদক কতটা গুরুত্ব বহন করে?

আমার জায়গা থেকে আমি বলতে পারি, এটি একজন শিল্পীর জীবনে অনেক বড় প্রাপ্তি। কারণ যথাযথভাবে বিবেচনা করেই নানান ক্ষেত্রের মানুষকে এ পদক প্রদান করা হয় বলে আমার বিশ্বাস। আমি ধন্যবাদ জানাই, এমন একটি সম্মানসূচক পদক আমাকে দেওয়ার জন্য।

নতুন কোনো অ্যালবামের কাজ করেছেন?

হারানো দিনের গান নিয়ে একটি একক অ্যালবাম তৈরি করছি। অ্যালবামে আছে ৬০ দশকের পরবর্তী সময়ের জনপ্রিয় ১০টি গান। গানগুলোর ভয়েস রেকর্ডিং করা হয়েছে ছায়ানটের স্টুডিওতে। সংগীত পরিচালনা করেছেন দূর্বাদল চট্টোপাধ্যায়। এটি আমার চতুর্থ একক অ্যালবাম। এ ছাড়া সম্প্রতি ‘নিশিরাত’ শিরোনামের একটি অ্যালবাম প্রকাশ করেছে লেজার ভিশন। পাঁচ মিশালি গান নিয়ে একসঙ্গে দুটি অ্যালবাম প্রকাশ করতে যাচ্ছি। 

কিন্তু এ সময়ে অ্যালবাম প্রকাশ করে কী লাভ?

আমি বিশ্বাস করি যারা গান শোনার মানুষ তারা অ্যালবাম কিনেই গান শোনেন। আর পাইরেসির কথা বলছেন, এর কারণে আমরা শিল্পীরা তো এফেক্টেড হচ্ছি বছরের পর বছর ধরে। সিনেমা হলে মানুষ যায় না, সিডি কিনে মানুষ গান শোনেন না, রয়্যালিটির টাকাও আমরা পাই না। সরকার যদি লক্ষ্য রাখে তাহলে এ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব বলে মনে হয়। যারা গীতিকার যারা শিল্পী তাদের মূল্যায়নই হয় না প্রায়। দেখ না ’৬০-’৭০ এর দিকে কী দারুণ কথা ছিল গানের। এখন অনেকে চলে গেছেন। আর নতুনদের বেশিরভাগের লেখা গানের লিরিক অতো মানসম্মত নয়।

নজরুলসংগীত নিয়ে একাডেমিক শিক্ষা চালু হওয়ার প্রভাব কতটা পড়েছে সংগীতাঙ্গনে?

 আমি ছায়ানটে এতগুলো বছর ধরে আছি। ছায়ানটের শিক্ষাব্যবস্থা অন্যরকম। গান যেভাবে শেখানো হয় তা নিজের ভিতর নিয়ে বড় হয় ছেলেমেয়েরা। এজন্যই জুনিয়র সেকশনে সিনিয়র সেকশনের শিল্পীরাই শিক্ষকতাও করে। আমি এখন পঞ্চম আর সমাপনী পর্বের শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেই। তবে একটা জিনিস কি মিডিয়ায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। সবার মধ্যে একটা বিষয় লক্ষ্য করা যায় টিভিতে মুখ দেখাতে হবে। নজরুল একাডেমিতে শেখানো হচ্ছে। জেলা পর্যায়ে চর্চা হচ্ছে। আরও নানান জায়গায় হচ্ছে। মিডিয়ায় নিজেকে দেখানোর লোভ সংবরণ করতে পারলে একাডেমিক শিক্ষা আরও সুফল বয়ে আনবে বলে মনে হয়।

নজরুলসংগীতের সংরক্ষণে উদ্যোগ নিয়ে কিছু বলুন?

নজরুল ইনস্টিটিউট থেকে প্রতি বছর সিডি বের হয়, এবারও হচ্ছে। এ ছাড়া বেশ ভালো কালেকশন আছে ইনস্টিটিউটের ওখানে। গেলেই দেখতে পাবে। এ ব্যাপারে আমি সন্তুষ্ট।

নতুন শিল্পীদের মধ্যে নজরুল চর্চা কেমন হচ্ছে বলে আপনি মনে করেন?

আমার মনে হয় আগে থেকে নজরুল চর্চা অনেক বেড়েছে। নতুনদের মধ্যে নজরুল চর্চার আগ্রহ অনেক বেড়েছে। আমরা যদি সারা বছর নজরুল গানের নানা অনুষ্ঠান করতে পারি, তবে মনে হয় এর সংখ্যা আরও বাড়বে। গান প্রচারের আরও একটি বড় মাধ্যম হচ্ছে চলচ্চিত্র। এখানেও নজরুল গানের সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে। 

সর্বশেষ খবর